ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। সেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা এবার ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট মাঠেও। ২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দলের নারী ক্রিকেট দল। বুয়েনস এইরেসের সেন্ট আলবান্স ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২৫ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে ব্রাজিল।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ব্রাজিল নারী দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে তোলে মাত্র ৬৯ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২ রান করেন অধিনায়ক কারোলিনা নাসিমেন্তো। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫.

১ ওভারেই মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক আর্জেন্টিনা।

শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল আর্জেন্টাইনরা। দুই ওপেনার আলবের্তিনা গালান (৯) ও মালেনা লোয়ো (১০) দলকে এনে দেন ২২ রানের উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু এরপরই ব্রাজিলীয় বোলারদের দাপটে একের পর এক উইকেট হারায় তারা। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নিকোল মন্তেইরো। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নিয়ে তিনি হয়ে যান ম্যাচসেরা।

আর্জেন্টিনার পক্ষে গালান ও লোয়োই ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এই জয়ে ডাবল লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টে ব্রাজিল ভালো অবস্থানে রয়েছে। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে নিয়ে আয়োজিত এই অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষ দলটি যাবে গ্লোবাল রাউন্ডে।

আগামী ১৭ মার্চ আবারও মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নারী দল। তার আগে এই জয় আত্মবিশ্বাস দেবে ব্রাজিল দলকে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

দেশ থেকে আড়াই-তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “দেশ থেকে আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের বড় শিল্প গ্রুপ আছে। বেক্সিমকোর পাচার করা অর্থ ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো। এগুলো শুধু বড় গ্রুপ। ছোটগুলোকে আপাতত দেখছি না।”

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম এবং সমসাময়িক ব্যাংকিং বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

পাচার করা অর্থ ফেরানো প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, প্রথমে এস্টেটগুলো (সম্পত্তি) ফ্রিজ করার চেষ্টা করব। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা কথা বলছি, চিঠি দিচ্ছি। ল ফার্মগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। শিগগিরই তাদের হায়ার (নিয়োগ) করা হবে। এস্টেট ট্রেসিং ফার্মের সঙ্গে কথা বলছি, যথেষ্ট সহযোগিতাও পাচ্ছি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এস্টেট ফ্রিজ করা হবে। এটিই হবে প্রাথমিক সফলতা।

আদালতের মাধ্যমে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে টাকা ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, উল্লেখ করে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সব বিষয় আদালতের মাধ্যমে নয়, আউট অব কোর্ট সেটেলমেন্ট বলে একটা কথা আছে। তার আগে সব তথ্য নিতে হবে। যখন সব তথ্য থাকবে, তখন তারা নেগোসিয়েশনে আসবে। নেগোসিয়শনে গেলে সব তথ্য নিয়েই যাওয়া লাগবে। না হলে তো আমরা ঠকে যাব।

তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ একেবারেই নতুন। এটি দেশের আইনে নয়, বিদেশের আইনের সঙ্গে সংযোগ করে করতে হবে। কোথায় কী আছে, সে তথ্য আগে আনতে হবে। এস্টেট ফ্রিজ করার পর আদালতের মাধ্যমে বাকি প্রক্রিয়া হবে।

দেশে মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, আগে মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে দেখানো হতো। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৯-১০ শতাংশ দেখানো হতো। কিন্তু, প্রকৃতভাবে দেখা গেছে ১৩-১৪ শতাংশ। গত মাসে সেটি দেখা গেছে ৮-৯ শতাংশে আছে। সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি স্বস্তির দিকেই আছে। আগামী বছর সেটিকে ৫ শতাংশ বা তার নিচে নামিয়ে আনতে পারব বলে ধারণা করছি।

অর্থ পাচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেকে জড়িত আছে, এ বিষয়ে গভর্নর বলেন, অমূলক তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে চাকরিচ্যুত করার পক্ষে আমি নই। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। দুদক বা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা যদি তথ্য-প্রমাণ দেয় যে কেউ জড়িত আছে, আমরা ব্যবস্থা নেব। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জোবাইর হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামন, মো. আশিকুর রহমান ও স্বরুপ কুমার চৌধুরী।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ