অপারেশন ডেভিল হান্ট চলাকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে, আবার অনেকে গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে মুছাপুর ইউনিয়নে উপনির্বাচনে সাবেক এমপি সেলিম ওসমান মনোনীত প্রার্থী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর আলী হোসেন এখনো মুছাপুর এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

এমন কি তিনি বিএনপির নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে এখন বিএনপি নেতা বনে যাওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি সেলিম ওসমান ক্ষমতায় থাকাকালে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ব্যাপকভাবে হস্তক্ষেপ করতেন। সেই ধারাবাহিতকায় সব শেষ বন্দর উপজেলা নির্বাচনে নগ্ন ভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছিলেন।

জনগণ তাকে ভোটের মাধ্যমে ভুল প্রমানিত করেছিলেন। পরবর্তীতে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন নিয়েও তিনি একইপন্থা অবলম্বন করে ছিলেন। মুছাপুরবাসীর মতামতকে উপেক্ষা করে তিনি নির্বাচনে আলী হোসেনকে নিজের প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে অন্যান্য প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়ে ছিলেন।

গত বছরের ২৭ জুলাই বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচন হবার কথা ছিলো। সে নির্বাচনে সাবেক এমপি সেলিম ওসমান মুছাপুরের ব্যবসায়ী আলী হোসেনকে সমর্থন দেন এবং বন্দর ইউনিয়নের বালুচরে পার্কে ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে আলী হোসেন প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি অন্যান্য প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি পর্যন্ত প্রদর্শন করেন।

তার কিছুদিন পর মদনপুর ফুট ওভার ব্রিজের নিকটে একটি মতবিনিময় সভায় সেলিম ওসমান আলী হোসেনকে সহায়তা করতে বন্দরের সকল ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে অনুরোধ জানান। 

আরো জানা গেছে, গত ছাত্র আন্দোলনে মদনপুরে পুলিশের লেগুনা পোড়ানোর ঘটনায় এই আলী হোসেন তৎকালীন সরকারের দোসরদের সাথে মিলে বন্দর থানায় ২টি মামলা করেন। মামলা নং-৩১ ও ৩২। যেখানে তার ইন্ধনে মুছাপুরের অনেক নিরিহ ব্যক্তিদেরকে আসামি করা হয়। 

মামলায় আসামি হওয়া ভূক্তভোগীরা জানান, আমরা কোন অপরাধের সাথে জড়িত না হয়েও আলী হোসেনের ইন্ধনে আসামি হয়ে হয়রানীর শিকার হয়েছি। সে ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন কর্মী এবং স্বৈরাচারের দোসর।

নানান অপকর্ম করে এখনো সে ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। ডেভিল হান্টের অভিযানে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই আলী হোসেনকে আইনের আওতায় নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত করেছে, গত ৫ আগস্টের পর আলী হোসেন নিজের রঙ বদলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বাসায় গিয়েও মিটিং করেন।

কিন্তু সেখানে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় তিনি বর্তমানে মহানগর বিএনপির নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।

মুছাপুর ইউনিয়ন এলাকাবাসীর দাবি ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এবং সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের আর্শীবাদ পুষ্ট এই আলী হোসেনকে অচীরেই ডেভিল হান্ট অপারেশনের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে আইনে আওতায় আনা জরুরি।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ল ম ওসম ন স ব ক এমপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীরা

“অপারেশন ডেভিল হান্ট” অভিযানে বন্দরে ধরাছোঁয়ার  বাহিরে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীরা  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মদনপুর এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর  হামলাকারীরা এখনও বহাল তবিয়তে। 

ছাত্রলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষণে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছিল বহু ছাত্র-জনতা ।

"অপারেশন ডেবিল হান্ট" অভিযানে আওয়ামী লীগ ও জাপা’র নামধারী ওসমান দোসরদের কিছু অংশ পুলিশ ধরলেও ধরা-ছোয়ার বাহিরে রয়ে গেছে বড় বড় রাঘববোয়ালরা।

যার কারনে ছাত্রলীগ নেতা অহিদ অন্ধকারে থেকেও তার ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে এবং মদনপুর ও ধামগড় ইউনিয়নের আওয়ামী-জাপার দোসরদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার ছত্রছায়ায় মদনপুর ও ধামগড় ইউনিয়নের আওয়ামী ও জাপা'র দোসরা বেপরোয়া হয়ে আছে। 

মদনপুর ও ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান,  ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর ছাত্রলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ সহ ছাত্র- জনতার উপর হামলাকারীরা গা-ঢাকা দিলেও তাদের ছত্র-ছায়ায় মাদক ব্যাবসা, জমি দখল সহ নানা অপকর্ম করে আসছে ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আশরাফুল আলম, ধামগড় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মো. শফিউল আলম, শেখ রাসেল ক্রীড়া’র সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম। 

তারা বটতলা-জাঙ্গাল চকে অন্যের জমি অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল করে ভেকু দিয়ে মাটি বিক্রি করে কৃষি জমি পুকুরে রুপান্তরিত করছে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী আতংকে রয়েছে।

এমতাবস্থায় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তরিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীরা