২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যত রেকর্ড
Published: 10th, March 2025 GMT
রোববার রাতে পর্দা পড়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ১৯ দিনের টুর্নামেন্ট অদলবদল হয়েছে রেকর্ড বইয়ের অনেক পাতাতেই। কী কী রেকর্ড হলো, আর ব্যাটিং ও বোলিংয়ে শীর্ষ পাঁচেই বা কারা আছেন...এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যত রেকর্ড
• চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। পেছনে ফেলেছে দুবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে।
• চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কা—১৪০। ভেঙেছে ২০১৭ সালের রেকর্ড—১১৩টি।
• এক আসরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি এবারই (১৪)। পেছনে পড়েছে ২০০২ ও ২০১৭ সালের ১০ সেঞ্চুরি।
• চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত দুটি ইনিংসই এবার হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বেন ডাকেট ১৬৫ রান করে ভাঙেন ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টলের রেকর্ড (১৪৫)। ডাকেটের রেকর্ডটা ৪ দিন পরই কেড়ে নেন ইব্রাহিম জাদরান। আফগানিস্তান ওপেনার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ১৭৭ রান।
• চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন ডেভিড মিলার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করে বীরেন্দর শেবাগ ও জশ ইংলিসের রেকর্ড ভাঙেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।
রেকর্ড ৭০৭ রান হয়েছে অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড ম্যাচে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিত ম্যাচসেরা, রাচিন সিরিজসেরা
ভারতের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ এর। আজ রোববার (০৯ মার্চ, ২০২৫) রাতে নিউ জিল্যান্ডকে ৪ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে এক যুগ পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ভারত।
ভারতের শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে ফাইনালে দারুণ ভূমিকা পালন করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। ৮৩ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান। তাতে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পান তিনি।
অন্যদিকে সিরিজ সেরা হয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র। তিনি টুর্নামেন্টে মাত্র ৪ ম্যাচ খেলে দুই সেঞ্চুরিতে রান করেন ২৬৩টি। পাশাপাশি উইকেট নেন ৩টি। তাতে সিরিজ সেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতে।
আরো পড়ুন:
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত
যে কাজের পর নাঈম শেখের ব্যাটে ছুটছে রানের ফোয়ারা
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে রোহিত বলেছেন, ‘‘এটা দারুণ অনুভূতি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ফল আমাদের পক্ষে আসায় আনন্দটা আরও বেড়ে গেছে।’’
নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘‘আক্রমণাত্মক খেলার ধরণ আমার স্বাভাবিক নয়, কিন্তু এটা আমি সত্যিই করতে চেয়েছিলাম। যখন কিছু ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেন, তখন দলের ও ম্যানেজমেন্টের সমর্থন থাকা খুব জরুরি। আমি আগে রাহুল (রাহুল দ্রাবিড়) ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, এখন গৌতি (গৌতম গম্ভীর) ভাইয়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। এটা আমি সত্যিই করতে চেয়েছিলাম। এত বছর ধরে আমি ভিন্নভাবে খেলেছি, আর এখন এই নতুন ধরনে ভালো ফল আসছে।’’
দুবাইর উইকেট ও নিজের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক বলেন, ‘‘পিচের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য বুঝতে হয়, আর আমি শুরুতে প্রথম পাঁচ-ছয় ওভার কিভাবে খেলতে চাই, সে ব্যাপারে একদম পরিষ্কার ছিলাম। আগে কখনো কখনো আউটও হয়েছি, তবে সঠিকভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাটাই মূল বিষয়। ব্যাটিং লাইনআপের গভীরতা আমাকে স্বাধীনতা দেয়, যা আমার জন্য সহায়ক।’’
ম্যাচ শেষে পুরস্কার নিতে এসে রাচিন বলেছেন, ‘‘এটা অবশ্যই মিশ্র অনুভূতি। ফাইনালটা ছিল দারুণ। ব্যক্তিগত স্বীকৃতি পাওয়া ভালো লাগে, তবে দলের হয়ে খেলা আরও বড় ব্যাপার।’’
আইসিসি টুর্নামেন্টে এত ভালো খেলার পেছনের রহস্য জানিয়ে সিরিজ সেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘‘সম্ভবত ভালো পিচে খেলার সুযোগ পাই। টুর্নামেন্ট ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগে। কারণ, এখানে একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। আমার অতীত পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত। অনেক মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যদি ট্রফি জেতা যেত, তাহলে সবকিছু আরও সুন্দর হতো, কিন্তু ক্রিকেট আসলেই নির্মম খেলা।’’
‘‘দলের প্রতিটি সদস্যের ভূমিকা থাকে। এখানে কেউ অভিজ্ঞ বা নতুন বলে আলাদা নয়। আমরা সবাই একসঙ্গে খেলি, দল হিসেবেই এগিয়ে যাই।’’ যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/আমিনুল