বাবা ভ্যান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মা অসুস্থ ছেলেকে কোলে নিয়ে ভ্যানে বসে যাচ্ছিলেন কবিরাজের বাড়িতে। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটায় বাঘা উপজেলার দিঘা আঠালিয়া এলাকায় বালুবোঝাই ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। মা ও ছেলে পড়ে যান ট্রাকের চাকার নিচে। ঘটনাস্থলেই শিশু জামিল হোসেনের (৫) মৃত্যু হয়।

মা রওশন আরা বেগমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকসহ চালক প্রণব কুমার (৪০) ও তাঁর সহকারী হাসানকে (২৫) আটক করা হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ বাঘা থানায় নিয়ে গেছে।

নিহত শিশুটির বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ডাকরা পাগলপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মুঞ্জিল হোসেন। তিনি ভ্যানচালক। নিজের ভ্যানে করে ছেলেকে নিয়ে কবিরাজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।

মুঞ্জিল হোসেন বলেন, রমজানের প্রথম দিন ভাই-বোন বাড়িতে খেলতে গিয়ে জামিল গলায় আঘাত পায়। তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু ছেলে সুস্থ হচ্ছে না দেখে এলাকার লোকজনের পরামর্শে তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার গোবরগাড়ি গ্রামে কবিরাজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অটোভ্যানে ট্রাকের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় অটোভ্যানে থাকা মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলার বেড়াগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ছাতুয়াপাড়া গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী রোকসানা পারভীন এবং তাদের তিন বছর বয়সী মেয়ে রাহিয়া। 

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ট্রাক আটক করে আগুন লাগিয়ে দেয়। তবে পালিয়ে যাওয়ায় ট্রাকে থাকা কাউকে আটক করা যায়নি। দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   

তিনি জানান, রোকসানা তাঁর তিন বছর বয়সী মেয়ে রাহিয়াকে নিয়ে জিয়ানগরের জলংগি গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কাহালুতে বাড়িতে ফেরার জন্য অটোভ্যানে রওনা হন। পথে বেড়াগ্রাম এলাকায় একটি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই রাহিয়া মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রোকসানা পারভীনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেয়। তবে পালিয়ে যাওয়ায় ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ