রাজধানীর পল্লবী থানায় ঢুকে এক যুবক হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে থানার ওসিসহ তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারী আবদুর রাজ্জাক ফাহিমসহ চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন- পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম, এসআই শরিফুল ইসলাম ও এএসআই মো. নাসির। তারা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ওসি নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ফাহিম নামে ওই যুবক থানায় এসে দাবি করেন, এলাকায় একটি খুন হয়েছে। এরকম ঘটনা আমার জানা নেই- বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন- আপনি এটা নিয়ে লুকোচুরি করছেন কেন? আপনার ডিউটি অফিসার জানে। তখন ওই যুবককে নিয়ে ডিউটি অফিসারের কাছে যায়। সেখানে অন্যরাও বলেন, এরকম ঘটনা তাদের জানা নেই। পরে ওই যুবকের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কিছু বলেন না। একপর্যায়ে আমি তার হাত ধরে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হঠাৎ আমাকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। তখন এএসআই নাসির তা ঠেকাতে এলে ওই যুবক মেরে তার একটি আঙুল ভেঙে দেন। এ ছাড়া এসআই শরিফুলের কপালে ঘুষি মারেন। পরে আমরা তাকে আটক করি।

ওসি জানান, আটকের পর ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাইরে একটি গাড়িতে আরও তিনজন রয়েছেন। পরে তাদেরকেও আটক করা হয়। তাদের বাড়ি গাজীপুর। তারা কেন এমন কাণ্ড করেছেন তা জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৮ জনকে গণপিটুনি

রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ছিনতাইকারী সন্দেহে আটজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে দুপুরে মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের ভাষ্য, ছিনতাইকারী সন্দেহে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকায় চারজনকে, চকবাজারে দুজনকে, মতিঝিল ও ভাটারায় দুজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারজানা আক্তার বলেন, যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ী এলাকায় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ছিনতাইকারী সন্দেহে চারজনকে স্থানীয় জনগণ পিটুনি দিয়েছে। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।

যাত্রাবাড়ীতে গণপিটুনিতে আহতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৩৬), রবিউল ইসলাম (৪০), রিপন মিয়া (৪২) ও সোহাগ মিয়া (৫৪)।

এদিকে মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় এক নারীর ব্যাগ নিয়ে পালাতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়ে তন্ময় (১৭) নামের এক কিশোর। পরে সংবাদ পেয়ে মতিঝিল থানা-পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়। এ ছাড়া চকবাজারের বকশীবাজার এলাকায় কাগজের কার্টন চুরির অভিযোগে মো. অপু (১৮) ও মো. আলী (৩২) নামের দুজনকে পিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম বলেন, দুজনকে উদ্ধার করে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

অন্যদিকে ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকায় আজ সকালে একটি বাসা থেকে মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ চুরি করে পালাতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়েন মানিক মিয়া (২৩) নামের এক যুবক। এরপর তাঁকে মারধর করা হয়। পরে সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান তাঁকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সমন্বয়ক পরিচয়ে পুলিশকে মারধর করে আসামি ছিনতাই
  • সমন্বয়ক পরিচয়ে পুলিশকে মেরে আসামি ছিনতাই
  • পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের হামলা, ওসিসহ আহত ৩
  • দুই পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
  • কুমারখালীতে ২ এএসআই হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার 
  • রাজধানীতে চোর ও ছিনতাইকারী সন্দেহে ৮ জনকে গণপিটুনি
  • রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৮ জনকে গণপিটুনি
  • এক মাদক কারবারির জন্য পুলিশের কত রকম কাণ্ড