স্ত্রী সন্তানের পর না ফেরার দেশে আগুনে দগ্ধ সোহাগও
Published: 11th, March 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিমধনকুন্ডা শান্তিবাগ এলাকায় টিনশেড বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মো. সোহাগ (৩০) নামে আরও একজন মারা গেছেন। তিনি জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জনে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বেড নম্বর-১৩-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানান, সোহাগের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
সোমবার (৩ মার্চ) ভোর রাতের দিকে গ্যাস বিস্ফোরণে দুটি পরিবারের দগ্ধ নারী ও শিশুসহ ৮ জনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা.
তিনি আরও জানান, চিকিৎসাধীন আছেন সাব্বির (২৭ শতাংশ দগ্ধ), নুরজাহান লাকি (২২ শতাংশ), সামিয়া (৯ শতাংশ) ও জান্নাত (৩ শতাংশ)। দগ্ধদের মধ্যে অনেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
সোহাগের বড় ভাই রুবেল বলেন, আমার ছোট ভাই ও তার স্ত্রী ও তাদের সন্তান সুমাইয়া কেউ বেঁচে রইল না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আগ ন প ড় ম ত য পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই
মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ দুজনকে ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের সহযোগীরা।
কালকিনি থানা জানিয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কালকিনি থানা ভবন-সংলগ্ন মাছ বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
থানায় লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষোভ
‘ক্রিম আপা’র বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা
যাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- কালকিনি পৌর এলাকার ঠেঙ্গামারা গ্রামের সিরাজ খানের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. রাসেদ খান এবং একই গ্রামের মো. মোস্তফা সরদারের ছেলে মো. আল আমিন সরদার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতক্ষদর্শী জানান, পুলিশ মাদকসহ দুই আসামিকে আটক করে হাতকড়া পরায়। এসময় পুলিশ সদস্য কম ছিলেন। তখন উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি বাকামিন খানের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে পুলিশের কাছ থেকে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যান।
কালকিনি থানার এ.এস.আই. সোহেল রানা বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস.আই. আবুল বাশারের নেতৃত্বে আমরা বেশ কয়েকজন মিলে থানা ভবন-সংলগ্ন মাছ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বাকামিন খানের বড় ভাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেদ খান ও আল আমিনকে পাঁচ পিচ ইয়াবাসহ আটক করি। পরে আটককৃতদের সহযোগীরা আমাদের কাছ থেকে তাদের দুইজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর তাদের সহযোগীরা তাদের ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। তখন পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পৃথক মামলা হচ্ছে।
ঢাকা/বেলাল/রাসেল