শিশুর সাধারণত টাইপ-১ ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়। তবে ১৮ বছরের নিচেও টাইপ-২ ডায়াবেটিস থাকার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সারাবিশ্বে প্রতি ১০ জনে একটি শিশু স্থূলতা বা অতিরিক্ত শারীরিক ওজনে আক্রান্ত। জীবনপ্রণালির পরিবর্তন তথা খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ও খেলাধুলা বা শারীরিক কসরতের অভাবে শিশুরা অল্প বয়সেই মুটিয়ে যাচ্ছে। এই অল্প বয়সে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা শিশুকে ফেলছে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। শিশুর মাঝে অল্প বয়স থেকেই দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল রোগ। তাই স্থূলকায় বাচ্চা এবং সেই সঙ্গে রক্তসম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস বা মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে অথবা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের উপসর্গ যেমন– ঘাড়ের কালো দাগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডিসলিপিডেমিয়া, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম প্রভৃতি থাকলে ১০ বছর বয়সের পর যে কোনো শিশুর ডায়াবেটিস নির্ণয়ের পরীক্ষা করা উচিত।
শিশুর রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা সচরাচর করা হয় না, তাই প্রায়ই সময়মতো ধরা পড়ে না। শিশুর ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে :
lধীরে ধীরে শুকিয়ে যাওয়া।
l বেশি বেশি প্রস্রাব করা। আবার নতুন করে বিছানায় প্রস্রাব করা শুরু করেছে।
lবেশি বেশি পানি খাচ্ছে, এমনকি রাতে ঘুম থেকে জেগেও।
lআগের মতো চঞ্চল লাগছে না, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।
lঘন ঘন বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হচ্ছে, সুস্থ হচ্ছে না সহজে।
সঠিক চিকিৎসা ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন ও পরিমিত পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশু-কিশোররাও প্রায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। তাই এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন থাকা জরুরি। v
[কনসালট্যান্ট, ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইনোলজি ]
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাজব্যান্ড চায় আমি খোলামেলা জামা পরি, তার ভালো লাগে: পিয়া বিপাশা
পাঁচ বছর আগে হুট করে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান মডেল ওঅভিনয়শিল্পী পিয়া বিপাশা। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা। গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে এমনটাই জানালেন মডেল ও অভিনয়শিল্পী পিয়া বিপাশা।
পিয়া বিপাশা