রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রামে এক টাকা দিয়ে কেনা যাচ্ছে হাজার টাকার পণ্য। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য এ সুযোগ করে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। গতকাল সোমবার নগরীর ২ নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
‘এক টাকায় রোজার বাজার’ নামে এ কর্মসূচিতে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ পরিবার চাল, ছোলা, ডাল, তেল, ডিম, মুরগি, মাছসহ ১৮ ধরনের পণ্য কিনতে পারবে। বাজারে আসা সুবিধাবঞ্চিতরা এক টাকা দিলে পাবেন এক টাকা মূল্যমানের ২০টি টোকেন। এরপর সেই টোকেন বিভিন্ন কাউন্টারে দিয়ে এক কেজি চাল এক টাকা, এক কেজি ছোলা দুই টাকা, এক ডজন ডিম দুই টাকা, এক লিটার তেল চার টাকা ও একটি মুরগি ছয় টাকা হিসাবে কিনতে পারবেন। সেই হিসাবে একজন সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পণ্য কিনতে পারছেন।
সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দুর্মূল্যের এ সময়ে ৫০০ দরিদ্র পরিবার এক টাকা দিয়ে কমপক্ষে এক হাজার টাকার পণ্য কিনতে পারছেন, যা একটু হলেও স্বস্তি নিয়ে আসবে। বাজারের পদ্ধতি বুঝিয়ে দিতে আমরা স্বেচ্ছাসেবকও রেখেছি। নগরের বিভিন্ন জায়গায় ক্রমান্বয়ে এমন ১০টি বাজার আমরা বসাব।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান, মেয়রের একান্ত সচিব মারুফুল হক মারুফ, রাজনৈতিক সচিব জিয়া উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব দ য নন দ এক ট ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে চীনের ১৫৫ জন নাগরিক’
রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিপক্ষে কমপক্ষে ১৫৫ জন চীনা নাগরিক লড়াই করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার এ দাবি করেছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে দুই চীনা যোদ্ধাকে আটক করে ইউক্রেন। এরপরই এই মন্তব্য করলেন জেলেনস্কি।
বুধবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জেলেনস্কি তার সরকারের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে দাবি বলেন, “আরো অনেক’ চীনা নাগরিক এই যুদ্ধে জড়িত।
বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, চীনা সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন তারা “প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলোকে চীনের ভূমিকা সঠিকভাবে ও বিচক্ষণতার সাথে বোঝার এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার পরামর্শ দিচ্ছেন।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, “চীন ইউক্রেনীয় সংকটের স্রষ্টা বা পক্ষ নয়। আমরা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের একজন দৃঢ় সমর্থক এবং সক্রিয় প্রচারক।”
লিন বলেন, চীন “সবসময় তার নাগরিকদের সশস্ত্র সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে থাকতে এবং যেকোনো ধরণের সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত হওয়া এড়াতে বলেছে, বিশেষ করে যেকোনো পক্ষের সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ এড়াতে।”
ঢাকা/শাহেদ