নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রদল কর্মী অপূর্বের (২৫) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে খোঁজ-খবর ও শান্তনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 


এসময় তিনি অপূর্বের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

গতকাল সোমবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মাসদাইর এলাকায় নিহত অপূর্বর বাড়িতে যান ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম।

এসময় তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ- সভাপতি আশিক রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজীবসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফোনে ছাত্রদলকর্মী নিহত অপূর্বের মা-বাবাকে বলেন, আপনাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। আমিও আমার ভাইকে হারিয়েছি। সন্তান হারানোর বেদনার চেয়ে বেশি তো কিছু নেই।

আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করব এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

তারেক রহমান আরো বলেন, বিগত ১৬ বছরে আমাদের দলের বহু নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন আমাদের পক্ষ থেকে আমরা আপনার পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

উল্লেখ্য, গত রবিবার চাষাড়ার বালুর মাঠ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় বাক-বিতন্ডায় জড়ায় সম্রাট। একপর্যায়ে অপূর্ব'র বুকে ছুরিকাঘাত  করে  সম্রাট। 
এসময় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এসময় উত্তেজিত জনতা সম্রাটকে মারধর শুরু করে করে পুলিশে সোপর্দ করে।  ছাত্রদল কর্মী অপূর্ব (২০), মাসদাইর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ছ ত র দল

এছাড়াও পড়ুন:

বাবাকে হাত-পা বেঁধে মাথায় গরম পানি ঢেলে নির্যাতনের অভিযোগ সন্তানদের বিরুদ্ধে

লাকসামে বাবার সম্পত্তি সন্তানদের নামে লিখে না দেওয়ার জন্য বাবাকে হাত-পা বেঁধে গরম পানি মাথায় ঢেলে দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে সন্তানদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাকসাম পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের গোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার এ ঘটনার ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, গোপালপুর গ্রামের বাড়ির উঠানে বৃদ্ধ বাবার হাত ধরে করছে টানাহেঁচড়া করছেন তার সন্তানরা। এসময় তারা বাবার গায়ের গেঞ্জিটাও টানতে টানতে ছিঁড়ে ফেলেন। বাবাকে টেনেহিঁচড়ে জবরদস্তি করে তাকে হাত পা বাঁধা হয়, এরপর গরম পানি বাবার মাথা ও মুখে ঢালেন তারই সন্তানেরা। এসময় ওই বৃদ্ধ বাবার আত্নচিৎকার করে বলেন ‌‘ও আল্লাহ রে, ও আল্লাহ, ও মা গো মা, ও ভাইরে ভাই, ও জসিমের মারে..., জসিমের মা আমারে বাঁচান, কে কোথায় আছেন- আমাকে বাঁচান, আমাকে মাইরা ফেলছে তারা...’। ওই নির্যাতন দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ওই বাবার নাম আবদুল জলিল (৬০)। আর নির্যাতনকারীরা তার ছেলে, মেয়ে ও তার স্ত্রী। তারা হলেন- ছেলে শান্ত (২৮), নোমান (২০), রকি (১৬), মেয়ে নাজমিন (২৬), নুপুর (১৩) ও জলিলের স্ত্রী রিনা আক্তার (৪৫)।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী আবদুল জলিল বাদী হয়ে সন্তান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, গোপালপুর গ্রামের মৃত হাজী ওয়ালীউল্লার ছেলে আবদুল জলিলের নামে বসতবাড়ি ও মাঠে ১২০ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। জলিলের স্ত্রীসহ তিন ছেলে ২ মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে শান্ত প্রবাসে থাকেন, সে প্রবাস থেকে ওই সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় আবদুল জলিলকে হুমকি দেয় এবং বাড়িতে থাকা জলিলের অন্য সন্তানরা তাকে মারধর করেন। এছাড়া বাবাকে ভরণপোষণও দিচ্ছিলেন না তারা। এ নিয়েই সন্তান ও স্ত্রী সঙ্গে জলিলের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় অনেক বার সামজিকভাবে শালিসও হয়েছে।

প্রতিবেশিরা বলছেন, বৃহস্পতিবার জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রী-সন্তানদের কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় জলিল ঘরের দরজা জানালা ভাঙচুরের চেষ্টা চালাতে গেলে তার ছেলে মেয়েরা বাবার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাণ্ড চালায়। 

নির্যাতনের শিকার আবদুল জলিল জানান, অনেক দিন ধরে আমার সন্তানরা সম্পত্তি নেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিচ্ছে। আমার স্ত্রী রিনা আক্তার এর প্রতিবাদও করে না। আমাকে তারা ভরণপোষণও দেয় না। ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে ঝামেলা করে। ওই দিন আমার সন্তানরা বাড়ির উঠানের মধ্যে আমাকে হাত-পা বেঁধে অনেক মেরেছে। হাত-পায়ে শরীরে এখনও দাগ আছে।

লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা শুক্রবার রাতে সমকালকে বলেন, নির্যাতনের ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। পারিবারিক কলহ থেকে এ ঘটনা। এ ঘটনায় নির্যাতিত আবদুল জলিল থানায় স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তবে পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে অভিযোগটি আবার প্রত্যাহার করেছেন।

ওসি বলেন, এলাকায় বিষয়টি সামাজিকভাবে বিরোধ নিরসন ছাড়াও পরিবার নিয়ে থানায় এসেছেন। স্ত্রী ও সন্তানরাও বিষয়টি নিয়ে অনুতপ্ত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেলপাড়া গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ
  • ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবিতে গাজীপুরে গার্মেন্টস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা
  • শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের ঐতিহ্যবাহী ফাগুয়া উৎসব
  • গাজীপুরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের ভাঙচুর
  • ৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে
  • ফতুল্লার সমাবেশে মিছিল নিয়ে কাউসারের যোগদান
  • বাবাকে হাত-পা বেঁধে মাথায় গরম পানি ঢালার অভিযোগ সন্তানদের বিরুদ্ধে
  • বাবাকে হাত-পা বেঁধে মাথায় গরম পানি ঢেলে নির্যাতনের অভিযোগ সন্তানদের বিরুদ্ধে
  • ভোটের মাধ্যেমে সৎ লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে : জব্বার
  • ঝিনাইদহে ছাত্রদল নেতাসহ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর, মালামাল লুট