কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
Published: 11th, March 2025 GMT
কিশোরগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে তফাজ্জল দীন ইসলাম নামে যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চৌদ্দশত এলাকা থেকে দীন ইসলামকে আটক করে। এরআগে শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের দরবারপুর এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
সোমবার (১০ মার্চ) কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটি শনিবার রাত ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে যায়। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা তোফাজ্জল দীন ইসলাম মেয়েটিকে মুখ চেপে ধরে পাশের নান্দলা মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর রাতে মেয়েটি বাড়িতে ফিরে স্বজনদের এ ঘটনা জানায়।
তোফাজ্জল দীন ইসলাম একই ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের ছন্দু মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা/রুমন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক শ রগঞ জ দ ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।
সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।
আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো।