নিয়ত মানে ইচ্ছা ও সংকল্প। সংকল্প ছাড়া কেউ কয়েক দিনও খাবার না খান, তবে একে রোজা বলা যাবে না। রমজানের রোজার নিয়ত রাত থেকে করা যায়। বিশেষত ভোররাতে যখন সাহ্রি খাওয়া হয়, তখনই রোজার নিয়ত হয়ে যায়। তখন রোজা রাখার সংকল্প থাকলেই নিয়ত সম্পন্ন হয়ে যাবে। মুখে উচ্চারণের দরকার নেই। নিয়ত আরবিতে করাও জরুরি নয়।
বাংলা উচ্চারণ :
নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
রোজার বাংলা নিয়ত
হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের রোজা রাখার নিয়ত করছি, যা আপনার সন্তুষ্টির জন্য ফরজ করা হয়েছে। অতএব, আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
আরও পড়ুনহাতির গল্প১৬ মার্চ ২০২৪কোনো কারণে যদি রাতে রোজার নিয়ত না করা হয় বা দ্বিধা থাকে, তবে দিনের অর্ধেক সময় অতিবাহিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নিয়ত করার সুযোগ আছে। এরপর কিন্তু আর নিয়ত করার সুযোগ নেই। একইভাবে কেউ যদি সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখে রোজার মানত করে, তবে সেই নির্দিষ্ট দিনে অর্ধদিবস পর্যন্ত নিয়ত করার সুযোগ আছে।
অনির্দিষ্ট মানতের রোজা, কাফফারার রোজা, কাজা রোজা—এসবের জন্য কিন্তু রাত থেকেই নিয়ত করা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে দিনে নিয়ত করার কোনো সুযোগ নেই।
সুস্থ ও মুকিম (যিনি নিজ শহরে অবস্থান করছেন, অর্থাৎ মুসাফির নন) ব্যক্তি যদি রোজার দিনে অন্য কোনো ওয়াজিব রোজার নিয়ত করেন। কোনো মুসাফির যদি রমজানের দিনে অন্য কোনো ওয়াজিব রোজার নিয়ত করেন, তাহলে সেই ওয়াজিব রোজাই তার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। তবে মুসাফির যদি রমজানের দিনে নফল রোজার নিয়ত করেন, তবে ইমাম আবু হানিফা (রহ.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রমজ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউএসএআইডির ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করছে ট্রাম্প প্রশাসন
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সোমবার এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় বসেই তিনি ইউএসএআইডির ওপর খড়্গহস্ত হন। তিনি সংস্থাটি ভেঙে দিতে চান। ইউএসএআইডিতে কাটছাঁট পদক্ষেপের একটা বড় অংশ তদারক করছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।
মার্কো রুবিও সোমবার বলেন, ‘৬ সপ্তাহের পর্যালোচনার পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএসএআইডির ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করছি। এ সংক্রান্ত যে ৫ হাজার ২০০টি চুক্তি এখন বাতিল হলো, সেগুলোতে কয়েক দশক ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। যেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমেরিকার মূল জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী ছিল বা ক্ষতি করেছে।’
ইউএসএআইডির মাধ্যমে বিশ্বে হাজার হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। এর সহায়তা বন্ধের ফলে বিভিন্ন দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করেন অনেকেই।
১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ইউএসএআইডি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংস্থাটিতে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিদেশি সহায়তার পরিমাণ ৬৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু ইউএসএআইডির জন্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ।
আরও পড়ুনইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক বরখাস্ত১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনইউএসএআইডি বন্ধে তৎপর ট্রাম্প–মাস্ক: ‘এটি আমাদের শত্রুদের জন্য উপহার’০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫