খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই তিনি ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে সোচ্চার। ’৯০ দশকে যখন ফিক্সিং নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে তোলপাড়, তখন যে কজন ক্রিকেটার প্রতিবাদী আওয়াজ তুলেছিলেন, রশিদ লতিফ তাঁদের একজন। পরে লতিফ বিভিন্ন সময় দাবি করেছেন, এর জন্য নাকি তাঁকে খেসারতও দিতে হয়েছে অনেক। বারবার দল থেকে বাদ পড়েছেন। ক্যারিয়ার যেভাবে এগোনোর কথা ছিল, সেভাবে এগোয়নি।
সেই একই দাবি আবারও করলেন পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটকিপার। ফিক্সিংয়ের কারণে শুধু তাঁর ক্যারিয়ারের নয়, পাকিস্তান ক্রিকেটেরও বিশাল ক্ষতি হয়েছে, এমন মন্তব্য করে লতিফ আরও বলেছেন, সেই ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তান দল।

আরও পড়ুনবিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ, বাকিরা কে পাবেন কত টাকা১০ ঘণ্টা আগে

 লতিফ এই কথাগুলো বলেছেন পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল জিও টিভিতে ‘হারনা মানা হ্যায়’ নামে এক ক্রিকেট শো-তে। মূলত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল সেই অনুষ্ঠানে। যেখানে সঞ্চালকের সঙ্গে অতিথি হিসেবে লতিফ ছাড়াও ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমির ও সাবেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ।

জিও টিভিতে ‘হারনা মানা হ্যায়’ ক্রিকেট শো-তে মোহাম্মদ আমির ও আহমেদ শেহজাদের মাঝে রশিদ লতিফ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদো ব্র্যান্ডের মূল্য রেকর্ড ১২ হাজার কোটি টাকা 

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড। ফুটবল খেলে তার রোজগার, বিজ্ঞাপন থেকে আয়, সোস্যাশ মিডিয়া থেকে আসা অর্থ ও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় জড়িত থাকায় যে অর্থ তিনি উপার্জন করেন তার সঙ্গে রোনালদো ব্র্যান্ড ব্যবহার করে অন্যের করা আয়কে একত্রিত করে ২০২৫ সালে সিআরসেভেন ব্র্যান্ডের মূল্য দাঁড়াবে রেকর্ড ৮৫০ মিলিয়ন ইউরো বা ১১ হাজার ৭০৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। 

পর্তুগালের পর্তুগিজ ইন্সটিটিউট অব অ্যাডমিস্ট্রিট্রেশন এন্ড মার্কেটিং এক গবেষণায় এই তথ্য পেয়েছে। তাদের পাওয়া তথ্য মতে, রোনালদো সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসর থেকে বছরে ২০০ মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করেন। বিজ্ঞাপন থেকে বছরে তার আয় আসবে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়া তার ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় আছে। 

এর সঙ্গে রোনালদোর আছে সিআরসেভেন ক্লোদিং ব্র্যান্ড। আন্ডারওয়ার, জুতা ও সুগন্ধী বিক্রি হয় এই ব্র্যান্ড থেকে। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায় তার হোটেল ব্যবসা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ব্যয়বহুল সম্পত্তি রয়েছে। জার্মানির একটি দামী ব্র্যান্ডের ঘড়ির সঙ্গে তার ব্যবসায়িক শেয়ার রয়েছে। এছাড়া রোনালদো  ফুটবল ক্লাব কেনার চেষ্টা করছেন। এসব ব্যবসা থেকে মোটা  অঙ্কের  অর্থ উপার্জন করেন তিনি। 

সঙ্গে রোনালদোর নাম ব্যবহার করে অনেক ধরনের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ও রয়েছে। যেমন অ্যামাজনে রোনালদোর নামে ৪০০’র মতো বই রয়েছে। তার আর্থিক মূল্য রয়েছে। আবার প্রতি বছর বিশ্বে রোনালদোর নাম ব্যবহার করে ২ কোটি ২৩ লাখের মতো সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এটারও আর্থিক মূল্য আছে। সব কিছু বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে রোনালদো ব্র্যান্ডের মূল্য। 

রোনালদোর বয়স প্রায় ৪০ বছর। এই বয়সে ক্রীড়াবিদদের ব্র্যান্ড ভেল্যু সাধারণত কমে। রোনালদোর মূল্য বাড়ার কারণ হচ্ছে এখনো তিনি গোল করে যাচ্ছেন। এক হাজার গোলের লক্ষ্য ধরে এগোচ্ছেন তিনি। সৌদি লিগে আসার কারণে তার বেতন পূর্বের চেয়ে কয়েক গুন বেড়েছে। আবার বিজ্ঞাপন থেকেও তার আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। 

উলফ স্পোর্টসের মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ ও ব্যবস্থাপনা অংশীদার ফ্যাবিও উলফ বলেছেন, ‘রোনালদো ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মার্কেটিং ভাবমূর্তি সম্পন্ন ব্যক্তি। প্রতিভা, পরিশ্রম, ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, জীবন শৃঙ্খলা ও অন্যান্য কৌশলের কারণে তার ব্র্যান্ড ভেল্যু এই পর্যায়ে এসেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ