Samakal:
2025-04-10@11:40:25 GMT

ভেজালমুক্ত খাদ্যের দাবি

Published: 10th, March 2025 GMT

ভেজালমুক্ত খাদ্যের দাবি

ভেজাল ও বিষযুক্ত খাদ্য গ্রহণে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কায় সবাই। ফরমালিন ও রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণে সতেজ-সজীব খাদ্য ধারণ করছে নীরব ঘাতকের রূপ। বাড়ছে রোগ-ব্যাধির হরেক দুর্ভোগ। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন স্থানে সুহৃদরা মানববন্ধন, র‍্যালি, লিফলেট বিতরণসহ তোলেন ভেজাল-বিষমুক্ত খাবারের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আবু সাহাদাৎ বাঁধন
আমাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল হলো খাদ্য। কিন্তু খাদ্যে ভেজালের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে, তৈরি অথবা কাঁচা খাদ্য কোনোটির ওপরই মানুষ আর আস্থা রাখাতে পারছে না। গোটা বিশ্বেই খাদ্যে ভেজালের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাবার গ্রহণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ক্যান্সার, কিডনি রোগ, লিভারের সমস্যা, হজমজনিত জটিলতা ও পুষ্টিহীনতার মতো ভয়াবহ রোগের একটি বড় কারণ হচ্ছে ভেজাল খাদ্য। এসব জটিল ও অনিরাময়যোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ অকালে মারা যাচ্ছেন। উন্নয়নশীল দেশে এই প্রবণতা বেশি। এক শ্রেণির মানুষের অতিমুনাফা ও লোভের কারণেই আমরা মৃত্যুঝুঁকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। 
বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে এক সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান পরিচালনা করেছে সুহৃদ সমাবেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট।
৭ মার্চ ইফতারের পর সংগঠনের সদস্যরা স্থানীয় হোটেল, ফলের দোকান, জুসের দোকানসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দোকানে যান। তারা দোকানিদের সচেতন করেন এবং ক্রেতাদের ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য কেনার বিষয়ে পরামর্শ দেন। শিক্ষার্থীরা খাদ্যে ভেজালের ভয়াবহ প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেন এবং সুস্থ থাকার জন্য বিশুদ্ধ খাবার গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রচার অভিযানে যুক্ত হন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খালিদ ও তাজিউর রহমান তাজ, কোষাধ্যক্ষ দিপু বিশ্বাস, সুহৃদ সিয়াম, বিপ্লবসহ অন্যান্য শিক্ষার্থী। তারা বাজারে উপস্থিত ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন, খাদ্যে ভেজাল শনাক্ত করার সহজ উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দেন এবং সাধারণ মানুষকে ভেজালমুক্ত খাবার কেনার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেন। সংগঠনের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 
রাবি সুহৃদরা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করবেন। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্তোরাঁ, বাজার ও জনবহুল স্থানে সেমিনার, লিফলেট বিতরণ ও জনসচেতনতা কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।
এ সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এমন প্রচার অভিযান নিয়মিত চালানো হলে মানুষ আরও সচেতন হবে এবং খাদ্যে ভেজাল মেশানোর প্রবণতা কমবে।’
সচেতনতার মাধ্যমে যদি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা যায়, তাহলে ধীরে ধীরে খাদ্যে ভেজাল কমবে এবং সুস্থ সমাজ গড়ে উঠবে। সমকাল সুহৃদ সমাবেশের এ মহতী উদ্যোগ জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আরও বড় পরিসরে কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।

সভাপতি সুহৃদ সমাবেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

বাগেরহাট
তানজীম আহমেদ
ফুটপাত থেকে হোটেল, রান্নাঘর থেকে শুরু করে ভোক্তার খাবার প্লেট পর্যন্ত খাদ্যের নিরাপত্তা ও গুণগত মান নিশ্চিতের দাবি সুহৃদদের। ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্যের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ বাগেরহাট। কর্মসূচির আওতায় ৯ মার্চ সকালে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকরা ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করি, সুস্থ সবল জীবন গড়ি’, ‘ভেজালমুক্ত খাবার, আমাদের সকলের অধিকার’, ‘সবাই মিলে হাত মেলাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত চাই’, ‘আগামী প্রজন্মের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্যের পৃথিবী’, ‘নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার’সহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। 
মানববন্ধন শেষে র‍্যালি সহকারে শহরের বিভিন্ন হোটেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রচারণা চালানো হয়। হোটেল-রেস্তোরাঁর রান্নাঘর পরিদর্শনসহ ফ্রিজে সংরক্ষিত খাদ্যপণ্য যাচাই ও দায়িত্বরতদের সচেতন করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা ভেজালমুক্ত খাবার সরবরাহ ও অন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার অঙ্গীকার করেন। পরে বাজারের চিত্র তুলে ধরে মোবাইল ফোনে এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে তদারকির জন্য জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাজার মনিটরিং কমিটিকে অনুরোধ জানানো হয়।
আয়োজনে সুহৃদ সভাপতি শেখ সাকির হোসেন, উপদেষ্টা বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী, আলী আকবর টুটুল, মোল্লা মাসুদুল হক, মাইনুল ইসলাম, হেদায়েত হোসেন লিটন, তানজীম আহমেদসহ কমিটির সদস্য শেখ শোহান, সরদার ইনজামামুল হক, শহিদুল ইসলাম, রানা ফকির, সোহাগ আহমেদ, শেখ সোহেল, শেখ আবু তালেব, আমিনুল ইসলাম, শেখ বাদশা, জয়তু বালাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন। 
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, দেশে খুব বেশি খাদ্যাভাব না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য এখনও নিশ্চিত হয়নি। ভেজাল খাদ্যের কারণে দিন দিন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। 
    সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, বাগেরহাট 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র পদ খ দ য

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় গণহত্যা বন্ধে ঢাবিতে সাদা দলের মানববন্ধন, প্রয়োজনে যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি

গাজায় গণহত্যা বন্ধে সারা পৃথিবীর মানুষকে এক হয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের নেতারা। প্রয়োজনে যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি আছেন বলেন তাঁরা।

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল মানববন্ধন ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচি পালন করে। বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এক ঘণ্টা ধরে এই কর্মসূচি চলে।

মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ও সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেছেন,'আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি, থাকব। যদি প্রয়োজন হয় আমরা যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি আছি।'

মোর্শেদ হাসান খান বলেন, গাজায় তাঁরা বোমা নিক্ষেপ করছে। শত শত নারী-পুরুষের লাশ গাজায় পড়ে আছে। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষকে এক হয়ে যার যার জায়গা থেকে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে।

ইসরায়েলকে তাদের ভাষায় জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আ.ফ.ম ইউসুফ হায়দার৷ কেবল ওপেকভুক্ত দেশগুলো যদি তেল দেওয়া বন্ধ করে তাহলে এই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে আসবে বলেন তিনি।

প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাংলাদেশে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে তা ঠিক হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইকরামুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ নাসরিন সুলতানা, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আখতার হোসেন।

সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগ ও অনুষদের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় গণহত্যা বন্ধে ঢাবিতে সাদা দলের মানববন্ধন, প্রয়োজনে যুদ্ধে নাম লেখাতে রাজি
  • টাকা আত্মসাৎকারীকে জামিন দেওয়ায় গ্রাহকদের ক্ষোভ
  • জামালপুরে সাংবাদিক রব্বানি হত্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
  • টাঙ্গাইলে ৭ দাবিতে এ আই টেকনিশিয়ানদের কর্মবিরতি
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সানির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • এক ঘণ্টা দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ, আরও দুজন গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামে পদোন্নতি বঞ্চিত ফরেস্টার ও ফরেস্ট গার্ডদের মানবন্ধন
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জে আট মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১২৪ কোটি টাকা
  • শিশু তাবিবের হাতে প্ল্যাকার্ড ‘বাবা হত্যার বিচার চাই’
  • লবণের ন্যায্যমূল্য চায় এনসিপি