ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এতে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এটিকে জানুয়ারিতে সম্মত যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো সংশোধনে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে চাপ দিতে ইসরায়েলের আরেকটি চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে এবং আরও বন্দীকে মুক্তি দিতে হামাসকে চাপ দিতে মার্চ মাসের শুরুর দিকে গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহের ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি এড়াতে তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি হলে গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী অবসান হতে পারে।

মানবিক সহায়তা সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা, ইসরায়েলের কিছু মিত্রদেশসহ বিভিন্ন দেশ এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে।

আরও পড়ুনত্রাণের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল১০ মার্চ ২০২৫

ইসরায়েলের ঘোষণাটি আসলে কী ছিল

ইসরায়েল বলেছে, তারা গাজায় যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে, তার পুরোটাই বন্ধ করে দেবে।

গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ইসরায়েলি জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন বলেন, তিনি ‘তাৎক্ষণিকভাবে গাজা উপত্যকার বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন’।

দোহায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার আগের দিন কোহেন বলেছিলেন, ‘কথা তো যথেষ্ট হলো, এখন পদক্ষেপ নেওয়ার সময়!’

তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, ঘোষণাটিকে যতটা নাটকীয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এটি সম্ভবত অতটা নয়।

যুদ্ধে গাজার বেশির ভাগ এলাকাই এমন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব দ য ৎ সরবর হ ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ইলিশ: দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা কম

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পান্তা ইলিশের একটি রেওয়াজ আছে। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ এলে বাজারে ইলিশের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার বাজারে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক কেজি বা একটু বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং  ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সুইটি রানী রাইজিংবিডিকে বলেন, “পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খেলে নববর্ষ উদযাপন হবে কী করে? তাই স্বামীকে নিয়ে ইলিশ নিতে এসেছি। এখানে ভালো মানের ইলিশ পাওয়া যায়। আমি এক কেজি ওজনের দুটি ইলিশ নিয়েছি। আমার কাছ থেকে চার হাজার টাকা রেখেছে। গত সপ্তাহেও এই দামে নিয়েছি।”

আরো পড়ুন:

কড়া নাড়ছে ঈদ, চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

শেষ মুহূর্তে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

সাজ্জাদুল ইসলাম নামের আরেকজন ক্রেতা রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের অফিসের জন্য ১৫ কেজি ইলিশ নিয়েছি। অফিসের সবাই ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উদযাপন করব। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম রেখেছে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। অন্য সময় হয়তো ১ হাজার ৫০০ তে পেতাম। তবে এখানকার মাছগুলো টাটকা।”

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা কাইয়ুম মজুমদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে অন্য বছরের তুলনায় ইলিশের দাম কম দেখলাম। বড় ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা মধ্যে। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত রয়েছে তাদের পক্ষে এই দামেও ইলিশ কেনা সম্ভব না।”

কারওয়ান বাজারে সুজন মৎস্য আড়ৎ এর স্বত্বাধিকারী মো. সুজন সিকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাজারে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ সরবরাহ থাকার কারণে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। নদীর ইলিশের চাহিদা বেশি। এখন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে আগে যেমন পয়লা বৈশাখে বাজারে ভিড় থাকত। এ বছর ভিড় দেখছি না, বিক্রিও কম।”

বাবুল মৎস্য আড়ৎ এর ইলিশ বিক্রেতা বাবুল মোল্লা রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে ইলিশের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বড় ইলিশ মাছের সরবরাহ ঠিক আছে।” 

ঢাকা/রায়হান/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেই বিরল খনিজই চীনের লড়াইয়ের হাতিয়ার
  • পোশাক খাতে করপোরেট করহার অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ
  • আদানির দুই ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ
  • আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিট আবার চালু, বেড়েছে সরবরাহ
  • শক্তিশালী সৌরঝড়ের আশঙ্কা
  • নতুন বিনিয়োগ ‘পড়বে অসম প্রতিযোগিতায়’ 
  • যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ রপ্তানি করবে না চীন
  • ইলিশ: দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা কম