এবার হার্দিকও বললেন, ‘ফাইনাল ম্যাচ ইউ পারফর্ম, হোয়াট হ্যাপেনিং’
Published: 11th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় উদযাপনের সময় হঠাৎ করেই শোনা গেল সেই পুরনো, তবে এখন ভাইরাল হয়ে ওঠা প্রশ্ন—‘ফাইনাল ম্যাচ ইউ পারফর্ম, হোয়াট হ্যাপেনিং।’ আর এবার সেই কথাটি বললেন খোদ ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।
ম্যাচ শেষে যখন ভারতীয় ক্রিকেটাররা উদযাপন নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই আইসিসি ও স্টার স্পোর্টসের হয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন উপস্থাপক যতীন সাপরু। আনন্দঘন মুহূর্তে হার্দিক পান্ডিয়াকে উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন করেন যতীন। উত্তরে মজা করে হার্দিক বলেন, ‘একজন প্লেয়ার লাইভ করছে আর প্রশ্ন করছে, ফাইনাল ম্যাচ ইউ পারফর্ম, হোয়াট হ্যাপেনিং।’
এই কথার রেশ ধরে যতীন স্মরণ করিয়ে দেন, ‘এই প্রশ্নটা তো বার্বাডোজে করেছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল।’
View this post on InstagramA post shared by Star Sports India (@starsportsindia)
উল্লেখ্য, ২০২৩ বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশের এক টিভি উপস্থাপক আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন ও মঈন আলীকে এই প্রশ্ন করেছিলেন। প্রশ্নটির ভাষা ও উচ্চারণে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন ক্রিকেটাররা, কিন্তু সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়।
এরপর থেকেই এই বাক্যটি একটি রসিকতা হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেট মহলে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর ফাইনালের পর খেলোয়াড়দের মুখে প্রায়ই শোনা যায় এই কথা। এমনকি গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পরও এই বাক্য নিয়ে মজা করেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও উপস্থাপক যতীন সাপরু। এবার সেই ট্রেন্ডে যোগ দিলেন হার্দিক পান্ডিয়াও।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল চীন
মার্কিন পণ্য আমদানিতে নতুন করে আরও ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। খবর সিএনএনের।
স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার চীনের অর্থমন্ত্রী নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের এ ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত বুধবার মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল চীন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আগ্রাসী শুল্কনীতি ঘোষণার পর থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ফলে পরিস্থিতি ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর মধ্যে চীন নতুন করে মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিল।
বেইজিং জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত আর কোনো শুল্কের জবাব দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ‘অস্বাভাবিক উচ্চ শুল্ক’ আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক বাণিজ্যনীতি, মৌলিক অর্থনৈতিক আইন এবং সাধারণ বিচার-বিবেচনার গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একতরফা গুণ্ডামি ও জবরদস্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন মাসের জন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলেও চীনের ওপর উচ্চ শুল্কহার বজায় রেখেছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, কী হবে, সেটি ভবিষ্যতেই দেখা যাবে। চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ যদি চুক্তি না করে, তাহলে ৯০ দিন পর পাল্টা শুল্ক ফিরিয়ে আনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে, ২০২৪ সালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৫৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছিল। চলমান শুল্কযুদ্ধের কারণে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাণিজ্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে বুধবার জানিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।