যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তাদের সাধারণত ওজন কমে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে, শরীরের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে বা পেট খারাপ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া তাদের মুখের ভেতরে ঘা বা মিওকোসাইটিস  বা ড্রাই মাউথ বা  গিলতে সমস্যা, রুচি কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের খাবারগুলো হবে সহজে হজমযোগ্য। প্রয়োজনে শক্ত খাবার এড়িয়ে তারা নরম খাবার খাবেন। তারা একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খেতে না পারলে তাদের অবশ্যই সারাদিনে অল্প অল্প করে বারবার খাবারটি গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে এবং খাবারের তালিকায় অবশ্যই চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনস, মিনারেলস কোনোটা যেন মিস না হয়  সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে তারা লাল আটার রুটি রাখতে পারেন বা লাল চালের ভাত রাখতে পারেন। প্রোটিনের জন্য মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, দই, ডাল যেন মিস না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে সারা দিনে দুই থেকে তিনটি ডিম খেতে হতে পারে। অবশ্যই খাবারের তালিকায় ফল রাখতে হবে। এখন যেহেতু শীতকাল, তাদের যেন  ডিহাইড্রেশন না হয়ে যায় সেজন্য তাদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। পানি, সুপ বা জুস গ্রহণ করতে হবে। এ সময় অনেকের ইমিউনিটি কমে যায়। তাই সারাদিনের খাবার অবশ্যই ওয়েল প্ল্যানড এবং ওয়েল ব্যালান্সড হতে হবে। খাবার অবশ্যই হাইজিন মেইনটেইন করতে হবে। রান্না করা খাবার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে এবং বারবার গরম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তারা অবশ্যই বাসি খাবার খাবেন না। কোনো জিনিস ধোয়ার জন্য তারা অবশ্যই ফুটন্ত পানি ব্যবহার করবেন এবং দিনে ৫ থেকে ৬ বার বা ৭ থেকে ৮ বার একটু একটু করে তাদের খাবার গ্রহণ করতে হবে, শারীরিক কন্ডিশন অনুযায়ী। তাদের অবশ্যই প্রসেসড ফুড, লবণাক্ত খাবার, চিনিযুক্ত খাবার, ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার, বাইরের কেনা খাবার, রাস্তার কেনা খাবার, অর্ধসেদ্ধ কোনো খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে রোগীর ব্লাড প্যারামিটারের ওপর নির্ভর করে যেকোনো খাবারের তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। সেটি অবশ্যই ব্যক্তিবিশেষভেদে ভিন্ন হবে। 
[পুষ্টিবিদ, এভারকয়ার হাসপাতাল, ঢাকা]

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যে মানুষ চরম উদ্বিগ্ন

নারী নির্যাতনসহ সার্বিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক। এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যা নারীদের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। নারী নির্যাতনসহ সার্বিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন।
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। সরকারকে নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

নারী নির্যাতনসহ নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রেও নারীরা যে অগ্রগামিতা দেখাচ্ছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের মতো বিদেশেও নারীরা প্রশসংনীয় ভূমিকা রেখে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীকে যৌন হয়রানি, শ্লীলতাহানি এবং হেনস্তা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদের হত্যা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়েছে, যা এখনও চলমান রয়েছে। 
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এর তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করে সবাইকে সচেতনভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি। 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভেজালমুক্ত খাদ্যের দাবি
  • কথা নহে, কাজ চাহি
  • নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যে মানুষ চরম উদ্বিগ্ন