আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক ছিল পাকিস্তান। অথচ ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ছিল না পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি। এমন ঘটনা ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিস্ময়কর। বিস্ময়কর হলেও দুবাইয়ে রবিবার রাতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এমন ঘটনা ঘটেছে।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিওও সুমাইর আহমেদ দুবাইয়ে উপস্থিত ছিলেন। যিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। পিসিবিকে প্রতিনিধিত্ব করতেই দুবাই উপস্থিত ছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান মহনিস নাকভী দুবাই যেতে পারেননি।

পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সুমাইরকে ডাকেনি সংশ্লিষ্টরা। অসন্তোষ প্রকাশ করে স্বাগতিক পাকিস্তান আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বলে খবর। এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে। আইসিসি এখন পর্যন্ত সেই চিঠির জবাব দেয়নি। ক্রিক ইনফো থেকেও আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সাড়া মেলেনি।

আরো পড়ুন:

ভারতকে উপেক্ষা করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত

‘শান্তিতে ঘুমাও’ পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট!

ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চার জন- আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি, সেক্রেটারি দেভাজিৎ সাইকিয়া ও নিউ জিল‍্যান্ড ক্রিকেটের পরিচালক রজার টুজ। দুই দলের খেলোয়াড়দের মেডেল তুলে দেন তারা। জয় শাহর হাত থেকে ট্রফি নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শার্মা। পিসিবির মূল আপত্তি দেভাজিৎ সাইকিয়াকে মঞ্চে তোলা এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিকে না রাখা। এজন্য আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।

যদিও পাকিস্তানের ব্যাখ্যা চাওয়ার খবর এবারই প্রথম নয়। দ্বিতীয় ম্যাচে দুবাইয়ে ভারত ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়। যেখানে টুর্নামেন্টের ভুল লোগো ব্যবহার করে আইসিসি। লোগোতে পাকিস্তানের নামই বাদ পড়েছিল। ক্ষুদ্ধ হয়ে পিসিসি আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চায়। পরবর্তীতে লাহোরে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাজানো হয় ভারতের জাতীয় সংগীত। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়। দুই ঘটনাই ভুলবশত দাবি করে আইসিসি।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স র ক ছ

এছাড়াও পড়ুন:

ওনানার ভুলে ভরা রাতে জয়বঞ্চিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

আন্দ্রে ওনানার জন্য রাতটা এর চেয়ে বাজে হতে পারত না। এককথায় ভুলে ভরা এক রাত। লিওঁর বিপক্ষে তাঁর জোড়া ভুলের কারণেই ইউরোপা লিগে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগ জিততে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২–২ গোলে ম্যাচটি ড্র হয়।

শুধু ওনানার ভুলের কারণেই নয়, শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তার কারণেও ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ড্র হতে যাওয়া ম্যাচে ৮৮ মিনিটে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ইউনাইটেড। এরপর ওনানার দ্বিতীয় ভুলে যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে জয়বঞ্চিত হয় ইউনাইটেড।

লিওঁর মাঠে ওনানা প্রথম ভুলটি করেন ম্যাচের ২৫ মিনিটে। থিয়াগো আলমাদার ফ্রি–কিক ঠেকাতে না পারার কোনো কারণই ছিল না। কিন্তু হাতের কাছে থাকা বলটি আশ্চর্যজনকভাবে মিস করেন ওনানা।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে নতুন করে যা বললেন রাফিনিয়া ১০ ঘণ্টা আগে

বল জড়ায় জালে আর ইউনাইটেড পিছিয়ে পড়ে ১–০ গোলে। গোলরক্ষকের ভুলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরে এসেছিল ইউনাইটেড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লেনি ইউরো এবং নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে গোল করেন জশুয়া জিরকজি।

ম্যাচ শেষে হতাশ ওনানা

সম্পর্কিত নিবন্ধ