হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ভাষাসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ২৮ পঞ্চায়েত সভাপতি চৌধুরী আব্দুল হাই (৮৬) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল প্রায় ৯টা ৪০ মিনিটের সময় আমেরিকার নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

তার জন্ম হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বড় বহুলা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৩৯ সালের ২১ মার্চ। বাবা মৃত চৌধুরী আব্দুল গণি ও মা মরহুমা আছিয়া খাতুন চৌধুরী। তিনি হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে সাধারণ ও অতিরিক্ত গণিতে লেটার মার্কসহ প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে বার কাউন্সিলে ও হবিগঞ্জ অ্যাডভোকেট সমিতিতে এনরোলড হন।

১৯৬৫ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করে ভাসানী ন্যাপের হবিগঞ্জ মহকুমার সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি মোজাফ্ফর ন্যাপে যোগদান করে হবিগঞ্জে সভাপতির দায়িত্ব চালিয়ে যান। ১৯৮৬-৮৭ সালে আট দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে হবিগঞ্জ-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, বিভিন্ন অধিকার আদায় আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ এবং হবিগঞ্জবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। তিনি ভ্রমণ করেছেন ভারত, থাইল্যান্ড, সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া) ও আমেরিকা।

তিনি একজন ত্যাগী ভাষাসংগ্রামী। তার যুগান্তকারী ভূমিকায় ভাষা আন্দোলনে হবিগঞ্জের ছাত্ররা সোচ্চার হয়ে উঠেছিল।
হবিগঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্ররা বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে শুরু করেন আন্দোলন। এ সময় তিনি ছাত্রদের মধ্যে প্রিয়মুখ হয়ে ওঠেন। সবার সার্বিক সহযোগিতায় হবিগঞ্জের ছাত্র-জনতা মিলে যখন আন্দোলনে ব্যস্ত, ঠিক সে মুহূর্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ভাষাসংগ্রামী মো.

আবিদ আলী হবিগঞ্জে আসেন এবং চৌধুরী আব্দুল হাইকে সঙ্গে নিয়ে কোর্টস্টেশন রোড এলাকায় প্রথম সভা আহ্বান করেন। একপর্যায়ে ঢাকায় এসে ভাষাসংগ্রামীদের সঙ্গে তিনিও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। 

তিনি মুক্তিযুদ্ধেরও সংগঠক। হবিগঞ্জ জেলা বারের সভাপতি ও সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জের প্রিয়মুখের একজন। তার মৃত্যুর খবরে দেশ-বিদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পেনাল্টি পেতে ‘মাটিতে পড়ে অভিনয় করেছে এমবাপ্পে’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে নাটকীয় এক মুহূর্তে পেনাল্টি দাবি করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে সেই দাবি নস্যাৎ হয়ে যাওয়ার পর কী ঘটেছিল মাঠে? ম্যাচ শেষে জানালেন আর্সেনালের মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস নিজেই।

প্রথমার্ধে তখনো ৩-০ গোলে এগিয়ে আর্সেনাল। বুকোয়ো সাকার মিস করা পেনাল্টির ঠিক পরেই ডি-বক্সে রাইসের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান এমবাপ্পে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে রাইসকে একটি হলুদ কার্ড দেখান। তবে দীর্ঘ ভিএআর পর্যবেক্ষণের পর দুই সিদ্ধান্তই প্রত্যাহার করা হয়। পেনাল্টি বাতিলের সঙ্গে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন রাইসও।

ম্যাচ শেষে টিএন্ডটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাইস বলেন, ‘আমি জানতাম ওটা পেনাল্টি নয়। ওর শরীরে আমার হাত ছিল, কিন্তু একজন মিডফিল্ডার হিসেবে এটা করতেই হয়। আমি সৎ একজন মানুষ, তাই সঙ্গে সঙ্গেই এমবাপ্পেকে বলেছিলাম, এটা কোনো পেনাল্টি ছিল না। ও নিজেই মাটিতে পড়ে অভিনয় করেছে। শেষ পর্যন্ত আমরা কাজটা ঠিকঠাক শেষ করেছি, এবং এটা ক্লাবের ইতিহাসে স্মরণীয় এক রাত।’

রাইসের এই সততাই হয়তো তাকে ম্যাচসেরার পুরস্কার এনে দিয়েছে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে আর্সেনাল, যেখানে তারা মুখোমুখি হবে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির। অন্যদিকে আরেক সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুটবলে তিন ছেলের কে কেমন, জানালেন মেসি
  • ‘কী সুন্দর তাই না, একজন শিক্ষকের এই পরিণতি’
  • ভৈরবে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
  • ধর্ষণের শিকার দাবি করা নারীর বক্তব্য ওসির মুঠোফোনে ধারণের পর ফেসবুকে, সমালোচনা
  • তিন ছেলের মধ্যে ফুটবলে কে সেরা, মেসি যা বললেন
  • সিরাজগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ 
  • ঢাকার শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে তরুণীর চেইন ও ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১, দুজনকে খুঁজছে পুলিশ
  • ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করবেন জোনাথন কার্ল
  • রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল
  • পেনাল্টি পেতে ‘মাটিতে পড়ে অভিনয় করেছে এমবাপ্পে’