নরসিংদীতে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা, যুবককে কুপিয়ে হত্যা
Published: 11th, March 2025 GMT
নরসিংদীর পলাশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই যুবকের বাবা। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন মিয়া (৩০) ওই ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের রাজমিস্ত্রি আলম মিয়ার ছেলে। গুরুতর আহত আলম মিয়াকে (৫৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল চারটার দিকে জয়নগর গ্রামের সড়কে দাঁড়িয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারেক, আইয়ুব ও মোমেন নামের তিনজন। তখন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সেখানে এসে যাত্রী নামায়। ওই তিনজন রিকশাচালকের কাছে ডাঙ্গা বাজারে যাবেন কি না জানতে চান। তবে চালক তাতে রাজি হননি। ঠিক তখন নিহত সুমনের চাচা মুকুল মিয়া দৌড়ে এসে অসুস্থ মাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার জন্য ওই চালককে অনুরোধ করেন। রিকশাচালক তাতে রাজি হন। এতে যুবকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে রিকশাচালক ও মুকুল মিয়ার সঙ্গে তর্কে জড়ান।
ওই ঘটনার জেরে রাত আটটার দিকে ওই তিন যুবক সহযোগীদের নিয়ে মুকুল মিয়ার বাড়িতে যান। এ পরিস্থিতিতে মুকুল মিয়া ঘর থেকে বের হননি। কিন্তু চাচার বাড়িতে হইচই শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সুমন মিয়া ও তাঁর বাবা আলম মিয়া। মুকুল ঘর থেকে বেরিয়ে না আসায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুমন ও আলমকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যার নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাবা আলম মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শওকত হাসান বলেন, সুমন মিয়াকে মৃত অবস্থায় ও আলম মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সুমনের হাত, বুক ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। আর আলম মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহতের চাচা মুকুল মিয়া বলেন, ‘বয়স্ক মাকে ডাক্তার দেখাতে নেওয়ার সময় অটোরিকশা ভাড়া করা নিয়ে তারেক, আইয়ুব ও মোমেনের সঙ্গে তর্ক হয়েছিল। ওই রিকশাচালক কেন তাদের না নিয়ে আমাদের নিল, এ নিয়েই ছিল ওই তর্ক। এর জেরে গতকাল রাত আটটার দিকে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে সুমনকে কুপিয়ে হত্যা ও তার বাবাকে গুরুতর আহত করে তারা। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করার চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আলম ম য়
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে তুচ্ছ ঘটনায় ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবাকেও গুরুতর আহত
নরসিংদীর পলাশে অটোরিকশায় যাত্রীদের যাওয়া নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে সুমন মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার বাবা আলম মিয়া।
সোমবার (১০ মার্চ) রাতে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বিকেলে জয়নগর বাজারে নিহতের চাচা মুকুল মিয়ার সাথে প্রতিবেশি ৪ থেকে ৫ জনের একটি অটোরিকশা ভাড়া করা নিয়ে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে মুকুলের বাড়িতে হামলা করতে যায়। বাড়ির পাশে হৈচৈ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে সুমন ও তার বাবা আলম মিয়া দেখতে যান। এসময় তাদের সামনে পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করে। এছাড়া হামলায় আহত আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের চাচা মুকুল মিয়া বলেন, “আমার মা অটোরিকশায় করে ভাতিজার জন্য ঔষধ আনতে গিয়েছিলো। এসময় আয়ুব মিয়া ও তারেক এই রিকশায় যেতে চেয়েছিলো। রিকশাচালক কেনো মাকে নিলো এজন্য তারা খারাপ ব্যবহার করে। আমি তার প্রতিবাদ করি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করতে এসে সুমনকে কুপিয়ে হত্যা ও তার বাবাকে গুরুতর আহত করে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।”
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা শওকত হাসান বলেন, “রাতে দুইজন ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে সুমন হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে মারা যায়। আর আলম মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুমনের হাত, বুক ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।”
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।
ঢাকা/হৃদয়/টিপু