এবারের ঈদে নতুন নোট বাজারে আসছে না। তাই আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই মতিঝিল ও গুলিস্তানের এই নতুন টাকার বাজার চড়া। ২, ৫, ১০, ২০ টাকাসহ সব ধরনের নতুন নোট কিনলে আগের চেয়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এবারের ঈদে নতুন নোট বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্তে এমন প্রভাব পড়েছে।

মতিঝিল ও গুলিস্তানের নতুন টাকার অস্থায়ী দোকানগুলোয় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি বান্ডিলে গতবারের ঈদের মৌসুমের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোটের চাহিদাই বেশি।

ঈদ সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছরই নতুন নোট বাজারে ছাড়ে। এ সময় নতুন পোশাকের পাশাপাশি নতুন টাকাও সংগ্রহ করেন অনেকে।

এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় গতকাল সোমবার স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় বাধে আপত্তি।

ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ে। রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন নোট ও ছেঁড়া টাকার বেচাকেনার অস্থায়ী দোকান আছে। মূলত ফুটপাতেই এ ব্যবসা বেশি চলে।

আজ সকালে মতিঝিল ও গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নতুন নোটের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। একের পর এক ক্রেতাও আসছেন। তবে চড়া দাম শুনে দরদাম না করেই অনেকে চলে যাচ্ছেন। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় নতুন নোটের দাম প্রতি বান্ডিলে ১০০ থেকে ২০০ থেকে টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এবারের ঈদে নতুন নোট বাজারে আসবে না—এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই এই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা মূলত ছেঁড়া ও পুরোনো টাকার ব্যবসায়ী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ১০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট বিক্রির জন্য ১ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা হাঁকছেন। এক বান্ডিলে ১০০টি নোট থাকে এবং এর মূল্যমান ১ হাজার টাকা। দর-কষাকষি করে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে একেকটি বান্ডিল ক্রেতারা কিনছেন। গত বছর পবিত্র রোজার সময় এমন এক বান্ডিল নতুন নোট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ নতুন নোটের বান্ডিলপ্রতি ক্রেতাদের বাড়তি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে, যা গত বছর পবিত্র রোজার সময় ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে ২০ টাকার এক বান্ডিলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ৪৫০ টাকার কমবেশি।

মতিঝিল ও গুলিস্তানের নতুন নোটের অস্থায়ী দোকান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মত ঝ ল ও গ ল স ত ন এক ব ন ড ল র র ঈদ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

পাওনা টাকা নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। 

বুধবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শৈলকুপা থানার ওসি মাছুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রারইপাড়া গ্রামের মন্টু মোল্লা একই গ্রামের লিখন হোসেনের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা পেতেন। গতকাল রাতে সেই টাকা চাওয়া নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে আজ সকালে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বপন বিশ্বাস নামে একজনকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সুনামগঞ্জে সংঘর্ষ চলাকালে মৃত্যু, গুজব বলছে পুলিশ

গৌরনদীতে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৯

শৈলকুপা থানার ওসি মাছুম খান বলেন, ‍“এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। পুলিশ কাউকে আটক করেনি।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ