হার্দিকের মুখে ‘ফাইনাল ম্যাচ ইউ পারফর্ম, হোয়াট হ্যাপেনিং’
Published: 11th, March 2025 GMT
ম্যাচ তখন শেষ। হার্দিক পান্ডিয়ারা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের উদ্যাপনে ব্যস্ত। এই সময়ে হার্দিকের সাক্ষাৎকার নিতে গেছেন উপস্থাপক যতীন সাপরু।
ম্যাচ নিয়ে কাটাছেঁড়া নয়, আনন্দের মুহূর্তে হার্দিককে যতীন প্রশ্ন করলেন উদ্যাপন নিয়ে। সেই প্রশ্নের উত্তরেই হার্দিকের মুখে শোনা গেছে সেই ভাইরাল কথাটি—ফাইনাল ম্যাচ ইউ পারফর্ম, হোয়াট হ্যাপেনিং।
হার্দিককে কী বলেছিলেন যতীন? উপস্থাপক ভারতীয় অলরাউন্ডারকে বলেছিলেন, ‘ তুমি তো এখন দলের সিনিয়র ক্রিকেটার। এখনো কি আগের মতো অনুভূতি হয়? জুনিয়রদের উদ্যাপন দেখে কী মনে হয়?’
তখনই যতীন কয়েকজন জুনিয়র ক্রিকেটারদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন—এই দেখো এরা তো লাইভে চলে গেছে। এই কথার জবাবে পান্ডিয়া বলেন এভাবে, ‘হ্যাঁ, ওরা লাইভ করছে। সেখানে বলছে, ফাইনাল ম্যাচ ইউ পারফর্ম, হোয়াট হ্যাপেনিং।’
ফাইনাল জেতার পর ভারত দল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
ওষুধের কাঁচামাল শিল্প সমৃদ্ধে গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্কার কমিশন
ওষুধশিল্পে পরনির্ভরতা কমাতে গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। সুলভ মূল্যে ওষুধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দেশেই সব ধরনের ওষুধের কাঁচামাল তৈরির প্রস্তাব দেবে কমিশন। এই শিল্প সমৃদ্ধে থাকছে জোরালো নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা সুপারিশ।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর দারুস্ সালামে অবস্থিত বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সঙ্গে বাংলাদেশ এপিআই অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএআইএমএ) এক বৈঠকে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ওষুধের ৯৫ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। হাতেগোনা কয়েকটি দেশে এই কাঁচামাল উৎপাদন করে থাকে। দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরি করতে পারলে ঔষধ শিল্প আরও সমৃদ্ধ। এমনকি উৎপাদিত কাঁচামাল বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। সংস্কার কমিশন দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরিতে সুপারিশ করবে।
বৈঠকে বিআইএমএর সভাপতি এস এম সাইফুর রহমান বলেন, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর ওষুধে কাঁচামাল শিল্পকে প্রসারে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ও অনুমোদনপ্রক্রিয়া সহজ করেছে। আমাদেরও এই নীতি সহায়তা প্রয়োজন। এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে তিনি স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন প্রধানের কাছে ৯ দফা প্রস্তাব জানান, প্রস্তাবগুলো ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন ও গবেষণায় এবং সম্পদ উন্নয়নেপ্রণোদনা দিতে হবে। দেশীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামালও উৎপাদনে গ্যাস ও বিদ্যুৎতে ভর্তুকি ব্যবস্থা করতে হবে।
যেসব ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ১২০ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। তাদের আমদানি নিষেধ করা। নিবন্ধন ও অনুমোদন সহজীকরণ করতে হবে। স্থায়ীভাবে যারা ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন করবে, তাদের ভ্যাট ও ট্যাক্স মকুফ সুবিধা দেওয়া। ওষুধ প্রশাসনের ব্লক লিস্ট কমিটিতে বিএআইএমএ প্রতিনিধি নিশ্চিত করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেড এর এম জামাল উদ্দিন, সোডিক্যাল মেডিকেল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নিপ কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, ওয়ার্ল্ড এপিআই কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের প্লান্ট ডিরেক্টর জাকির হোসেন, ডায়াবেটিকস সাইন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ মাহমুদ।