বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বড় ধরনের সাইবার হামলা হয়েছে। এক পোস্টে সাইবার হামলার বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সকাল থেকেই এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীরা এক্স ব্যবহারে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকেই তাদের আইডিতে প্রবেশ করতে পারছিলেন না।
পরে বিষয়টি নিয়ে নিজেই এক্সে একটি পোস্ট দেন ইলন মাস্ক। তিনি লিখেছেন, ‘এক্সে বড় ধরনের সাইবার হামলা হয়েছে (এখনও হচ্ছে)’। তবে এই সমস্যার মধ্যেই কখনো কখনো এক্সে প্রবেশ করা যাচ্ছিল।
ইলন মাস্ক এটিকে সাইবার হামলা দাবি করলেও তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ও এই ধরনের সমস্যা হয়েছিল এক্সে। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সাক্ষাৎকারটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪০ মিনিট পরে শুরু হয়। এর কারণ হিসেবে সাইবার আক্রমণকে দায়ী করেছিলেন ইলন মাস্ক।
এদিকে সাইবার নিরাপত্তা বিশষেজ্ঞরা বলেছেন, এক্সের পরিচালন প্রক্রিয়া না দেখে কী ঘটেছে তা বলা কঠিন। তবে সমস্যার স্থায়িত্ব দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি সাইবার হামলা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বোনের মরদেহ রিকশায় করে বাড়ি নিয়ে আসি: চিরঞ্জীবী
ভারতের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী চিরঞ্জীবী। চার দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে তেলেগু, তামিল, হিন্দি, কন্নড় ভাষার অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বিশেষ করে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার অবদান অনেক।
চিরঞ্জীবী তার একজীবনে যশ-খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অঢেল সম্পদেরও মালিক। উত্তরাধিকার হিসেবে পুত্র রাম চরণ নিজেকে উচ্চ অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়, তার জীবনে অপূর্ণতা বলতে কিছু নেই! কিন্তু আদতে জীবন এমন নয়। কারণ মানুষের জীবনের ভাঁজে ভাঁজে গল্প লুকিয়ে থাকে। চিরঞ্জীবী তার পারিবারিক অজানা অধ্যায় শেয়ার করেছেন একটি পডকাস্টে।
চিরঞ্জীবীর আসল নাম শিব শংকর ভারা প্রসাদ কোন্দিলা। তবে চিরঞ্জীবী নামেই অধিক পরিচিত। তার বাবার নাম কোন্দিলা ভেঙ্কট রাও আর মায়ের নাম অঞ্জনা। তার বাবা-মা সংগ্রামী জীবনযাপন করেছেন। বিশেষ করে তার মা বড় ধরনের ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে জীবন কাটিয়েছেন।
চিরঞ্জীবী বলেন, “এমন একটি ঘটনা আছে, যা নিয়ে ভাবলেই চোখে জল চলে আসে। গর্ভপাতের কারণে আম্মা তিন সন্তানকে হারান। অথবা এক বছর, দুই বছর এবং আড়াই বছরের সন্তানকে হারান আমার আম্মা।”
ভাই-বোনদের একা সামলাতেন চিরঞ্জীবীর মা। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখন আমার একটি বোনের জন্ম হয়, তার নাম ছিল রমনা। সেই সময়ে বাবা প্রতিদিন বাইরে চলে যেতেন আর আম্মা একাই আমাদের সামলাতেন।”
চিরঞ্জীবীর এক বোন মারা যায়। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই মেগাস্টার বলেন, “আমার বোন রমনার ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আমি আর আম্মা বোনের মরদেহ রিকশায় করে বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম। আমরা জানতাম না কীভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হয়। সেই সময়ে আমাদের প্রতিবেশী ছিল একটি মুসলিম পরিবার। তারা আমাদের সহযোগিতা করে। খবর পেয়ে বাবা বাড়ি আসেন। এরপর আমরা বোনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করি।”
সর্বশেষ কোন্দিলা ভেঙ্কট রাও এবং অঞ্জনা দম্পতির চার সন্তান জীবিত রয়েছেন। তারা হলেন— চিরঞ্জীবী, নাগেন্দ্র বাবু, পবন কল্যাণ ও বিজয়া দুর্গা।
১৯৭৮ সালে তেলেগু ভাষার ‘পুনাধিরুলু’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন চিরঞ্জীবী। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ভাষার ১৫০টির বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে— ‘খাইদি’, ‘পাসিবাড়ি প্রণাম’, ‘ইয়ামুডিকি মুগুডু’, ‘গ্যাং লিডার’, ‘ঘরনা মুগুডু’ প্রভৃতি।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ গত বছর ভারত সরকার চিরঞ্জীবীকে পদ্মবিভূষণ পুরস্কার দিয়েছে। ২০০৬ সালে এই দক্ষিণী মেগাস্টারকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত