বনানীতে পথচারীকে চাপা দেওয়া ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
Published: 10th, March 2025 GMT
রাজধানীর বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পথচারী নিহতের ঘটনায় জড়িত ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিট। রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চালকের নাম টিটন ইসলাম।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সোমবার সকাল ছয়টার দিকে বনানী এলাকায় চেয়ারম্যান বাড়ি ইউটার্নে ট্রাকচাপায় দুজন নিহত হন। নিহত একজনের নাম মিনারা আক্তার। তিনি একজন পোশাক শ্রমিক। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় সকাল থেকে বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কের উভয়পাশ অবরোধ করেন দুটি কারখানার পোশাক শ্রমিকরা। এতে বনানী ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও। রোজার মধ্যে তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সোমবার সকাল থেকে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। রাজধানীর খিলগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মহাখালী, মিরপুর, মগবাজারেও বনানীর যানজটের প্রভাব পড়ে। অফিসগামী মানুষরা রোজা রেখে যানজটে তীব্র ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন বন ন ড এমপ য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের মৃত্যুর তিন দিন পর কিশোরীকে ধর্ষণ, বাবা গ্রেপ্তার
রাজধানীর রামপুরায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে রামপুরায় থানায় নেওয়া হয়। কিশোরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বাবার পাশবিকতার ব্যাপারে পুলিশের কাছে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে কিশোরী।
রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান সমকালকে জানান, রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ায় বউ বাজারে ভাড়া বাসায় থাকে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার। বাবা ও দুই ভাই–বোনের সংসারে তাদের। শনিবার গভীর রাতে এক প্রতিবেশী বিষয়টি টের পান। এরপর কিশোরীকে উদ্ধার করতে পুলিশকে খবর দেন। সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
কিশোরীর জবানবন্দির ভিত্তিতে ওসি জানান, মাস খানেক আগে কিশোরীর মা মারা যান। মাকে হারানোর তিন দিনের মাথায় বাবা মেয়েকে ধর্ষণ করে। এমনকি যখন তার মা বেঁচে ছিলেন তখনও একাধিকার ধর্ষণের শিকার হয় সে। মেয়েটি যে বর্ণনা দিয়েছে তা ভয়াবহ। কারও বাবা এমন হতে পারে এটা চিন্তারও বাইরে।
ওসি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির তিন সন্তানের মধ্যে অপর একজনে বয়স আড়াই বছর। আরেকজনের ৫ বছর। ঘটনার সময় ছোট দুই সন্তান ঘরেই ছিল। ওদের কিছু বোঝার মতো বয়স হয়নি। মা বেঁচে না থাকায় পুলিশের একজন নারী সদস্য বাদী হয়ে মামলা করেছেন। একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বাবা। তাকে মাদকাসক্ত বলে মনে হয়েছে। আসামি পেশায় রিকশাচালক। রংপুরের মিঠাপুকুরে তার গ্রামের বাড়ি।