Samakal:
2025-03-10@22:28:38 GMT

সুরক্ষা পেতে নিয়ম মেনে চলুন

Published: 10th, March 2025 GMT

সুরক্ষা পেতে নিয়ম মেনে চলুন

ডাস্ট অ্যালার্জি হলো এক ধরনের পরিবেশগত প্রতিক্রিয়া। ঠান্ডা, সর্দি বা রাইনাইটিস, কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা, চর্মরোগ, অ্যাকজিমা বা দাদ, হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট এ সবই ধুলার অ্যালার্জির কারণে দেখা দিতে পারে। এই ডাস্ট অ্যালার্জির জন্য দায়ী ধুলাবালির এক ধরনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পোকামাকড়। এই পোকাগুলোকে ডাস্ট মাইটস বা ধুলার পোকা বলা হয়ে থাকে। এরা আকারে আণুবীক্ষণিক আকৃতির হয়ে থাকে।
লক্ষণ আর উপসর্গগুলো
ডাস্ট অ্যালার্জির অ্যালার্জেন বাড়িতে আর্দ্র পরিবেশে বড় হয় এবং ভেতরের পরিবেশের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মানিয়ে নেয়। যদি আপনার মধ্যে ডাস্ট অ্যালার্জির প্রবণতা থাকে, তাহলে আপনার শরীরে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলোর মধ্যে একটি বা একসঙ্গে অনেক উপসর্গ দেখা দিতে পারে–
lহাঁচি
lসর্দি বা নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখে জ্বালা বা চুলকানি এবং চোখে জ্বালা-যন্ত্রণা
lচামড়ায় জ্বালা বা চুলকানি
lনাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
ডাস্ট অ্যালার্জির দ্বারা সৃষ্ট অ্যাজমায় নিম্নলিখিত উপসর্গ দেখা দিতে পারে–
lশ্বাস নিতে কষ্ট, নিঃশ্বাস ফেলার সময়
 বুকে সাঁ সাঁ করে শব্দ,
lঘুমানোর অসুবিধা ইত্যাদি।
ডাস্ট মাইটস বা ধুলার পোকাগুলো মানুষের খসে পড়া মৃত চামড়ার কোষগুলো ব্যবহার করে বেঁচে থাকে আর ওগুলো দিয়েই প্রধানত বাড়ির ধুলা-ময়লা তৈরি হয়। ডাস্ট মাইটস বা ধুলার পোকাদের বাড়ির ডাস্ট মাইটস এবং স্টোরেজ মাইটস এই দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। এরা সাধারণত বাতাসের মাধ্যমে নাকের ভেতরে অস্বাভাবিক জ্বালা-যন্ত্রণার জন্য দায়ী। ডাস্ট মাইটসের মতো অ্যালার্জেনের (অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী জীবের) উপস্থিতিতে আপনার শরীর অ্যান্টিবডি বা প্রতিরোধক অবস্থা তৈরি করে আপনাকে এই প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে এবং নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে সাহায্য করে। এই প্রতিক্রিয়া স্থানীয়ভাবে বা শরীরের কোনো একটি বিশেষ অংশকে আক্রান্ত করতে পারে। কিছু বিরল ক্ষেত্রে, এই ডাস্ট অ্যালার্জি শরীরে অ্যানাফাইলেটিক শক নামক জীবনসংহারি ভয়াবহ শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। অসাবধানতাবশত শুধু ডাস্ট মাইটস পেটে চলে গেলে প্রাণসংহারি এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এই ডাস্ট মাইটস গদি, কার্পেট এবং আসবাবের ওপর অবস্থান করে। কিছু ক্ষেত্রে ডাস্ট মাইটস খাদ্যসামগ্রী নষ্ট বা বিষাক্ত করে ফেলতে পারে। অল্পবয়সী এটোপিক বা অ্যালার্জিপ্রবণ শিশু, হাঁপানি রোগী এবং অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা এ ধরনের অ্যালার্জিতে অধিক হারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
রোগ নির্ণয়
ঠিক কোন অ্যালার্জেন বা জীবটি ডাস্ট অ্যালার্জির জন্য দায়ী তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে কিছু রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা প্রয়োজন। প্রচলিত পরীক্ষার সময় একটি ত্বকে ছিদ্র করে পরীক্ষা করা হয়, যেখানে অ্যালার্জি নির্ণয় করতে বাড়ির ডাস্ট মাইটসের একটি নির্যাস ব্যবহার করা হয়। এরপর অপেক্ষা করে পর্যবেক্ষণ করা হয় কতক্ষণ পর ওই জায়গায় অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া শুরু হচ্ছে এবং কী পরিমাণ জায়গা ফুলে গেছে বা লাল হয়ে গেছে তা মেপে দেখা হয়। রোগাক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক যদি পরীক্ষার সময় সংবেদনশীল হয়, তবে রক্ত পরীক্ষা করানো সুবিধাজনক হয়। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যালার্জির নির্দেশক কিছু অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা যেতে পারে। নাকের ভেতরের মিউকোসা বা শ্লেষ্মা বা চোখের কনজাংটিভার প্রতিক্রিয়া দেখেও অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করা যেতে পারে।
কোন অ্যালার্জেন ডাস্ট অ্যালার্জির কারণ তা জানতে পারলে ডাস্ট অ্যালার্জির চিকিৎসা খুব সহজ হয়ে যায়। শরীরের মধ্যস্থতাকারীর ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে। যেমন– হিস্টামাইন এবং লিউকোট্রাইন এসব রাসায়নিক পদার্থ অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া ঘটাতে সাহায্য করে। 
ইমিউনোথেরাপি বা রোগপ্রতিরোধক থেরাপি– এটি চিকিৎসার আরেকটি নতুন পদ্ধতি, যেখানে রোগীর অ্যালার্জির সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেওয়া হয়। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং কার্যকর পদ্ধতি। 
উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা 
lঅ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখে খাওয়ার স্টেরয়েডের মতো ওষুধগুলো দেওয়া হতে পারে।
lকিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ধুলার কারণে রোগের সূত্রপাত এড়াতে এবং সেই সূত্রে অ্যালার্জি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
l বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
l কার্পেট সরিয়ে ফেলুন।
lআসবাব ভালোমতো ভ্যাকুয়াম ক্লিনিং করুন। 
প্রয়োজনে একজন অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা শুরু করুন। v

[ত্বক, চর্ম ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ
ডা.

জাহেদ’স হেয়ার অ্যান্ড স্কিনিক হাসপাতাল,
পান্থপথ, ঢাকা]

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড স ট ম ইটস উপসর গ র জন য পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

নারীরই হয় এমন রোগ ১২টি, আক্রান্ত ৪ কোটি ৩৫ লাখ

কিছু রোগ আছে পুরুষের হয় না, নারীর হয়। শুধু নারীদের হয়, এমন ১২ ধরনের রোগে দেশে প্রায় ৪ কোটি ৩৫ লাখ নারী ভুগছেন। প্রতিবছর এর সঙ্গে আরও কয়েক লাখ নারী যুক্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন তাঁরা। নারীর চিকিৎসা ও সুরক্ষায় পৃথকভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগও জরুরি।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য–উপাত্ত ও যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক রোগতাত্ত্বিক পরিস্থিতি নজরদারি ও বিশ্লেষণ করছে আইএইচএমই। তাদের প্রকাশিত গবেষণার তথ্য থেকে বাংলাদেশের নারী স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানী আহমেদ এহসানূর রহমান।

শুধু নারীর হয় এমন রোগ বা সমস্যার তালিকায় আছে মাসিক–পূর্ব শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ, জরায়ুমুখ ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসার, ডিম্বাশয়ের ক্যানসার, জননাঙ্গ বের হয়ে আসা, বন্ধ্যত্ব, জরায়ুস্তরের প্রদাহ (এন্ডোমেট্রিওসিস), ডিম্বাশয়ে গোটা, জরায়ুতে গোটা, টার্নান উপসর্গ (জিনজনিত সমস্যা), জরায়ু ও জরায়ুমুখে নির্বিরোধ ক্যানসার। এ ছাড়া আছে আরও কিছু স্ত্রীরোগ (যোনিপ্রদাহ, জরায়ুমুখের কোষের অস্বাভাবিকতা, শ্রোণি অঞ্চলে প্রদাহ)।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুধু নারীর হয়, এমন ১২ ধরনের রোগে আক্রান্তের অনুমিত সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখের কিছু বেশি। এসব রোগে প্রতিবছর আনুমানিক ৮ হাজার ৬৫০ নারীর মৃত্যু হয়। কিছু রোগ নারীকে দুর্বল ও বিপর্যস্ত করে। বিপুলসংখ্যক নারী অসুস্থ থাকার কারণে তাঁদের কর্মঘণ্টাও নষ্ট হয়।

আহমেদ এহসানূর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কিছু রোগ একান্তভাবে নারীর। তাতে শুধু নারীরাই ভোগেন, কিন্তু তা নিয়ে সমাজে বা রাষ্ট্রে আলোচনা কম হয়। গবেষণাও কম। তথ্য পাওয়া কঠিন। এসব রোগে আক্রান্ত নারীদের নিয়ে জাতীয় জরিপ ও গবেষণা হলে পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব হতো।

কিছু রোগ একান্তভাবে নারীর। তাতে শুধু নারীরাই ভোগেন, কিন্তু তা নিয়ে সমাজে বা রাষ্ট্রে আলোচনা কম হয়। গবেষণাও কম। তথ্য পাওয়া কঠিন।  আহমেদ এহসানূর রহমান সদস্য, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১০ লাখ। এর অর্ধেকের বেশি নারী। দেশে নারীর স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। মাতৃস্বাস্থ্য ও প্রজননস্বাস্থ্যের বাইরেও নারীর ভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য চাহিদা রয়েছে। যদিও গবেষণা, ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা চিকিৎসা বিধিমালা তৈরির ক্ষেত্রে নারীস্বাস্থ্যকে কম গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ আছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাতৃ বা প্রজননস্বাস্থ্যের মধ্যে আটকে না থেকে আমরা নারীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর জোর দিচ্ছি। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কোথায় নারী–পুরুষে বৈষম্য হয়, তা বের করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা ও ব্যবস্থাপনা নারীর জন্য সহজ করতে হবে। অসংক্রামক রোগ থেকে নারীকে সুরক্ষা দেওয়ার জোরদার পদক্ষেপ নিতে হবে। কমিশনের কাছে নারীর স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

যে রোগ শুধুই নারীর

এমন ধারণা আছে, রোগ নারী–পুরুষ, ধনী–দরিদ্র, জাতি–ধর্ম চেনে না বা মানে না। তবে কিছু রোগ আছে শুধু পুরুষের হয়, যেমন প্রোস্টেট ক্যানসার। এমন অনেক রোগ বা শারীরিক সমস্যা আছে, যা শুধু নারীর হয়।

শুধু নারীর হয় এমন রোগ বা সমস্যার তালিকায় আছে মাসিক–পূর্ব শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ, জরায়ুমুখ ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসার, ডিম্বাশয়ের ক্যানসার, জননাঙ্গ বের হয়ে আসা, বন্ধ্যত্ব, জরায়ুস্তরের প্রদাহ (এন্ডোমেট্রিওসিস), ডিম্বাশয়ে গোটা, জরায়ুতে গোটা, টার্নান উপসর্গ (জিনজনিত সমস্যা), জরায়ু ও জরায়ুমুখে নির্বিরোধ ক্যানসার। এ ছাড়া আছে আরও কিছু স্ত্রীরোগ (যোনিপ্রদাহ, জরায়ুমুখের কোষের অস্বাভাবিকতা, শ্রোণি অঞ্চলে প্রদাহ)।

শুধু পুরুষের হয় এমন রোগের তালিকায় রয়েছে প্রোস্টেট ক্যানসার, অণ্ডকোষের ক্যানসার, প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়া, বন্ধ্যত্ব ও জিনগত ত্রুটি।

পরিস্থিতি বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে খারাপ

ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৈশ্বিকভাবে নারীদের ১০ ধরনের রোগ বেশি। শীর্ষ এই রোগের তালিকায় আছে (বেশি থেকে কম) স্তন ক্যানসার, মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা বা লো ব্যাক পেইন, আয়রনস্বল্পতা, বিষণ্নতা, আলঝেইমারসসহ অন্যান্য ভুলে যাওয়া রোগ, মাথার যন্ত্রণা, উদ্বেগ, বিভিন্ন ধরনের হাড়–পেশির রোগ, ওস্টিওআর্থ্রাইটিস ও ঘাড়ের ব্যথা।

দেখা যাচ্ছে, বৈশ্বিকভাবে ১ লাখ নারীর মধ্যে ৪৫৫ জন মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথায় আক্রান্ত। দেশে ১ লাখ নারীর মধ্যে ৫৭৫ জনের এ রোগ আছে, অর্থাৎ বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে ১২০ জন বেশি।

সারা বিশ্বে প্রতি লাখ নারীর মধ্যে বিষণ্নতায় ভোগেন ৩০৭ জন। বাংলাদেশে বিষণ্নতায় আক্রান্ত প্রতি লাখে ৪৮৮ জন। বিশ্বে প্রতি লাখ নারীর মধ্যে হাড় ও পেশির নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত ২৪৩ জন নারী, বাংলাদেশে ভুগছে ৫২১ জন, অর্থাৎ এই তিন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে খারাপ।

আলঝেইমারসসহ অন্যান্য ভুলে যাওয়া রোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থা ভালো বলা যায়। দেখা যাচ্ছে, এসব রোগে বৈশ্বিকভাবে ১ লাখে ২৮৯ জন নারী আক্রান্ত। দেশের ক্ষেত্রে তা ২৫ জন। বাকি রোগগুলোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থা বৈশ্বিক গড়ের কাছাকাছি বা গড়ের চেয়ে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো।

শীর্ষ ১০টি রোগের বাইরে মাতৃস্বাস্থ্য–সংশ্লিষ্ট কিছু সমস্যা আছে। সন্তানধারণ ও সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অনেক নারী স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েন। এর মধ্যে আছে রক্তক্ষরণ, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক রোগ, গর্ভপাত, গর্ভ নষ্ট, নানা ধরনের সংক্রমণ। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ নারী এসব সমস্যায় পড়েন। এতে বছরে চার হাজারের বেশি মায়ের মৃত্যু হয়। মাতৃমৃত্যু নিয়ে আলোচনা হলেও নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা নারীদের নিয়ে আলোচনা ও সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে কথা কম হয়।

পদক্ষেপ জরুরি

নারীর স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের আলোচনায় প্রথমেই নারীর প্রতি বৈষম্য কমানোর বিষয়টি সামনে চলে আসে। এ বৈষম্য দূর করতে রাষ্ট্রীয় নানা উদ্যোগ আছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নারী সংস্কার কমিশন এ নিয়ে কাজ করছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, কমিশন প্রতিবেদনে নারীস্বাস্থ্যের উন্নতিতে জোরালো সুপারিশ থাকবে।

স্বাস্থ্য খাত সংস্কারবিষয়ক কমিশনের সুপারিশেও নারীর স্বাস্থ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে একাধিক কমিশন সদস্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। নারীদের জন্য বড় হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতালে পৃথক আয়োজন, নারীবান্ধব হাসপাতাল, নারীস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা, ওষুধ গবেষণায় নারীর সংশ্লিষ্টতা—এসব বিষয় সুপারিশে থাকবে বলে জানা গেছে।

স্বাস্থ্য খাত সংস্কারবিষয়ক কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সায়েবা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারীস্বাস্থ্যের উন্নতিতে নীতি, জনবল খুবই জরুরি। নারীর জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল বা ইনস্টিটিউট তৈরি করা জরুরি। থাকতে পারে গবেষণাকেন্দ্র। সেভাবেই আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারীরই হয় এমন রোগ ১২টি, আক্রান্ত ৪ কোটি ৩৫ লাখ