Samakal:
2025-04-10@19:54:03 GMT

নাকের বাঁকা হাড়

Published: 10th, March 2025 GMT

নাকের বাঁকা হাড়

নাকের হাড় বাঁকা খুবই সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষেরই নাকের হাড় কিছুটা বাঁকা থাকে। যদি এর কোনো উপসর্গ না থাকে তাহলে এটি তেমন কোনো সমস্যাই নয়, যা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। অর্থাৎ হাড় বাঁকা থাকলেই যে অপারেশনের দরকার, তা নয়। তবে আপনার নাকের মাঝের হাড় যদি অতিরিক্ত বাঁকা হয় এবং এর ফলে সৃষ্ট নিচে উল্লিখিত সমস্যাগুলোর সম্মুখীন নিয়মিতই হতে হয়, তাহলে একজন নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী নাকের হাড় বাঁকার অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
নাকের হাড় বাঁকা থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
নাকের হাড়টা যেদিকে বাঁকা, সেই পাশে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। নাক বন্ধ মনে হতে পারে। কারণ, বাঁকা অংশে বাতাস চলাচলের পথ সরু থাকে। মাথাব্যথা, মাথায় চাপ চাপ অনুভূতি, সব সময় সর্দি, এমনকি কানেও তালা লাগার মতো সমস্যা হতে পারে। হাড় বাঁকার কারণে নাক দিয়ে রক্তপাত এবং নাকের ভেতরে ইনফেকশন হতে পারে। হাড় বাঁকার কারণে সাইনাস ইনফেকশনের সময় নিঃসৃত শ্লেষ্মা (পোস্ট ন্যাসাল ড্রিপ) রোগীর নাকের পেছনে অথবা গলায় জমা হতে পারে। এই পোস্ট ন্যাসাল ড্রিপের শ্লেষ্মা জমা হওয়ার ফলে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, গলায় অস্বস্তি, গলাব্যথা, ঘ্রাণানুভূতি হারানো অথবা প্রায় সময় গলা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হতে পারে। নাক দিয়ে শ্বাস নিতে না পারার কারণে রোগী নাক ডাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ শুকিয়ে যায়।
চিকিৎসা
নাকের হাড় বাঁকা থাকলে এবং এই হাড় বাঁকার কারণে সৃষ্ট সমস্যা প্রাথমিকভাবে ওষুধ দ্বারা সমাধান না হলে অপারেশনের মাধ্যমে একে ঠিক করে নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সার্জারির বিকল্প নেই। বেঁকে যাওয়া সেপটাম, অর্থাৎ নাকের পার্টিশন সোজা করতে এবং নাকের মধ্যকার বাতাস চলাচল সহজ করতে যে সার্জারি করা হয়, তাকে সেপ্টোপ্লাস্টি বলা হয়। তবে বয়সভেদে অপারেশনের ধরনেও রয়েছে ভিন্নতা। অপারেশনের পর ২৪ ঘণ্টার জন্য রোগীর নাকের ভেতরে প্যাক দেওয়া হয়। এই সময়ে রোগীকে আগে থেকে কাউন্সেলিং করা হয় মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য।
অপারেশন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
আমাদের মন এখনও কুসংস্কারে ভরা। আধুনিক যুগে এসেও অনেকে নাকের হাড় বাঁকায় কবিরাজি চিকিৎসা গ্রহণ করে অজান্তে নিজের ক্ষতি করে থাকেন। অনেকের মধ্যে একটি ধারণা কাজ করে, নাকের হাড় বাঁকার অপারেশন করলেও রোগটি আবার হতে পারে। তবে ধারণাটি একদম সঠিক নয়। ভালোভাবে দক্ষ সার্জনের মাধ্যমে অপারেশন করা হলে রোগী অবশ্যই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়। এখানে মনে রাখতে হবে, অ্যালার্জিজনিত কারণে নাকের মাংস বেড়ে গেলে অপারেশনের পর আবার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু নাকের অ্যালার্জি না থাকলে হাড় বাঁকার অপারেশন করার পর আবার কোনো সমস্যা সাধারণত দেখা দেয় না।  v
[নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ, সিওমেক হাসপাতাল]

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

১০ এপ্রিলকে বাংলাদেশের ‘রিপাবলিক ডে’ ঘোষণার দাবির প্রতি জোনায়েদ সাকির সমর্থন

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ১০ এপ্রিলকে বাংলাদেশের ‘রিপাবলিক ডে’ ঘোষণার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) দাবিকে সমর্থন করেছেন। এই দাবিকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতা ঘোষণার মূল ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। কিন্তু এই আদর্শগুলো ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে গণমানুষের প্রত্যাশা সব সময় উপেক্ষিত হয়েছে এবং মানুষের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘১০ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা, একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার সভা ও সংসদ নির্বাচনের দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনায় জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এ সভার আয়োজন করে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাকে আমলে না নিয়ে গোঁজামিল দেওয়া হয়েছিল। সেটার ওপর ভিত্তি করেই আমরা চলছি। আমরা এসব গোঁজামিল থেকে বের হতে চাই। ২৪-এর রক্তক্ষয়ী ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান সে আকাঙ্ক্ষার কথাই বলে।’

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে যাচ্ছে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হল এক দল দখল করে। আরেক দলকে দেখতে পাই হাট–ঘাট–বাজারের দখলে। যে যেখানে পারে সেখানে দখল করছে।’

জনগণকে ক্রমাগত ক্ষমতাহীন করে ফেলা হচ্ছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, পুরো সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্যে জনগণ ব্যাপারটাই যেন নেই। তবে বর্তমান সংস্কার প্রস্তাবের ধরন আগেকার যেকোনো সংস্কারপ্রক্রিয়ার চেয়ে ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ