শিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণের খবর শুনে বাবার মৃত্যু
Published: 10th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ছয় বছরের শিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা শুনে বাবার মৃত্যু হয়েছে। ভুক্তভোগীর শিশুটির মামা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ধর্ষণে শিকার শিশুটির বাবা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রোববার বিকেলে তার মেয়ের এই ঘটনা শোরর পর থেকে তিনি আরও অসুস্থবোধ করতে থাকেন। সোমবার সকাল ১১টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভিকটিমের নানী বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তার দু’জনের মধ্যে একজনের বয়স ১৭ বছর, আরেকজন ১৫।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় সদর আধুনিক হাসপাতালে। সোমবার ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর মেয়েটিকে নানির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই কিশোরকে আপাতত জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পরে তাদের গাজীপুরের টঙ্গী শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মইনুল হাসান দুলাল এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে বাড়িতে খেলাধুলা করছিল শিশুটি। এক পর্যায়ে তাকে ১০ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় দুই কিশোর। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে তারা। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে গেলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে মৌখিক অভিযোগ করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই কিশোরকে আটক করে। পরদিন লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ বলেন, দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অবশেষে মামলা করলেন ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রীর বাবা
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় দুই স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে। দুটি মামলাতেই আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ। তিনি জানান, বুধবার রাতে দুই ছাত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেন। অভিযোগটি রাতেই মামলা হিসেবে নেওয়া হয়।
দুই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন ইমরান মিয়া (১৯), রাজ্জাক মিয়া (২৫), আবদুর রহমান (২৭), ইস্রাফিল মিয়া (২৩), সাইফুল মিয়া (২৮), রমজান মিয়া (২২), কাইয়ুম মিয়া (২১) ও মুন্না মিয়া (২৩)।
এর আগে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছিলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত আটজন এলাকায় প্রভাবশালী এবং তাঁদের পূর্বপরিচিত। তাঁদের মামলা করার মতো সামর্থ্য নেই। তাই থানায় না গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুননরসিংদীতে দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় না গিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে ‘বিচার’ ০৯ এপ্রিল ২০২৫দুই মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই দুই স্কুলছাত্রী গত সোমবার বিকেলে দুই তরুণের সঙ্গে নৌকায় নদীতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় ওই দুই তরুণ নৌকাটি তীরে ভেড়ান। এ সময় কৌশলে তাঁরা দুই ছাত্রীকে একটি বিদ্যালয়ের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। পরে তাঁরা আরও ছয় বন্ধুকে ডেকে আনেন। এরপর তাঁরা ভয় দেখিয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী বাড়ি ফিরে ঘটনাটি জানায়।
জানতে চাইলে রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।