নড়াইলে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২
Published: 10th, March 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সাত বছরের এক মেয়েশিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পর আজ সোমবার বিকেলে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার একটি গ্রামের পান্নু মোল্যা (৩৮) ও পান্নু মোল্যার ভাবি (৩২)। পান্নু শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টা করেন; আর তাঁর ভাবি এ ঘটনা কাউকে না জানাতে শিশুটিকে হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়ের ইজ্জতের কথা ভেবে এবং স্থানীয়ভাবে বিচার পাব—এমন আশায় প্রথমে চুপ ছিলাম; কিন্তু স্থানীয়ভাবে কোনো বিচার পায়নি। পরে মামলা করেছি। আমি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।’
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, শিশুটি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিশু শ্রেণিতে পড়ে। ৬ মার্চ সকাল ১০টার দিকে মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরে। পরে খাওয়াদাওয়া শেষ করে বাড়ির পাশে পান্নুদের বাড়িতে বরই কুড়াতে যায়। তখন মেয়েটিকে বরই খেতে দেওয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন পান্নু। একপর্যায়ে শিশুটি ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় পান্নুর ভাবি শিশুটিকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে। তবে মেয়েটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে সব বলে দেয়।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে লোহাগড়া থানায় পান্নু মোল্যা ও তাঁর ভাবিকে আসামি করে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা।
লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে
নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার সময়সীমা অতিক্রম করতে চায় না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেছেন, এই সময়সীমা যাতে পার না হয়, সে জন্য ইসি সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরেই তপশিল ঘোষণা করতে হবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। এর আগে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে তারা ইসিকে সহায়তা করতে চান। পর্যবেক্ষক, ভোটার তালিকা, দল নিবন্ধন ও কেনাকাটার বিষয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে।
নাসির উদ্দীন বলেন, তারা জাতীয় নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এই গণতান্ত্রিক উত্তরণে তারা আমাদের সহায়তা করতে চান। আমরা ভোটার ও দলের নিবন্ধনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি। আমরা খুব শিগগির কেনাকাটায় যাব। আমরা পর্যবেক্ষক নীতি পুনর্বিবেচনা করছি। পর্যবেক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করব।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু একটা সময়সীমা আছে, খুব সম্ভবত ডিসেম্বর। সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডিসেম্বরে নির্বাচন, তাই অক্টোবরেই তপশিল ঘোষণা করতে হবে। সময়সীমা যেন আমরা অতিক্রম না করি, সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।
কী ধরনের সহায়তা আপনারা চেয়েছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনে দলগুলোর এজেন্টরা থাকেন। দলের কর্মী বলে তাদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়, অথচ তিনি নির্বাচনের নিয়মের কিছুই জানেন না। এখানে একটা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসার পর দেখা যায়, তারা আমাদের নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না, আইনকানুন জানেন না। পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণের কথা আমরা জানিয়েছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রক্সি ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে জাতীয় নির্বাচনের সময় যারা প্রবাসে থাকবেন, তাদের পক্ষ থেকে অন্য কেউ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শুরুর প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘এই ঘোষণাটা তো প্রধান উপদেষ্টা নিজেই দিয়েছেন। তিনি ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে দিয়েছেন যে নির্বাচন ডিসেম্বরে অথবা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।’
পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমার একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। এটি তার এবং তার টিম যে কাজগুলো করছে, সে সম্পর্কে জানার একটি সুযোগ। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ তৈরিতে সংস্কার প্রক্রিয়ায় ঐকমত্য গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।’
এনআইডিতে একাধিক স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করার চিন্তা
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) একাধিক স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করার চিন্তা করা হচ্ছে। গতকাল জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রচুর সংশোধনের আবেদন আসছে। অনেক সময় দ্বিতীয় স্ত্রীরা এসে তাদের নাম ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। দুই নম্বর ফরমে একাধিক স্ত্রী যদি কারও থাকে, তার নামটা আগেই সংরক্ষণ করে নিই। তাহলে দেখা যাবে, ভবিষ্যতে ওই সমস্যা আর থাকবে না। এ জন্য দুই নম্বর ফরমে এটা রাখা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করেছি।