ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ১৫ মিনিট শাহবাগ মোড় অবরোধ
Published: 11th, March 2025 GMT
ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে তাঁরা সরে যান।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। পরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুনধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা১ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থানকালে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এসব স্লোগানের মধ্যে ছিল—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই’।
শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সকাল-সন্ধ্যা অবস্থান কর্মসূচি’। তাঁরা বলছেন, দেশজুড়ে আশঙ্কাজনক হারে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ও দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবিতে সব কলেজের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ছয়টি দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন। তাঁরা চান, এ দেশে আর কেউ যেন ধর্ষণের শিকার না হন। এই ধর্ষণবিরোধী কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রযন্ত্রকে বার্তা দেওয়া। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী শাহবাগে আসবেন।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মিথিলা রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করে, এ দেশে নারীরা কতটা অনিরাপদ। রাষ্ট্রকে নিরাপদ করতে তাঁরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো—
১.
২. ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সম্পূর্ণ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে। প্রয়োজনে ধর্ষকদের বিচারের জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে।
৩. দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যদি কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা, মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করা এবং ভিকটিম ও সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পরবর্তী ১৫ কার্যদিবস সময়ে যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষকের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে একটিতেও অসামঞ্জস্য থাকলে, সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. ধর্ষণের ঘটনায় সালিসি বিচার নিষিদ্ধ করতে হবে। বিচার নিশ্চিত করবে শুধু রাষ্ট্র। পাশাপাশি অনৈতিক পন্থায় প্রশাসনের কারও সহযোগিতায় যদি ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামি ছাড়া পায়, তবে তদন্ত অনুযায়ী তাকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তি অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিধান করা যেতে পারে।
৬. চলমান মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর অবস থ ন ত করত
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন প্রবাসীকে নিয়ে কৌতূহল
ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরীকে নিয়েই সবার আকর্ষণ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা কোনো ফুটবলার লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াবেন, তা ভাবতেই রোমাঞ্চিত বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। শেফিল্ড ইউনাইটেডের এ ডিফেন্ডারকে নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বড় চমক হয়ে আসে ইতালিয়ান প্রবাসী ফাহামেদুল ইসলামের নামটি।
২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে ফাহামেদুলকে রাখেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। আগেই সৌদি আরবে ক্যাম্প করতে যাওয়া জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গী হতে সোমবার ইতালি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে যান তিনি।
গতকাল তায়েফে দলের সঙ্গে ট্রেনিংও করেছেন ইতালির চতুর্থ স্তরের ক্লাব অলিভিয়াতে খেলা এ ফরোয়ার্ড। তাঁকে পেয়ে আরও বেশি উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল।
বাফুফে লুকোচুরি খেলায় ফাহামেদুলকে নিয়ে খুব বেশি জানা যায়নি। তবে যতটুকু জানা গেছে ইতালিতে খেলা এ ফরোয়ার্ডের জন্ম ফেনীতে। বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি দেশের লিগে খেলা ফাহামেদুল এখন সতীর্থদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁকে ক্যাম্পে পেয়ে ফুটবলাররাও বেশ রোমাঞ্চিত।
বাংলাদেশি হলেও এ দেশের ফুটবল সংস্কৃতি খুব একটা জানা নেই তাঁর। তাইতো রাকিব হোসেন-শেখ মোরসালিনরা তরুণ এ ফুটবলারের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়েই খোলামেলা আলোচনা করছেন। একই সঙ্গে ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া, ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক রায়হান কাজী ও ফাহামেদুলকে বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন।
ভারত ম্যাচের সেরা একাদশে ফাহামেদুলকে লড়তে হবে রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পিয়াস আহমেদ নোভার মতো আক্রমণভাগের ফুটবলারদের সঙ্গে। শুরু থেকেই দলের সঙ্গে অনুশীলন করা ফর্টিস এফসির তারকা নোভার কাছে দলে সুযোগ পাওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জের।
গতকাল বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় নোভা বলেন, ‘সব কিছু এখন পর্যন্ত ঠিক আছে। কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা ভালো হবে। আক্রমণভাগে রাকিব ভাই, মোরসালিন, নতুন প্লেয়ার আল আমিন এবং আমি আছে। একজন নাম্বার নাইন হিসেবে আমি এখানে ফাইট করব। ইনশাআল্লাহ খেলার চেষ্টা করব।’
আক্রমণে যেমন পিয়াসের চ্যালেঞ্জ, রক্ষণে তেমনি করে চ্যালেঞ্জ শাকিল আহাদ তপুর জন্য বেস্ট ইলেভেনে জায়গা পাওয়া। কারণ লিস্টার সিটি এবং শেফিল্ডে রক্ষণভাগে খেলা হামজাকে ভারত ম্যাচেও হয়তো এ দায়িত্ব দিবেন কোচ। সেই হিসেবে হামজার সঙ্গে দেখা যাবে তপু বর্মন, তারিক কাজীর মতো অভিজ্ঞদের।
জাতীয় দলের জার্সিতে দুটি ম্যাচ খেলা শাকিল আহাদ তপু দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য অনুশীলনে প্রতিনিয়ত ঘাম ঝরাচ্ছেন, ‘আমার পজিশনে সিনিয়র প্লেয়ার আছেন। তারা অনেক দিন ধরে খেলতেছেন। তাদের অভিজ্ঞতা অনেক। আমি চেষ্টা করব সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার এবং টিমে জায়গা করে নেওয়ার।’