বর্তমানে কম বয়সীরাও ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। ফ্যাটি লিভার 'হেপাটিক স্টেটোসিস' নামেও পরিচিত এতটি রোগ। যকৃতে অতিরক্ত চর্বি জমা হলে তাকে ফ্যাটি লিভার বলে। অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে রোগীর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগ কাদের বেশি হয় জানেন?
‘জার্নাল অফ ক্লিনিকাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল হেপাটোলজি’-তে একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরই ফ্যাটি লিভারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, দীর্ঘ সময়ে বসে থেকে কাজ, রাত জাগার অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, কোনো প্রকার নেশা করেন না এমন লোকেদেরও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। যাকে বলে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার’।
ভারতীয় চিকিৎসক কুমার গৌরব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফ্যাটি লিভারের রোগীরা পেটের উপরে ডান দিকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এ ছাড়া প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যাবে। প্রচণ্ড ক্লান্তি ও ঝিমুনি থাকবে। অনেকের ক্ষেত্রে জন্ডিসের লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন যারা—
১.
২. মেনোপজ শুরু হয়েছে এমন নারীদের
৩. স্থূলতা আছে যাদের
৪. শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা যাদের বেশি
৫. অনেক দিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন যারা
এই রোগ মোকবিলায় করণীয়: আমাদের একটি ধারণা আছে ফ্যাটি লিভার হলে প্রোটিন গ্রহণ একদমই কমিয়ে দিতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এটা মোটেও ঠিক নয়। এই রোগ প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই উন্নত মানের প্রোটিন খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তবে মাছ খাওয়ার সময় সেই মাছের চর্বির অংশটি বাদ দিয়ে খেতে হবে। মুরগির চামড়া খাওয়া যাবে না। গরুর মাংস খেতে পারেন, সেক্ষেত্রে চর্বির অংশ দিয়ে খেতে হবে।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেবদাসে শুরু, প্রথম ছবিতেই বাজিমাত
ফেসবুক