চোটের কারণে লম্বা সময় বাইরে থাকার পর সান্তোসের হয়ে নিয়মিত খেলা শুরু করেছিলেন নেইমার। এর মধ্যে ৭ ম্যাচ খেলে ৩ গোল ও ৩ অ্যাসিস্টে আলোও ছড়িয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু এরপরই বাধে বিপত্তি।

গতকাল ক্যাম্পেওনাতো পলিস্তার সেমিফাইনালে চোটের কারণে একাদশ থেকে ছিটকে যান নেইমার। পরে বেঞ্চে বসে দেখেছেন দলের বিদায়। করিন্থিয়ানসের বিপক্ষে সান্তোসের হার ২-১ গোলে।

সেই ম্যাচের আগে খেলতে না পারার কষ্টে নেইমারের কান্নার ভিডিও সামনে এসেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরালও হয়েছে। অবশ্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে। মূলত সেমিফাইনালের আগে গত সপ্তাহে কার্নিভ্যাল দেখতে যাওয়ার কারণেই এই সমালোচনা শুনতে হচ্ছে নেইমারকে।

৩ মার্চ সান্তোস-ব্রাগানতিনো ম্যাচে বদলি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নেইমারকে দেখা যায় কার্নিভ্যাল প্যারেডে। চোটশঙ্কা নিয়ে নেইমারের পার্টিতে যাওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না অনেকেই।

আরও পড়ুনবেঞ্চে বসে জয় দেখলেন মেসি, বিদায় দেখলেন নেইমার১০ মার্চ ২০২৫

জনপ্রিয় লেখক কাসাগ্রান্দে জুনিয়র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সে সেমিফাইনালের বদলে কার্নিভ্যালকে বেছে নিয়েছে। নেইমারের গত পাঁচ বছরের আচরণ আবার ফিরেছে। সে নিজের মজা ও আনন্দের জন্য পেশাদারির দিকও বদল ফেলে।’

অন্য এক সাংবাদিক যেমন লিখেছেন, ‘এটা সমর্থন করার মতো নয়। সে ফুটবলকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। এমনকি চোটও তার কার্নিভ্যালে যাওয়া ঠেকাতে পারেনি।’ আরেক ফুটবলপ্রেমী লিখেছেন, ‘সে কখনো বদলাবে না।’ অন্য একজনের মতো এমন, ‘চোট নিয়ে নেইমারের কার্নিভ্যালে যাওয়া তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’ আরেকজন ভক্ত লিখেছেন, ‘সে কখনোই বদলাবে না। অথচ বার্সা সমর্থকেরা তাকে দলে ফেরাতে চায়।’

বেঞ্চে বসে দলের বিদায় দেখেছেন নেইমার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভৈরবে নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে  লামিয়া (১০) ও সামিয়া (১২) নামে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই বোন লামিয়া ও সামিয়া আগানগর ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের সৌদী প্রবাসী সহিদ মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয়দের বরাতে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ফুয়াদ রোহানী জানান, দুই দিন আগে ওই দুই শিশু মায়ের সাথে নানা বাড়ি আগানগর ইউনিয়নের মেঘনা তীরবর্তি চরপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে। বিকেলে অন্য শিশুদের সাথে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নামে লামিয়া ও সামিয়া। এক সময় সবার অজান্তে তারা পানিতে তলিয়ে যায়।  তারা বাসায় ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে নদীতে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা/রুমন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ