বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বেড়েছে হেলমেট চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মোটরসাইকেল চালকরা। তারা জানান, কয়েক মিনিটের জন্য মোটরসাইকেলের ওপর হেলমেট রেখে পাশে যাওয়া সুযোগ থাকে না। কারণ, আশা যাওয়ার এই সময়ের মধ্যেই হেলমেট চুরি করে নিয়ে যায় চোররা। 

সোমবার (১০ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকা থেকে দুই হেলমেট চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি হেলমেট। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার ইকবাল এবং রাউজান উপজেলার রাসেল।

আরো পড়ুন:

ছদ্মবেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা যুবক আটক

নড়াইলে বিএনপি অফিসে বোমা হামালার ঘটনায় মামলা

নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম হেলমেট চুরি ও চোর গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীতে মোটরসাইকেলের হেলমেট চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর থেকে পুলিশও রেহায় পাচ্ছে না। গতকাল রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা থেকে দুইজন হেলমেট চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্নস্থালে ঘুরে মোটরসাইকেলের হেলমেট চুরির কথা স্বীকার করেছে। 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুকে বলাৎকারের দায়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নাটোরের বড়াইগ্রামে শিশুকে বলাৎকারের দায়ে আব্দুর রহিম কালু (২৭) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম কালু বড়াইগ্রাম উপজেলার তালশো আল জামিয়া হুসাইনিয়া মদিনাতুল হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং নাটোর সদর উপজেলার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৮ মে সন্ধ্যার পরে মাদরাসার শিক্ষক আব্দুর রহিম কালু পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে মোটরসাইকেলে করে তার বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে বলাৎকার করে। পরে ওই শিক্ষক ভিকটিমকে তার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভিকটিম কান্নাকাটি করে তার বাবাকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে তার বাবা চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ওই বছর ২১ মে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রহিম কালুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন শিশুটির বাবা।

মামলার বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের জানান, চার বছর ধরে মামলার সাক্ষী গ্রহণ এবং শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ ওই মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রহিম কালুর উপস্থিতিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের আদেশ প্রদান করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ