কেন বই পড়ি
হিসাবটা আদতে সোজাসাপটা। বই পড়তে চাই কি চাই না—এটাই প্রশ্ন। অনেকেই বলবেন, চাই না। কোনো কিছু জানতে ইন্টারনেট সার্চ করলেই তো হয়। সব তথ্য চলে আসে ঝাঁক বেঁধে। হালে চ্যাটজিপিটি বা এআই সেসব আরও গুছিয়ে দেয়। তাহলে পড়ার দরকার কী?
দরকার অনেক। ইংরেজিতে দুটি শব্দ আছে—ডেটা ও ইনফরমেশন। ডেটা মানে তথ্য, নানা রকম, নানা রূপের। সেখান থেকে কাজের জিনিসটা, অর্থবহ জিনিসটা বের করলে যা দাঁড়ায়, তার নাম ইনফরমেশন। ইন্টারনেটে সার্চ করলেন। এল অনেক তথ্য বা ডেটা। ইনফরমেশন এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নিজের খানিকটা জানাশোনা তো চাই। সে জন্য নানা দৃষ্টিকোণ থেকে একটা বিষয় কেমন দেখায়, জানতে হবে সেটা। এই বিষয়টার খোঁজ মিলবে বইয়ে। চ্যাটজিপিটিকে বললেও পাওয়া যাবে, তবে সেই সিদ্ধান্তটা যে আমাদের নিজের হবে না, তা আর বলতে!
নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়।এটুকু তো জ্ঞান, সেটা বুঝেশুনে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়। নাহয় মরচে পড়ে যাবে। আর কেবলই ভিডিও দেখলে, যেখানে ছবিটা দিয়েই দেওয়া হচ্ছে, তখন আর গড়েই উঠবে না নিজের মাথায় ছবি আঁকার ক্ষমতা। ফলে কল্পনাশক্তি গড়ে উঠবে না। তাতে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠার সম্ভাবনাটুকু নাই হয়ে যাবে অঙ্কুরেই। এসবই আমার মাথায় ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছিল। কাজেই বই পড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললাম শুরুতেই। সে জন্য সময় বের করা চাই।
আরও পড়ুনশিশুর হাতে কেন মাতৃভাষায় লেখা বই তুলে দেবেন২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাতে যেভাবে পড়িঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা বই পড়া যায় সহজেই। ক্লান্ত দেহের মতো মনেরও তো মলম চাই; গাছের গোড়ায় যেমন পানি দিতে হয়, তেমনি বই পড়া, মানে মাথাকে খানিকটা খাবার দেওয়া। এই খাবার আনন্দের, অফিসের চাপে চিঁড়েচ্যাপটা চিন্তাভাবনা নয়। এখানেই একটা বড় ঝামেলা টের পেলাম।
রাতে বিছানায় শুয়ে বই পড়ার বেলায় কম দামের সমাধান হলো রিডিং লাইট.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
আমি যেভাবে বই পড়া বাড়ালাম
কেন বই পড়ি
হিসাবটা আদতে সোজাসাপটা। বই পড়তে চাই কি চাই না—এটাই প্রশ্ন। অনেকেই বলবেন, চাই না। কোনো কিছু জানতে ইন্টারনেট সার্চ করলেই তো হয়। সব তথ্য চলে আসে ঝাঁক বেঁধে। হালে চ্যাটজিপিটি বা এআই সেসব আরও গুছিয়ে দেয়। তাহলে পড়ার দরকার কী?
দরকার অনেক। ইংরেজিতে দুটি শব্দ আছে—ডেটা ও ইনফরমেশন। ডেটা মানে তথ্য, নানা রকম, নানা রূপের। সেখান থেকে কাজের জিনিসটা, অর্থবহ জিনিসটা বের করলে যা দাঁড়ায়, তার নাম ইনফরমেশন। ইন্টারনেটে সার্চ করলেন। এল অনেক তথ্য বা ডেটা। ইনফরমেশন এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নিজের খানিকটা জানাশোনা তো চাই। সে জন্য নানা দৃষ্টিকোণ থেকে একটা বিষয় কেমন দেখায়, জানতে হবে সেটা। এই বিষয়টার খোঁজ মিলবে বইয়ে। চ্যাটজিপিটিকে বললেও পাওয়া যাবে, তবে সেই সিদ্ধান্তটা যে আমাদের নিজের হবে না, তা আর বলতে!
নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়।এটুকু তো জ্ঞান, সেটা বুঝেশুনে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়। নাহয় মরচে পড়ে যাবে। আর কেবলই ভিডিও দেখলে, যেখানে ছবিটা দিয়েই দেওয়া হচ্ছে, তখন আর গড়েই উঠবে না নিজের মাথায় ছবি আঁকার ক্ষমতা। ফলে কল্পনাশক্তি গড়ে উঠবে না। তাতে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠার সম্ভাবনাটুকু নাই হয়ে যাবে অঙ্কুরেই। এসবই আমার মাথায় ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছিল। কাজেই বই পড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললাম শুরুতেই। সে জন্য সময় বের করা চাই।
আরও পড়ুনশিশুর হাতে কেন মাতৃভাষায় লেখা বই তুলে দেবেন২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাতে যেভাবে পড়িঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা বই পড়া যায় সহজেই। ক্লান্ত দেহের মতো মনেরও তো মলম চাই; গাছের গোড়ায় যেমন পানি দিতে হয়, তেমনি বই পড়া, মানে মাথাকে খানিকটা খাবার দেওয়া। এই খাবার আনন্দের, অফিসের চাপে চিঁড়েচ্যাপটা চিন্তাভাবনা নয়। এখানেই একটা বড় ঝামেলা টের পেলাম।
রাতে বিছানায় শুয়ে বই পড়ার বেলায় কম দামের সমাধান হলো রিডিং লাইট