আইপিএলের সময়ে সিরিজ, পাকিস্তানের বিপক্ষে কাদের নিয়ে খেলতে নামছে নিউজিল্যান্ড
Published: 11th, March 2025 GMT
এবারের আইপিএল শুরু ২২ মার্চ। এর ৬ দিন আগে শুরু পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, শেষ হবে ২৬ মার্চ। সাংঘর্ষিক সূচির কারণে পাকিস্তান সিরিজে খেলবেন না কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
স্যান্টনারের অবর্তমানে পাকিস্তান সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। গত বছর এপ্রিলে এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই দলকে প্রথমবার নেতৃত্ব দেন ব্রেসওয়েল।
শুধু স্যান্টনার নয়, এই সিরিজে থাকছেন না লকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র, ডেভন কনওয়ে, গ্লেন ফিলিপসও। বলা যায় দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে নিউজিল্যান্ড।
নিজ দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া সত্যিই বড় সম্মান এবং গর্বের বিষয়।মাইকেল ব্রেসওয়েলব্রেসওয়েলসহ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা ৭ জন ক্রিকেটার আছেন পাকিস্তান সিরিজের নিউজিল্যান্ড দলে। দলে ফিরেছেন স্পিনার ইশ সোধি। চোটের সঙ্গে লড়াই করা পেসার বেন সিয়ার্সকেও দলে রাখা হয়েছে।
তিনি চোটের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মাঠে নামতে পারেননি। ফিরেছেন ফিন অ্যালেন, জিমি নিশাম এবং টিম সাইফার্ট। কাইল জেমিসন ও উইল ও'রুর্ককে সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচের জন্য দলে রাখা হয়েছে। পেসার ম্যাট হেনরি থাকবেন শেষ দুই ম্যাচের জন্য।
আরও পড়ুনহার্দিকের মুখে ‘ফাইনাল ম্যাচ ইউ পারফর্ম, হোয়াট হ্যাপেনিং’১ ঘণ্টা আগেঘরের মাঠে প্রথমবার নেতৃত্ব দিতে যাওয়া ব্রেসওয়েল বলেছেন, ‘নিজ দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া সত্যিই বড় সম্মান এবং গর্বের বিষয়। আমি গত বছর পাকিস্তানে দলকে নেতৃত্ব দিতে দারুণ উপভোগ করেছিলাম, এবং সেই সফরের অনেক খেলোয়াড় এবারও দলে থাকছেন, সত্যিই ভালো লাগছে।’
বাবর–রিজওয়ান নেই পাকিস্তান দলে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র সওয় ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিলুপ্তপ্রায় গোটালি মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল
সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিলুপ্তপ্রায় গোটালি মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশের ২৬১ প্রজাতির মিঠাপানির মাছের মধ্যে গোটালি (বৈজ্ঞানিক নাম Crossochelius latius)) একটি গুরুত্বপূর্ণ সুস্বাদু ছোট মাছ। মাছটি অঞ্চলভেদে কালাবাটা নামেও পরিচিত।
মিঠাপানির জলাশয়, বিশেষ করে পাহাড়ি ঝর্ণা ও অগভীর স্বচ্ছ নদী গোটালি মাছের আবাসস্থল। উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, আত্রাই ছাড়াও নেত্রকোনার সোমেশ্বরী, কংস, সিলেটের পিয়াইন, পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে একসময় মাছটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত।
জলাশয় দূষণ, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, নদীতে বানা ও কারেন্ট জালের ব্যবহার, খরা মৌসুমে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা এবং নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরাসহ নানা কারণে বাসস্থান ও প্রজননক্ষেত্র নষ্ট হওয়ায় দিন দিন অন্যান্য দেশীয় ছোট মাছের মতো গোটালি মাছের প্রাপ্যতাও ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আইইউসিএন (২০১৫) এর তথ্য অনুযায়ী, গোটালি মাছ এখন বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি উপকেন্দ্র, সৈয়দপুরের বিজ্ঞানীরা ২০২৩ সালে তিস্তা নদীর তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মাছটি সংগ্রহ করে উপকেন্দ্রের গবেষণা পুকুরে অভ্যস্তকরণ ও কৃত্রিম প্রজননের জন্য গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গোটালি মাছের পোনা উৎপাদনে সফলতা অর্জিত হয়। গবেষণায় নেতৃত্বে দেন প্রধান বৈজ্ঞানিক র্কমকর্তা ড. আজহার আলী। গবেষকদলে ছিলেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. সোনিয়া শারমীন, মালিহা হোসেন মৌ ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শ্রীবাস কুমার সাহা।
কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ মাছের পোনা উৎপাদন সম্ভব হওয়ায় মাছটি চাষের আওতায় চলে আসবে; যা উত্তর জনপদে তথা দেশের মৎস্য খাতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে এবং মাছটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
ঢাকা/রফিক