ঝুঁকিপূর্ণ ট্র্যাকে এ কেমন অনুশীলন ক্যাম্প অ্যাথলেটিকসে
Published: 11th, March 2025 GMT
ছবির নিচে যদি কোনো বর্ণনা না থাকত আর তাহলে কেউ যদি এটাকে গ্রীষ্মের খরতাপে ফেটে চৌচির ফসলের মাঠ মনে করতেন, তাহলে কি তাঁকে দোষ দেওয়া যেত! ছবির নিচে বর্ণনা পড়ে এতক্ষণে অবশ্য বুঝে গেছেন এটা আসলে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক।
কোনো অংশ ফেটে চৌচির, কোথাও উঁচু–নিচু, কোথাও আবার জোড়াতালি! আর্মি স্টেডিয়ামের এই ট্র্যাকেই চলছে জাতীয় অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। গতকাল এ নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় ৪০০ মিটারে ১০ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া জহির রায়হানের। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট বললেন, ‘আমি সাউথ এশিয়ানের পাশাপাশি ইনডোরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আসলে এমন ট্র্যাকে অনুশীলন করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও কিছু সাবধানতা মেনে আমরা প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছি। এভাবে কত দিন করতে পারব জানি না।’
যদ্দুর দেখলাম, ট্র্যাকের অবস্থা ভালো নয়। আমাদের মতো অ্যাথলেটদের এমন ট্র্যাকে দৌড়ানো খুবই কষ্টকর।ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ট্র্যাকের কিছু অংশ উঠে গেছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।