ধর্ষণের শিকার হওয়া তিন বছরের শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন সাবেক এমপি নাসের
Published: 11th, March 2025 GMT
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার তিন বছরের শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান। পাশাপাশি মামলার ব্যয়ভার বহন এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাতে ফোনে ওই শিশুর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন নাসের রহমান। এসময় তিনি শিশুটির চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করবেন বলে জানান। একই সঙ্গে মামলার সঠিক চার্জশিট দিতে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
শিশুটির মা জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, “বাসার মালিক আমাকে হুমকি দিচ্ছেন, কারণ আমি পুলিশের কাছে নির্যাতনের প্রমাণের কথা বলেছি। ঘটনার দিন তারা শিশুটিকে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে দেয়নি।”
এ সময় নাসের রহমান তাকে আশ্বস্ত করেন এবং আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
গত ৩ মার্চ সকালে বড়লেখা পৌরসভার গাজিটেকা-আইলাপুর এলাকার একটি দোকান থেকে চকলেট কিনতে গিয়ে ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি, দোকান মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে রেদওয়ান ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতে মৌলভীবাজার থেকে একটি প্রতিনিধি দল শিশুটির মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জনি আহমেদ, ছাত্রদল নেতা আখলাকুর রহমান জাবের, জামিল আহমেদ তানভীর ও জুবেদ হোসেন।
তারা শিশুটির জন্য ফল ও চকলেট নিয়ে যান এবং শিশুর মায়ের হাতে নাসের রহমানের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
ছাত্রদল নেতা জনি আহমেদ বলেন, “শিশুটির চিকিৎসা ও আইনি লড়াইয়ের সমস্ত ব্যয় নাসের রহমান বহন করবেন।”
বর্তমানে শিশুটি সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নাসের রহমান জানিয়েছেন, শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তিনি প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন স র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই
মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ দুজনকে ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের সহযোগীরা।
কালকিনি থানা জানিয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কালকিনি থানা ভবন-সংলগ্ন মাছ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
থানায় লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষোভ
‘ক্রিম আপা’র বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা
যাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- কালকিনি পৌর এলাকার ঠেঙ্গামারা গ্রামের সিরাজ খানের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. রাসেদ খান এবং একই গ্রামের মো. মোস্তফা সরদারের ছেলে মো. আল আমিন সরদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতক্ষদর্শী জানান, পুলিশ মাদকসহ দুই আসামিকে আটক করে হাতকড়া পরায়। এসময় পুলিশ সদস্য কম ছিলেন। তখন উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি বাকামিন খানের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে পুলিশের কাছ থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যান।
কালকিনি থানার এ.এস.আই. সোহেল রানা বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস.আই. আবুল বাশারের নেতৃত্বে আমরা বেশ কয়েকজন মিলে থানা ভবন-সংলগ্ন মাছ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বাকামিন খানের বড় ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেদ খান ও আল আমিনকে পাঁচ পিচ ইয়াবাসহ আটক করি। পরে আটককৃতদের সহযোগীরা আমাদের কাছ থেকে তাদের দুইজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর তাদের সহযোগীরা তাদের ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। তখন পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পৃথক মামলা হচ্ছে।
ঢাকা/বেলাল/রাসেল