চট্টগ্রামে হেলমেট চোরে অতিষ্ঠ বাইকাররা, আটক ২
Published: 11th, March 2025 GMT
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বেড়েছে হেলমেট চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মোটরসাইকেল চালকরা। তারা জানান, কয়েক মিনিটের জন্য মোটরসাইকেলের ওপর হেলমেট রেখে পাশে যাওয়া সুযোগ থাকে না। কারণ, আশা যাওয়ার এই সময়ের মধ্যেই হেলমেট চুরি করে নিয়ে যায় চোররা।
সোমবার (১০ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকা থেকে দুই হেলমেট চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি হেলমেট।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার ইকবাল এবং রাউজান উপজেলার রাসেল।
আরো পড়ুন:
ছদ্মবেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা যুবক আটক
নড়াইলে বিএনপি অফিসে বোমা হামালার ঘটনায় মামলা
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম হেলমেট চুরি ও চোর গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীতে মোটরসাইকেলের হেলমেট চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর থেকে পুলিশও রেহায় পাচ্ছে না। গতকাল রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা থেকে দুইজন হেলমেট চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্নস্থালে ঘুরে মোটরসাইকেলের হেলমেট চুরির কথা স্বীকার করেছে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অবশেষে ৫ বছর পর কারাগারেই বিয়ে হল শিমুল-লিমার
প্রেম করে তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করে পালিয়ে গিয়েছিলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ ভাদেশ্বরের শিমুল আহমদ। দীর্ঘদিন ছিলেন লাপাত্তা। এরপর ওই তরুণীর ঘরে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। সন্তানের পিতৃপরিচয় ও বিয়ের স্বীকৃতি নিয়ে বরের বাড়িতে হাজির হন কয়েকবার।
বার বার প্রত্যাখাত হয়ে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা করেন আলফাতুন্নেসা লিমা। সম্প্রতি আদালত তরুণী লিমাকে বিয়ের নির্দেশ দিলে বৃহস্পতিবার কাজী ডেকে দুই পরিবারের সম্মতিতেই কারাগারেই বিয়ের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হলে সিলেট জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ সময় ৪ বছরের মেয়ে শিশুটিও উপস্থিত ছিল।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ভাদেশ্বরের কলাশহরের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে শিমুল আহমদ। তার সঙ্গে গড়ে ওঠে তরুণী লিমার প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে তরুণী লিমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান শিমুল। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা। তাদের ঘনিষ্টতায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন লিমা। বিষয়টি শোনার পর পালিয়ে যান শিমুল। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৭ মার্চ এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা করেন লিমা। ওই মামলায় গেল বছরের ১৯ এপ্রিল পুলিশ গ্রেপ্তার করে শিমুলকে। এরপর থেকেই হাজতবাস করছেন তিনি।
এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামানের আদালতে জামিনের আবেদন করেন শিমুল। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন জানালে আদালত একই আদেশ দেন। সম্প্রতি আদালত বিয়ের নির্দেশনা দিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট কারাগার কর্তৃপক্ষ বিয়ের আয়োজন করে। বিয়েতে উভয় পরিবারের কর্তাব্যক্তি ছাড়াও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের কাজী সজীব আহমদ জানান, আদালতের নির্দেশে উভয়পক্ষের স্বজনদের উপস্থিতিতে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে শিমুল আর লিমার। আমি তাদের বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছি। দীর্ঘদিন বর পলাতকও ছিল। তাদের ঘরে ৪ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারের জেলার আরিফুর রহমান বলেন, বিবাহ সম্পর্কিত একটি আদেশ আমাদের দপ্তরে আসে। এরপর আমরা আদালতের সেই নির্দেশ পালন করি। উভয়পক্ষের লোকজন ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তারা দুজনেই ছিলেন খুশি। এক অপরকে মিষ্টিমুখও করিয়ে দেন তারা। আদালতে তাদের বিয়ের প্রতিবেদন দেওয়া হলে আর কোনো প্রকার মামলা না থাকলে শিমুল মুক্তি পেতে পারেন।