Samakal:
2025-03-10@21:20:41 GMT

কৃষ্ণচূড়ার মতো স্বপ্নগুলো

Published: 10th, March 2025 GMT

কৃষ্ণচূড়ার মতো স্বপ্নগুলো

প্রতিশ্রুতি 
গোলাম সরোয়ার 

আমি স্বপ্ন দেখি শ্রেণিহীন পৃথিবীর,
কল্পনায় চলে যাই শৃঙ্খলহীন সমাজে, 
জানি হবে মুক্তি, হবে যুক্তির জয়। 
হবে না অস্ত্রের লড়াই, বৈষম্যের খেলা
হবে না সাম্প্রদায়িক হিংসা, 
কোনো ভাই-বোন বর্ণবাদের শিকার হবে না, 
ধর্ষিত হবে না আমার কোনো বোন, 
নিপীড়িত হবে না আমার কোনো ভাই, 
শৃঙ্খলের নামে পড়বে না শিকল, 
বিনা দোষে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলবে না, 
খাদ্যের জন্য কোনো মা কাঁদবে না, 
কোনো প্রৌঢ় অসহায় ভাববে না। 
শোষকের দ্বারা শোষিত হবে না, 
আর কোনো শিশু উদ্বাস্তু হবে না, 
পথে-প্রান্তরে উলঙ্গ হয়ে ঘুরবে না কেউ, 
জন্ম নেবে না শরণার্থী শিবিরে, 
শুনবে না অভাব আর অনটনের গল্প, 
ঈদের চাঁদের অপেক্ষায় চেয়ে থাকবে না, 
বড় হবে না অন্যের আশ্রয়ে, 
ফিরে আসবে আবার সজীবতা–
কেটে যাবে সব নির্জনতা।

 

আধপোড়া এক চাঁদ 
শাহজালাল সুজন

রাতের তারায় চেয়ে দেখি
আধপোড়া এক চাঁদ,
দিনের আলোয় অমাবস্যা
পাতছে যেন ফাঁদ।

শিয়াল হাঁকে দিনদুপুরে
নাহি তাদের ভয়,
মানুষগুলো গর্তে ঢুকে
করছে নীতির ক্ষয়।

জরাজীর্ণ ব্যাধির দেহে
দেখায় পেশি বল,
সুঠামদেহী বাঁচার তরে
করছে নানান ছল।

বাঘ ও মহিষ খায় যে বসে
এক ঘাটেতে জল,
আবেগ ছকে অঙ্ক কষে 
বিবেক পায়না ফল।

স্বার্থে ঘেরা যুগের আয়নায়
প্রশ্নবিদ্ধ হই,
সাদা পাতায় কালো ভরা
লাভ কি খুলে বই?

 

রঙিন স্পন্দন 
তাসনিম মীম

রুক্ষতা কাটিয়ে এলো নতুন পল্লব
কুঁড়ি ও ফুলের মেলা, 
চারিদিকে রঙিন বসন্তের শোভা। 
গাছে গাছে নতুন পাতা
শিমুল পলাশের লাল আভা,
জীবনের স্পন্দন, প্রকৃতির নবজাগরণ
গান ও কবিতার মোড়ক উন্মোচন
কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের যেন পুনরুজ্জীবন। 


রং, গন্ধ, সুর আর স্পর্শ, বসন্ত যেন
জীবনের সবটুকু আনন্দের এক মহামিলনক্ষেত্র।
কৃষ্ণচূড়ার মতো স্বপ্নগুলো হয়ে উঠুক রঙিন 
কোকিলের সুরের মতো প্রতিটা জীবন হোক
সুরেলা– এটাই বসন্তের প্রতি আমার বন্দনা।

 

একাকিত্ব 
নকুল শর্ম্মা

সৃষ্টির গল্পরা হারিয়ে ফেলে সব কাহিনি 
আঁশটে গন্ধে দৌড়াচ্ছে অস্থির সময়, 
যেখানে তোমার উপস্থিতি নেই বহুকাল ধরে।
বৃথা চিৎকারে কেঁপে উঠে আকাশ
ম্লান হয়ে আসে তোমাকে 
পাওয়ার অদম্য স্পৃহা, 
কুয়াশার কোলে প্রহর কাটায় একাকিত্ব হৃদয় 
সময়ের তলানিতে পড়ে থাকে প্রশ্নবান স্মৃতি। 
কোলাহল থামে না 
নিস্তব্ধতার মিনার জাগে বৈভবে
টুকরো টুকরো হয়ে যায় গল্পের সংলাপ, 
ঔদ্ধত্য তীরন্দাজের অশনিসংকেত 
দক্ষযজ্ঞের বার্তায় অন্য এক কাহিনির জন্ম।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের ইচ্ছার কথা জানালেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনের সুমি ও রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে নতুন সাফল্যের কথা জানিয়েছে মস্কো। অপরদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সৌদি আরবে আলোচনায় বসার আগে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি গঠনমূলক সংলাপ করতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মঙ্গলবার লোহিত সাগরের তীরবর্তী শহর জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি চুক্তির জন্য একটি ‘কাঠামো’ নিশ্চিত করার জন্য জোর চেষ্টা চালাবেন।

আসন্ন আলোচনা সত্ত্বেও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, কুরস্ক সীমান্তের কাছে সুমি এলাকায় ছোট গ্রাম নোভেনকে ‘মুক্ত’ করেছে তাদের বাহিনী। এছাড়া কুরস্কের লেবেদেভকা, মালায়া লোকনিয়া, চেরকাসকোয়ে পোরেচনয়ে এবং কোসিৎসা গ্রাম পুনরুদ্ধারের ঘোষণাও দিয়েছে মস্কো।

২০২২ সালে সর্বাত্মক আক্রমণের প্রথম দিকে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে নেয় রাশিয়া। কিন্তু এরপর থেকে সেখানে আর কোনো অঞ্চল দখল করেনি রুশ সেনারা।

রাশিয়ার নোভেনকে দখলের দাবির বিষয়ে কিয়েভ এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। বিশ্লেষকদের মতে, গ্রামটি রুশ সেনাদের ইউক্রেনের প্রধান সরবরাহ পথ বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।

গত রোবার এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘কেবল শক্তিশালী ফ্রন্ট-লাইনের ওপর ভিত্তি করে কূটনীতি শক্তিশালী হবে। আর আমরা ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনের চাহিদা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।"

কে কার সঙ্গে দেখা করছে

যুদ্ধের অবসান ঘটাতে কিয়েভকে আলোচনায় বাধ্য করার চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন এক আলোচনায় জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য বিবাদ হয়। ফলশ্রুতিতে ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি, স্যাটেলাইটের তথ্যে প্রবেশাধিকার ও দেশটিতে সাহায্য বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মতে, একটি খনিজ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্পের ক্রোধের শিকার হয়েছেন তিনি। ওই চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। তবে ট্রাম্প প্রশাসন তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। পরিবর্তে ইউরোপকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জন্য সাহায্য বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

ইউরোপীয় নেতারা রুশ হুমকির বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে সম্মত হয়েছেন। ওয়াশিংটন ইউক্রেনের ন্যাটো উচ্চাকাঙ্ক্ষার ওপরও ঠান্ডা পানি ঢেলে দিয়েছে।

গত শনিবার জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছিলেন যে, তিনি সৌদি আরবে যাবেন এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেনের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রতিনিধিরা মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১০ থেকে ১২ মার্চের মধ্যে ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য সৌদি আরব সফর করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ