পঙ্গুত্ব নিয়েও আসবাবে নকশা আঁকায় পটু সুধাংশু, এগিয়ে চলেন মনের জোরে
Published: 11th, March 2025 GMT
ছোটবেলা থেকেই দুই পা অবশ। ঘর থেকে বের হয়ে চলাফেরা করাটাই একসময় প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল। কিন্তু পায়ে শক্তি না পেলেও মনের জোরে এগিয়ে চলছেন সুধাংশু সূত্রধর (৩৮)। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর কর্মব্যস্ততায় কাটে। দুই হাতের ছোঁয়ায় বিভিন্ন আসবাবে ফুটিয়ে তোলেন চমৎকার সব নকশা।
সুধাংশু সূত্রধরের বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের চকপাড়া মহল্লায়। পঙ্গুত্ব নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি না করে নিজে কাজ করতে পারেন, এটা ভেবেই আনন্দে সব সময় সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন তিনি।
সুধাংশুর বাবা প্রয়াত হরি মোহন সূত্রধর ও মা মিনতি চন্দ্র সূত্রধর। ছয় ভাইবোনের মধ্যে সুধাংশু সবার বড়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে দুই পা অবশ হয়ে যায় সুধাংশু সূত্রধরের। এরপর আর স্কুলে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। বাড়িতে সামান্য লেখাপড়ার সুযোগ হয়েছে।
সুধাংশুর বাবা হরি মোহন ভাড়া করা ঘরে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাঁর আয়ে স্ত্রী ও ছয় ছেলেমেয়েকে নিয়ে অভাবের সংসার চলত। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বড় ছেলে সুধাংশুকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন হরি মোহন। সুধাংশুর বয়স যখন সাত-আট, তখন হরি মোহন তাঁকে কখনো কোলে করে, কখনো রিকশায় করে দোকানে নিয়ে যেতেন। সেখানে সুধাংশু একই জায়গায় বসে বসে বাবার করা কাঠের নকশার কাজ দেখতেন। ধীরে ধীরে সুধাংশু তাঁর বাবার কাজে সহযোগিতা করতে শুরু করেন। এভাবে সুধাংশুর কর্মজীবনের হাতেখড়ি হয়।
কাঠমিস্ত্রি বাবার কাছেই হাতেখড়ি হয় সুধাংশু সূত্র ধরের। সম্প্রতি শেরপুরের নালিতাবাড়ী বাজারে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ত রধর
এছাড়াও পড়ুন:
হাবীবুল্লাহর শিক্ষককে হত্যা করে আশ্রয় দেওয়া নবদম্পতি: পুলিশ
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে অপরিচিত এক দম্পতিকে বাসায় নিয়ে এসেছিলেন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভুঁইয়া। তারা হলেন– রংপুরের তরুণ মো. নাসিম (২০) ও তার স্ত্রী ফরিদপুরের রূপা (২২)। তাদের মধ্যে নাসিমকে গাড়িচালক ও রূপাকে বাসা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করার কাজ দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর নানারকম ভয় দেখিয়ে তাদের বাসায় আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে ঘটনার দিন রূপাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান সাইফুর। তখন স্বামী–স্ত্রী মিলে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যান।
রাজধানীর উত্তরখানে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দম্পতি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই দাবি করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার ফরিদপুর সদর রেল স্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার রাত ২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে ওই হত্যার ঘটনা ঘটে।
বিস্তারিত আসছে....