চাহালের জীবনে আরেক নারী আসতেই ধনশ্রীর নতুন ‘স্ট্র্যাটেজি’
Published: 11th, March 2025 GMT
ভারতীয় লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি চর্চা তুঙ্গে। স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার সঙ্গে তার ডিভোর্সের মামলা চলমান থাকলেও, এরই মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চাহালের সঙ্গে দেখা যায় এক রহস্যময় নারীকে। তখন থেকেই শুরু হয় জল্পনা—চাহালের সঙ্গে এই তরুণী কে?
জানা যায়, ওই নারীর নাম আর জে মাহভাশ। কয়েক দিন আগেও চাহালের সঙ্গে তার একটি ছবি ভাইরাল হয়, যদিও তখন মাহভাশ সম্পর্কের গুঞ্জন নাকচ করে দিয়েছিলেন। তবে এবার ম্যাচের গ্যালারিতে দু’জনকে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখার পর নতুন করে গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে।
View this post on InstagramA post shared by Dhanashree Verma (@dhanashree9)
এই খবর পৌঁছে গেছে ধনশ্রীর কাছেও। আর তার সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে ভক্তরা ধারণা করছেন, চাহালকে হয়তো এখনই ছাড়তে প্রস্তুত নন ধনশ্রী। এতদিন ইনস্টাগ্রাম থেকে চাহালের সঙ্গে সব ছবি সরিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পর ধনশ্রী তার ইনস্টাগ্রাম আর্কাইভ থেকে চাহালের সঙ্গে পুরোনো ছবি আবার প্রকাশ্যে এনেছেন।
View this post on InstagramA post shared by Dhanashree Verma (@dhanashree9)
ফলে প্রশ্ন উঠছে, ধনশ্রী কি নতুন করে চাহালকে ফিরে পেতে চাচ্ছেন? এরপর আরও এক ইঙ্গিতপূর্ণ স্টোরিতে ধনশ্রী লেখেন, ‘মেয়েদের দোষ দেওয়া এখন ফ্যাশন।’ তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন নয়, আগের সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে
সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের প্রান্তিক প্রতিনিধিরা বলেছেন, নতুন কোনো সংবিধান নয়, সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে আগের সংবিধানকে সংশোধন করা যেতে পারে। তবে সেটা করতে পারবে একমাত্র নির্বাচিত সংসদ।
গতকাল শনিবার বরিশাল নগরীতে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সুজন প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে মতামত নিতে জেলা ও মহানগর সুজন এ বৈঠক আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। জেলা, উপজেলা ও মহানগর সুজন প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
সভায় অংশগ্রহণকারীদের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও সংবিধানের বিদ্যমান ব্যবস্থার কপি দেওয়া হলে তার ওপর আলোচনা করেন। ৯০ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। প্রায় সব আলোচক বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রেখে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
সুজনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এখন নতুন সংবিধান প্রণয়নের কথা বললে সেটা শপথ ভঙ্গের শামিল। সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিক সংসদ সদস্য হতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় পদে থাকতে পারবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা দ্বৈত নাগরিক। এমনকি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজও দ্বৈত নাগরিক। তাঁর নেতৃত্বে কমিশন বৈধ নয়।
তবে বানারীপাড়া সুজনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল বলেন, আগের দলীয় সরকারগুলোর ব্যর্থতার জন্য ইউনূস সরকারের আবির্ভাব হয়েছে। তাই তাঁর নেতৃত্বেই সংবিধান সংস্কার নিরাপদ হবে।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সারাদেশে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এসব যথাযথ স্থানে উপস্থাপন করা হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।