পাবনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 10th, March 2025 GMT
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আমিরুল ইসলাম মাস্টার (৪২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের চকপাটা উত্তরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আমিরুল ইসলাম উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামের লোহাই প্রামাণিকের ছেলে। তিনি ক্ষেতুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
কুমারখালীতে ২ এএসআই হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
বানিয়াচংয়ে নয় হত্যা মামলায় আ.
নিহতের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতুপাড়া এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী খালেক, ইমু ও মিঠুর সঙ্গে নিহত আমিরুলের পূর্ব বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে আজ রাত ৮টার দিকে আমিরুলের ভাই আশরাফকে ধরে মারধর করেন অভিযুক্তরা। খবর পয়ে আমিরুল সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে কিছু দূরে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমিরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, “আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ আওয় ম ল গ অভ য গ আম র ল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুকে ধর্ষণের খবর শোনার পরদিন অসুস্থ বাবার মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের খবর শোনার পরদিন অসুস্থ বাবার মৃত্যু হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটির মামা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শিশুটির বাবা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রোববার বিকেলে তার মেয়ের এই ঘটনা শোনার পর থেকে তিনি আরও অসুস্থবোধ করতে থাকেন। সোমবার সকাল ১১টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় ভিকটিমের নানি বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তার দু’জনের মধ্যে একজনের বয়স ১৭ বছর, আরেকজন ১৫।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় সদর আধুনিক হাসপাতালে। সোমবার ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর মেয়েটিকে নানির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই কিশোরকে আপাতত জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পরে তাদের গাজীপুরের টঙ্গী শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মইনুল হাসান দুলাল এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে বাড়িতে খেলছিল শিশুটি। এক পর্যায়ে তাকে ১০ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় দুই কিশোর। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে তারা। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে গেলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে মৌখিক অভিযোগ করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই কিশোরকে আটক করে। পরদিন লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ বলেন, দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।