ঈদে পাওয়া যাবে না নতুন নোট, বাজার চড়া নতুন টাকার
Published: 11th, March 2025 GMT
এবারের ঈদে নতুন নোট বাজারে আসছে না। তাই আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই মতিঝিল ও গুলিস্তানের এই নতুন টাকার বাজার চড়া। ২, ৫, ১০, ২০ টাকাসহ সব ধরনের নতুন নোট কিনলে আগের চেয়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এবারের ঈদে নতুন নোট বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্তে এমন প্রভাব পড়েছে।
মতিঝিল ও গুলিস্তানের নতুন টাকার অস্থায়ী দোকানগুলোয় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি বান্ডিলে গতবারের ঈদের মৌসুমের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোটের চাহিদাই বেশি।
ঈদ সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছরই নতুন নোট বাজারে ছাড়ে। এ সময় নতুন পোশাকের পাশাপাশি নতুন টাকাও সংগ্রহ করেন অনেকে।
এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় গতকাল সোমবার স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় বাধে আপত্তি।
ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ে। রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন নোট ও ছেঁড়া টাকার বেচাকেনার অস্থায়ী দোকান আছে। মূলত ফুটপাতেই এ ব্যবসা বেশি চলে।
আজ সকালে মতিঝিল ও গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নতুন নোটের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। একের পর এক ক্রেতাও আসছেন। তবে চড়া দাম শুনে দরদাম না করেই অনেকে চলে যাচ্ছেন। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় নতুন নোটের দাম প্রতি বান্ডিলে ১০০ থেকে ২০০ থেকে টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এবারের ঈদে নতুন নোট বাজারে আসবে না—এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই এই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা মূলত ছেঁড়া ও পুরোনো টাকার ব্যবসায়ী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট বিক্রির জন্য ১ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা হাঁকছেন। এক বান্ডিলে ১০০টি নোট থাকে এবং এর মূল্যমান ১ হাজার টাকা। দর-কষাকষি করে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে একেকটি বান্ডিল ক্রেতারা কিনছেন। গত বছর পবিত্র রোজার সময় এমন এক বান্ডিল নতুন নোট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ নতুন নোটের বান্ডিলপ্রতি ক্রেতাদের বাড়তি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে, যা গত বছর পবিত্র রোজার সময় ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে ২০ টাকার এক বান্ডিলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ৪৫০ টাকার কমবেশি।
মতিঝিল ও গুলিস্তানের নতুন নোটের অস্থায়ী দোকান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মত ঝ ল ও গ ল স ত ন এক ব ন ড ল র র ঈদ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
জিম্বাবুয়ে বা অস্ট্রেলিয়া, ভাগাভাগি না করতে অনুরোধ বাংলাদেশ অধিনায়কের
আবার সেই জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ। চেনা প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কেমন করবে বাংলাদেশ? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো সময় দেবে।
তবে অনেকেই মনে করছেন সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য সহজ হতে যাচ্ছে। আর এই ভাবনাতেই আপত্তি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের।
নাজমুল এখন ব্যস্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। তিনি আবাহনীর হয়ে খেলছেন। কাল ঐতিহ্যের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ, এবার তা হতে পারে লিগ নির্ধারণীও। এই ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে এসে বাংলাদেশ ও আবাহনীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের কাছে এসেছিল জিম্বাবুয়ের প্রসঙ্গ।
কথার এক ফাঁকে তিনি অনুরোধ করেছেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচকে যেন অন্য দলগুলোর তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করা না হয়। এ বিষয়ে নাজমুল বলেন, ‘আমরা যেন ভাগাভাগি না করি যে, জিম্বাবুয়ে বা অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা... প্রতিটি ম্যাচকে যেন একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে চিন্তা করি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপের কথা উল্লেখ করে নাজমুল বলেন, ‘প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজেই চ্যালেঞ্জ থাকে। এখানেও অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। এর ভিন্ন কোনো চিন্তা থাকবে না। একটি বড় দলের সঙ্গে খেলার সময় যেই চিন্তাভাবনা বা চাপ থাকে, সেই চাপটাই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কীভাবে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাচটা শুরু করতে পারি। কোনো দলই ছোট নয়, আমি বারবারই বলছি। ক্রিকেটাররাও এমন কিছু চিন্তা করছে না। আমি আশা করব, সাধারণ মানুষ বা মিডিয়াও এভাবে দেখছে না যে ছোট দল বা বড় দল। আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্রিকেটাররা অনেক দিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলবে। আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রস্তুতির জন্য যদি আরও ২-১ দিন বেশি পেতাম তাহলে আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো হতোনাজমুল হোসেনজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের প্রস্তুতির জন্য তা কিছুটা দেরি হচ্ছে। দিন দশেকের প্রস্তুতির কথা থাকলেও তা এখন নেমে এসেছে সপ্তাহখানেকে। প্রায় ছয় মাস পর টেস্ট খেলতে নামা বাংলাদেশের কি আরেকটু বাড়তি সময় প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল?
আরও পড়ুনপিএসএলে কি আজ অভিষেক হবে রিশাদের২ ঘণ্টা আগেঅধিনায়ক নাজমুল বলছেন, ‘ক্রিকেটাররা অনেক দিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলবে। আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয়, প্রস্তুতির জন্য যদি আরও ২-১ দিন বেশি পেতাম তাহলে আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো হতো। একই সঙ্গে এটাও বলব, আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে দর্শকদের অনেক চাওয়া-পাওয়া থাকে, এই ম্যাচটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ক্রিকেটাররা যারা দলে সুযোগ পেয়েছে, তারা কিন্তু এরই মধ্যে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে যে কীভাবে আমি খেলাটা খেলতে চাই।’
আগামী ১৫ এপ্রিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে। ২০ এপ্রিল সিলেটে শুরু হবে প্রথম ম্যাচ।
আরও পড়ুন‘বড় বড় নাম’ নিয়ে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে০৮ এপ্রিল ২০২৫