ছদ্মবেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা যুবক আটক
Published: 11th, March 2025 GMT
মানসিক ভারসম্যহীনের ছদ্মবেশ ধরে সড়কে নারীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে সাভারে খালিদ মাহমুদ ওরফে হৃদয় খান নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের উত্ত্যক্ত করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে তাকে সাভারের আমিনবাজার থেকে আটক করা হয়।
ঢাকা জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে বিএনপি অফিসে বোমা হামালার ঘটনায় মামলা
গাজীপুরে ২ মহাসড়ক অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি ফেসবুক পেইজে খালিদ মাহমুদ হৃদয় খানকে দেখা যায়, পাগলের বেশে মেয়েদের হিজাব ছাড়া বের না হওয়ার জন্য তাদের প্রতি অশালীন মন্তব্য করছেন। এটা তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন এবং এতে করে সমাজের সব মেয়েদের তিন হেয় করছেন।
ভিডিওতে ওই যুবককে বলতে শোনা যায়, হিজাব না পড়লে ধর্ষিত হবেন। এছাড়া নারীদের প্রতি মন্তব্য ছিল অনেক আপত্তিকর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সূত্র ধরে খালিদের আইডিতে থাকা বিভিন্ন ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তিনি বিভিন্ন সময় মেয়েশিশু, কিশোরী ও নারীদের পথ আটকে নানা আপত্তিকর কথা বলেছেন। কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, সে কথাও বলেছেন।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো.
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ
সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে দলটি।
আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন।
মুশতাক হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান উল্লেখ করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। এই গণ–অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশের নাম বাংলাতে পরিবর্তনকে তাঁরা অনাবশ্যক বলে মনে করেন।
আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের।আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা