টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
Published: 11th, March 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশে অবরোধ সৃষ্টি করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় বি এইচ আই এস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ শ্রমিক কাজ করেন। সোমবার তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু বিকেলে মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়েই গোপনে কারখানা ত্যাগ করেন। এরপর শ্রমিকরাও বাসায় ফিরে যান। তবে মঙ্গলবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটকে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ’ লিখিত নোটিশ দেখতে পান। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
মাসুদ নামে এক শ্রমিক সমকালকে বলেন, ‘কিছুদিন পরেই ঈদ। এখন বেতন-ভাতা আটকে রেখে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা মানে আমাদের জীবন ধ্বংস করে দেওয়া। আমরা দিশেহারা— কীভাবে বাসা ভাড়া দেব, দোকানের বাকি শোধ করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। দেশবাসীর কাছে আমরা ন্যায্য বিচার ও সাহায্য চাই।’
একইভাবে শ্রমিক শারমিন আক্তার বলেন, ‘গতকাল আমরা দীর্ঘসময় কারখানায় বেতনের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু মালিকপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়েই চোরের মতো পালিয়ে গেছে। আমাদের সমস্যার সমাধানের জন্য তারা কোনো চেষ্টাই করেনি।’
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, ঘটনাটির পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আশপাশের কয়েকটি কারখানাও বন্ধ করে দেন। মহাসড়ক অবরোধের ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে, এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাতে ৫ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
দেশের পাঁচ অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। অঞ্চলগুলো হলো- রংপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বার্তায় বলা হয়, রংপুর, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বুধবার দুপুর নাগাদ একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় উত্তর দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ