দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।

বিক্ষোভ মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাস শ্যাডো প্রদক্ষিণ করে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়।

এর আগে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক নওশীন মুস্তারী বলেন, ‘এই যে নারীদের ওপর ধর্ষণ–নিপীড়ন, এটা দিনে দিনে কেন বাড়ছে? আমরা দেখেছি কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারীকে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় যদি তাকে এমন হেনস্তার শিকার হতে হয় তাহলে সারা দেশের চিত্রটা কী?’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা–কর্মীদের দ্বারা নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সেগুলোর কোনো বিচার হয়নি। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরেও, যে অভ্যুত্থানে আপনারা জানেন নারী কী বিরাট ভূমিকা রেখেছে, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এই নতুন বাংলাদেশেও একই রকম বৈষম্য, ধর্ষণ নিপীড়নের ঘটনাগুলো ঘটছে। নারীদের জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।’

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রগতি বর্মণের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইডেন কলেজ শাখার সভাপতি শাহিনুর আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউএসএআইডির ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করছে ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সোমবার এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় বসেই তিনি ইউএসএআইডির ওপর খড়্গহস্ত হন। তিনি সংস্থাটি ভেঙে দিতে চান। ইউএসএআইডিতে কাটছাঁট পদক্ষেপের একটা বড় অংশ তদারক করছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

মার্কো রুবিও সোমবার বলেন, ‘৬ সপ্তাহের পর্যালোচনার পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএসএআইডির ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করছি। এ সংক্রান্ত যে ৫ হাজার ২০০টি চুক্তি এখন বাতিল হলো, সেগুলোতে কয়েক দশক ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। যেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আমেরিকার মূল জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী ছিল বা ক্ষতি করেছে।’

ইউএসএআইডির মাধ্যমে বিশ্বে হাজার হাজার কোটি ডলারের সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। এর সহায়তা বন্ধের ফলে বিভিন্ন দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করেন অনেকেই।

১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ইউএসএআইডি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংস্থাটিতে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিদেশি সহায়তার পরিমাণ ৬৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু ইউএসএআইডির জন্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ।

আরও পড়ুনইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক বরখাস্ত১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনইউএসএআইডি বন্ধে তৎপর ট্রাম্প–মাস্ক: ‘এটি আমাদের শত্রুদের জন্য উপহার’০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ