প্রবাসীদের জন্য প্রক্সি ভোটের সুপারিশ করা হয়েছে: ইসি সানাউল্লাহ
Published: 11th, March 2025 GMT
আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের জন্য প্রক্সি ভোটের সুপারিশ করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রবাসীদের জন্য বর্তমানে যে পদ্ধতি আছে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে, অর্থাৎ পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম, এটি অচল সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে বিদেশ থেকে একটি ভোটও কাস্ট হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে প্রক্সি ভোটে যেতে হবে। এটি বেশ কিছু দেশে আছে। এটি একমাত্র পদ্ধতি যার মাধ্যমে রিয়েল টাইমে ভোট নেওয়া সম্ভব একজন প্রবাসীর।’
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রক্সি ভোটের বিষয়ে ওয়ার্কশপ করা হবে, বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে। এরপর রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করব। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে বলতে পারব কতদিন সময় লাগবে এই সিস্টেম ডেভেলপ করতে। চূড়ান্তভাবে সবাই রাজি হলে বর্তমান আইনের পরিবর্তন করতে হবে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে একজন প্রবাসী তার পক্ষে ভোটটি কে দেবেন সেই ব্যক্তিকে পছন্দ করতে পারবেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব স স ন উল ল হ প রব স দ র
এছাড়াও পড়ুন:
চাষাড়ায় গ্যাস লিকেস থেকে বিস্ফোরণ, আরো একজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় একটি বাসায় গ্যাস লিকেস থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ মোহাম্মদ সোহাগ (২৩) নামে আরও এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃত্যুসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪-এ।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ সোহাগ মারা যান। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, “নারায়ণগঞ্জের চাষারার একটি বাসায় গ্যাস লিকেস থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ নারী শিশুসহ ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছিল। সোহাগ নামে আরো একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত দেড়টার দিকে আইসিইউতে মারা যায়। এই নিয়ে ৮ জনের ৪ জন মারা গেলেন।
এর আগে সোহাগের মেয়ে সুমাইয়া, তার স্ত্রী রুপালি মারা যান। এই ঘটনায় আব্দুল মান্নান নামেও আরেকজন মারা যান। বতর্মানে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দগ্ধের পরিমাণ সাব্বির ২৭ শতাংশ, নুরজাহান লাকি ২২ শতাংশ, সামিয়া ৯ শতাংশ ও জান্নাত ৩ শতাংশ দগ্ধ। এদের (এনহাল্যুশন) বার্ন রয়েছে, শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ রুবেল বলেন, “আমাদের বাড়ি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানা এলাকায়, আমার ভাই সোহাগ ও তার স্ত্রী রূপালী দুজনই পোশাক শ্রমিক ছিলেন।”
ঢাকা/বুলবুল/টিপু