কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক অফিস থেকে মাসুম হোসেন (৩২) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও সেখান থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, দুটি শটগানের গুলি, একটি চায়না রাইফেলের গুলি ও দুটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরসাদিপুর মোড় থেকে অস্ত্র-গুলি ও ককটেলসহ তাকে আটক করা হয়। আটক মাসুম চরসাদিপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরসাদিপুর মোড়ে আওয়ামী লীগের অফিস গত ৫ আগস্টের পর মানব কল্যাণ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। অফিসটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টানানো থাকায় বশির আহমেদ নামের স্থানীয় এক বিএনপি কর্মী প্রতিবাদ করলে মাসুম তাকে মারধর করে ও অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ ওঠে। 

সোমবার পুলিশে খবর দিলে সেখানে তল্লাশি করে মাসুমকে আটক করে পুলিশ। পরে মাসুমের দেখানো অফিস কক্ষ থেকে দুটি শটগানের গুলি, একটি চায়না রাইফেলের গুলি, একটি ওয়ান শুটার গান ও দুটি ককটেল উদ্ধার করে। 

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার আলামত ও আটক মাসুমকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উদ ধ র আটক আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই

মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ দুজনকে ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের সহযোগীরা। 

কালকিনি থানা জানিয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কালকিনি থানা ভবন-সংলগ্ন মাছ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। 

আরো পড়ুন:

থানায় লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষোভ

‘ক্রিম আপা’র বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা

যাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- কালকিনি পৌর এলাকার ঠেঙ্গামারা গ্রামের সিরাজ খানের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. রাসেদ খান এবং একই গ্রামের মো. মোস্তফা সরদারের ছেলে মো. আল আমিন সরদার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতক্ষদর্শী জানান, পুলিশ মাদকসহ দুই আসামিকে আটক করে হাতকড়া পরায়। এসময় পুলিশ সদস্য কম ছিলেন। তখন উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি বাকামিন খানের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে পুলিশের কাছ থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যান। 

কালকিনি থানার এ.এস.আই. সোহেল রানা বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস.আই. আবুল বাশারের নেতৃত্বে আমরা বেশ কয়েকজন মিলে থানা ভবন-সংলগ্ন মাছ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বাকামিন খানের বড় ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেদ খান ও আল আমিনকে পাঁচ পিচ ইয়াবাসহ আটক করি। পরে আটককৃতদের সহযোগীরা আমাদের কাছ থেকে তাদের দুইজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর তাদের সহযোগীরা তাদের ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। তখন পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পৃথক মামলা হচ্ছে। 

ঢাকা/বেলাল/রাসেল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ