নারী ও শিশুর প্রতি চলমান সহিংসতা, নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ছোটপর্দার নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের সদস্যরা। সেই সঙ্গে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে প্রতিবাদ জানান নির্মাতারা।

ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হাসানের পরিচালনায় ও সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাশেদা আক্তার লাজুক, ফিরোজ খান, সকাল আহমেদ, চয়নিকা চৌধুরী, নিয়াজ মাহমুদ চন্দ্রদীপ, এনামুল কবির, নাজমুল হুদা, জীবন রয়, রাজ্জাক রাজসহ আরও অনেকে।

বক্তরা বলেন, কয়েকদিন আগে মাত্র আট বছর বয়সী শিশু নৃশংসভাবে ধর্ষণের হয়েছে, যা জাতির বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার ঘটনা প্রমাণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নারীরা নিরাপদ নয়। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি এবং নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান নির্মাতারা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মানববন্ধন শেষে আসামির বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আসামি গ্রেপ্তার ও তার বিচার দাবি করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে আসামির বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালিয়া চকবাজার গ্রামে গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধরা। পরে সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার গিয়াস উদ্দিনের কলা বাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার শিকার হন আকবর আলী (৬৫)। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

এই ঘটনার জেরে গত শনিবার গিয়াস উদ্দিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা হয় এবং ওই রাতে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান।

তবে সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার ৫ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত জনতার একটি অংশ গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হামলা হামলার পর অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের সময় ওই বাড়িতে নারী ও শিশুরা অবস্থান করছিলেন। তবে তারা নিরাপদে সরে যান বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার ওসি বলেন, পুলিশ-সেনাবাহিনীর যৌথ অবস্থানে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহীতে নদীঘাটে পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • হাসপাতাল চালুর দাবিতে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জন
  • জাহাঙ্গীরনগরে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে মানববন্ধন
  • কুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে বুয়েটে মানববন্ধন
  • কুয়েটের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • মানববন্ধন শেষে আসামির বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ
  • পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
  • রাষ্ট্রীয় খরচে কোনো অতিথিকে হজে পাঠানো হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
  • বাবা হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় দুই শিশু