লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আর নেই
Published: 11th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আহমেদ (৫৭) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১০ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বনানী এলাকার বাসভবনে তিনি মারা যান।
নাজিম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজা ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হাসিবুল সিদ্দিক।
আরো পড়ুন:
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন
২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা
নাজিম উদ্দিন আহমেদ বিএনপি জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার এবং ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে দ্বিতীয়বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৬৮ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের ভাদুর মিয়া বাড়িতে নাজিম উদ্দিন আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে বিএনপির এই নেতা স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
নাজিম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র র মগঞ জ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনা আলমের মুক্তিসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন বিলোপের দাবি
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মেঘনা আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই আইন বিলোপেরও দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। কমিটির পক্ষে এই বিবৃতি পাঠান সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিবৃতিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের স্বৈরাচারি আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ একটি ফ্যাসিবাদী আইনের ধারা, যার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারি আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী শ্রমিক জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্খা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’
মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের আনা ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনীতিক সম্পর্ক নষ্ট করার’ অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একইসঙ্গে কূটনৈতিক প্রশ্নে দ্ব্যর্থহীন নতজানুতা প্রকাশ পায়।
বিবৃতিতে অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) বিলোপের দাবি জানায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।