বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বড় ধরনের সাইবার হামলা হয়েছে। এক পোস্টে সাইবার হামলার বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সকাল থেকেই এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীরা এক্স ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকেই তাদের আইডিতে প্রবেশ করতে পারছিলেন না।
পরে বিষয়টি নিয়ে নিজেই এক্সে একটি পোস্ট দেন ইলন মাস্ক। তিনি লিখেছেন, ‘এক্সে বড় ধরনের সাইবার হামলা হয়েছে (এখনও হচ্ছে)’। তবে এই সমস্যার মধ্যেই কখনো কখনো এক্সে প্রবেশ করা যাচ্ছিল।
ইলন মাস্ক এটিকে সাইবার হামলা দাবি করলেও তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ও এই ধরনের সমস্যা হয়েছিল এক্সে। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সাক্ষাৎকারটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪০ মিনিট পরে শুরু হয়। এর কারণ হিসেবে সাইবার আক্রমণকে দায়ী করেছিলেন ইলন মাস্ক।
এদিকে সাইবার নিরাপত্তা বিশষেজ্ঞরা বলেছেন, এক্সের পরিচালন প্রক্রিয়া না দেখে কী ঘটেছে তা বলা কঠিন। তবে সমস্যার স্থায়িত্ব দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি সাইবার হামলা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ওষুধের কাঁচামাল শিল্প সমৃদ্ধে গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্কার কমিশন
ওষুধশিল্পে পরনির্ভরতা কমাতে গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। সুলভ মূল্যে ওষুধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দেশেই সব ধরনের ওষুধের কাঁচামাল তৈরির প্রস্তাব দেবে কমিশন। এই শিল্প সমৃদ্ধে থাকছে জোরালো নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা সুপারিশ।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর দারুস্ সালামে অবস্থিত বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সঙ্গে বাংলাদেশ এপিআই অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএআইএমএ) এক বৈঠকে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ওষুধের ৯৫ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। হাতেগোনা কয়েকটি দেশে এই কাঁচামাল উৎপাদন করে থাকে। দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরি করতে পারলে ঔষধ শিল্প আরও সমৃদ্ধ। এমনকি উৎপাদিত কাঁচামাল বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। সংস্কার কমিশন দেশীয় ব্যবস্থাপনায় কাঁচামাল তৈরিতে সুপারিশ করবে।
বৈঠকে বিআইএমএর সভাপতি এস এম সাইফুর রহমান বলেন, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর ওষুধে কাঁচামাল শিল্পকে প্রসারে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা ও অনুমোদনপ্রক্রিয়া সহজ করেছে। আমাদেরও এই নীতি সহায়তা প্রয়োজন। এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে তিনি স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন প্রধানের কাছে ৯ দফা প্রস্তাব জানান, প্রস্তাবগুলো ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন ও গবেষণায় এবং সম্পদ উন্নয়নেপ্রণোদনা দিতে হবে। দেশীয়ভাবে ওষুধের কাঁচামালও উৎপাদনে গ্যাস ও বিদ্যুৎতে ভর্তুকি ব্যবস্থা করতে হবে।
যেসব ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ১২০ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। তাদের আমদানি নিষেধ করা। নিবন্ধন ও অনুমোদন সহজীকরণ করতে হবে। স্থায়ীভাবে যারা ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন করবে, তাদের ভ্যাট ও ট্যাক্স মকুফ সুবিধা দেওয়া। ওষুধ প্রশাসনের ব্লক লিস্ট কমিটিতে বিএআইএমএ প্রতিনিধি নিশ্চিত করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যাল লিমিটেড এর এম জামাল উদ্দিন, সোডিক্যাল মেডিকেল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, নিপ কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, ওয়ার্ল্ড এপিআই কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের প্লান্ট ডিরেক্টর জাকির হোসেন, ডায়াবেটিকস সাইন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ মাহমুদ।