জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।
টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বাই বলে দেওয়া। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।
গতকাল ঘোষিত ২২ সদস্যের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সবচেয়ে বেশি বেতন পাবেন তাসকিন আহমেদ। অভিজ্ঞতা ও তিন সংস্করণ খেলার কারণে ‘এ’ প্লাস ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে তাঁকে। মাসে ১০ লাখ টাকা বেতন টাইগার এ ফাস্ট বোলারের। গত বছর টেস্টের চুক্তিতে ছিলেন না তিনি। ‘এ’ ক্যাটেগরিতে থেকে থাকা ক্রিকেটারের বেতন আট লাখ টাকা। টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম আছেন ‘এ’ ক্যাটেগরিতে। গেল বছর তিন সংস্করণের চুক্তিতে ছিলেন লিটন, মিরাজ, শান্ত, শরিফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান। জাতীয় দলে না থাকায় সাকিব বাদ পড়েছেন। বাঁহাতি পেসার শরিফুলকে ‘এ’ থেকে ‘সি’ ক্যাটেগরিতে অবনমিত করা হয়েছে।
অনেক বছর পর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। ওয়ানডে-টি২০ খেলার কারণে ‘সি’ ক্যাটেগরিতে আছেন তিনি। জাকের আলী তিন সংস্করণে খেলার পরও ‘সি’ ক্যাটেগরিতে রাখেন নির্বাচকরা। পেস বোলার নাহিদ রানাকে সৌভাগ্যবান বলতেই হবে। টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা এ ফাস্ট বোলার নতুন হয়েও মাসে ছয় লাখ টাকা বেতন পাবেন।
মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মুশফিকুর রহিম, তাওহীদ হৃদয়, হাসান মাহমুদরাও ছয় লাখ টাকা বেতনের ক্রিকেটার। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম ও পেসার খালেদ আহমেদকে রাখা হয়েছে ‘ডি’ ক্যাটেগরি তথা দুই লাখ টাকা বেতন গ্রেডে। মূলত টেস্ট ক্রিকেটারদের বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিসিবির এক কর্মকর্তা। মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দিপুকে কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে রাখার কারণ জানতে চাওয়া হলে একজন পরিচালক বলেন, ‘কে চুক্তিতে থাকবেন, তা ঠিক করেন নির্বাচকরা। তারা যাঁকে এ মুহূর্তের চুক্তিতে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন, তারা আছেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবসর ন
এছাড়াও পড়ুন:
সচিব করার দাবি অবসরে যাওয়া ‘বঞ্চিত’ অতিরিক্ত সচিবদের, জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে দেখা করে সচিব করার দাবি জানিয়েছেন অবসরে যাওয়া ‘বঞ্চিত’ অতিরিক্ত সচিবেরা।
‘বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সচিব ফোরাম’–এর উদ্যোগে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেশ কিছুসংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান। তাঁদের দাবি, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁরা বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১৬ বছরে জনপ্রশাসন থেকে অবসরে যাওয়া ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত এই পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১১৯ জন সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আজ দাবি জানাতে আসা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবেরা সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ইতিমধ্যে অবসরে যাওয়া যে ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতিতে দেওয়া হয়েছে, তাতে নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে। এ–সংক্রান্ত কমিটির আহ্বানে কমিটির কাছে মোট ১ হাজার ৫৪০টি আবেদন জমা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব আবেদন করেন ৫১২ জন। তাঁদের মধ্যে ৫১ জনকে অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন অতিরিক্ত সচিব হওয়ার ক্ষেত্রে কখনো পদোন্নতিবঞ্চিত হননি। এ ছাড়া আবেদন না করেও পদোন্নতি পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পদোন্নতিতে মেধাক্রমকে আমলে নেওয়া হয়নি।
‘বঞ্চিত’ এই অতিরিক্ত সচিবদের দাবি, তাঁরা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। এখন আবার পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়ায় পরিচয় সংকটে পড়েছেন। তাঁদের ভাষ্য, চাকরিতে সবাই সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাবেন না, এটি তাঁরা জানেন। কিন্তু সামাজিক মর্যাদার জন্য তাঁরা সচিব পদে পদোন্নতি চান।
এ বিষয়ে বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সচিব ফোরামের আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে বলেছেন, আর্থিকসংকটের বিষয়টি বিবেচনা করে তাঁরা কোনো বকেয়া বা আর্থিক সুবিধা চাচ্ছেন না। তাঁরা কেবল একটি পরিচয় ও মর্যাদা চান। এ জন্য সচিব পদে পদোন্নতি চান। এ বিষয়ে জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিব তাঁদের বলেছেন, বিষয়টি (ইতিমধ্যে দেওয়া ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি) পর্যালোচনা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছেন।