চৈত্রের খরতাপে গোলাপের পাপড়িগুলো মলিন হয়ে কিছুটা কুঁকড়ে গেছে। মাজার আর মসজিদের সীমানা আলাদা করে উত্তর–দক্ষিণে মাঝবরাবর চুন-সুরকির যে নিচু প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল, তার ওপর সারি দিয়ে রাখা হয়েছে টকটকে লাল গোলাপের মালা, আর স্তবক। গাঁদার মালাও আছে একটি–দুটি।

আশেকানেরা রোজ সকালে এসে এই প্রাচীরের ওপর এসব ফুল রেখে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান হাজি খাজা শাহবাজের প্রতি। নতুন নয়, এই রীতি নাকি চলছে তিন শতাধিক বছর ধরে!

দৃষ্টির আড়ালে

এই মাজারটি যাঁর, সেই হাজি খাজা শাহবাজ এখন আশেকানদের কাছে পীর হিসেবে পরিচিত হলেও ইতিহাসে তাঁর পরিচয় ব্যবসায়ী হিসেবে। তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন তাঁর স্থাপন করা অনিন্দ্যসুন্দর তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির জন্য। এটি ‘হাজি শাহবাজ’ মসজিদ নামেই পরিচিত। তবে মসজিদটি অনেকটাই দৃষ্টির আড়ালে পড়ে গেছে।

দোয়েল চত্বরের উত্তর পাশে জাতীয় তিন নেতার মাজারের পেছনে হাজি শাহবাজ মসজিদের অবস্থান। এর পশ্চিম দিকে ভূমি থেকে বেশ উঁচু ভিতের ওপরে নির্মিত তিন নেতার মাজারের সুউচ্চ স্থাপত্যকাঠামোর আড়ালে পড়ে গেছে মোগল আমলের এই মসজিদ। দক্ষিণ পাশে শিশু একাডেমি, পূর্ব দিকে হাইকোর্ট, উত্তরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দিরের স্থাপনা। ফলে শাহবাজ মসজিদটি কোনো পাশ থেকেই তেমন নজরে পড়ে না। এই মসজিদে আসার এখন একটিই পথ। সেটি তিন নেতার মাজারের উত্তর পাশের সীমানার পাশ দিয়ে এঁকে বেঁকে মসজিদের প্রধান ফটকের সামনে এসেছে।

‘হাজি শাহবাজ মসজিদের দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ সহজেই নজর কাড়ে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মসজ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউএসএআইডির ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করছে ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সোমবার এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় বসেই তিনি ইউএসএআইডির ওপর খড়্গহস্ত হন। তিনি সংস্থাটি ভেঙে দিতে চান। ইউএসএআইডিতে কাটছাঁট পদক্ষেপের একটা বড় অংশ তদারক করছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

মার্কো রুবিও সোমবার বলেন, ‘৬ সপ্তাহের পর্যালোচনার পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএসএআইডির ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করছি। এ সংক্রান্ত যে ৫ হাজার ২০০টি চুক্তি এখন বাতিল হলো, সেগুলোতে কয়েক দশক ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। যেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমেরিকার মূল জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী ছিল বা ক্ষতি করেছে।’

ইউএসএআইডির মাধ্যমে বিশ্বে হাজার হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। এর সহায়তা বন্ধের ফলে বিভিন্ন দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করেন অনেকেই।

১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ইউএসএআইডি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংস্থাটিতে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিদেশি সহায়তার পরিমাণ ৬৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু ইউএসএআইডির জন্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ।

আরও পড়ুনইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক বরখাস্ত১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনইউএসএআইডি বন্ধে তৎপর ট্রাম্প–মাস্ক: ‘এটি আমাদের শত্রুদের জন্য উপহার’০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ