Prothomalo:
2025-04-30@19:29:04 GMT

আমি যেভাবে বই পড়া বাড়ালাম

Published: 10th, March 2025 GMT

কেন বই পড়ি

হিসাবটা আদতে সোজাসাপটা। বই পড়তে চাই কি চাই না—এটাই প্রশ্ন। অনেকেই বলবেন, চাই না। কোনো কিছু জানতে ইন্টারনেট সার্চ করলেই তো হয়। সব তথ্য চলে আসে ঝাঁক বেঁধে। হালে চ্যাটজিপিটি বা এআই সেসব আরও গুছিয়ে দেয়। তাহলে পড়ার দরকার কী?

দরকার অনেক। ইংরেজিতে দুটি শব্দ আছে—ডেটা ও ইনফরমেশন। ডেটা মানে তথ্য, নানা রকম, নানা রূপের। সেখান থেকে কাজের জিনিসটা, অর্থবহ জিনিসটা বের করলে যা দাঁড়ায়, তার নাম ইনফরমেশন। ইন্টারনেটে সার্চ করলেন। এল অনেক তথ্য বা ডেটা। ইনফরমেশন এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নিজের খানিকটা জানাশোনা তো চাই। সে জন্য নানা দৃষ্টিকোণ থেকে একটা বিষয় কেমন দেখায়, জানতে হবে সেটা। এই বিষয়টার খোঁজ মিলবে বইয়ে। চ্যাটজিপিটিকে বললেও পাওয়া যাবে, তবে সেই সিদ্ধান্তটা যে আমাদের নিজের হবে না, তা আর বলতে!

নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়।

এটুকু তো জ্ঞান, সেটা বুঝেশুনে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তাধারা গড়ে তোলার জন্যও বই পড়া জরুরি। জরুরি কল্পনাশক্তি গড়ে তোলার জন্য। মুগ্ধ হওয়ার জন্য। শব্দ পড়ে সেটাকে মাথায় ছবির রূপ দেওয়ার যে শক্তি, চর্চা করে তাতে ধার দিতে হয়। নাহয় মরচে পড়ে যাবে। আর কেবলই ভিডিও দেখলে, যেখানে ছবিটা দিয়েই দেওয়া হচ্ছে, তখন আর গড়েই উঠবে না নিজের মাথায় ছবি আঁকার ক্ষমতা। ফলে কল্পনাশক্তি গড়ে উঠবে না। তাতে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠার সম্ভাবনাটুকু নাই হয়ে যাবে অঙ্কুরেই। এসবই আমার মাথায় ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছিল। কাজেই বই পড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললাম শুরুতেই। সে জন্য সময় বের করা চাই।

আরও পড়ুনশিশুর হাতে কেন মাতৃভাষায় লেখা বই তুলে দেবেন২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাতে যেভাবে পড়ি

ঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা বই পড়া যায় সহজেই। ক্লান্ত দেহের মতো মনেরও তো মলম চাই; গাছের গোড়ায় যেমন পানি দিতে হয়, তেমনি বই পড়া, মানে মাথাকে খানিকটা খাবার দেওয়া। এই খাবার আনন্দের, অফিসের চাপে চিঁড়েচ্যাপটা চিন্তাভাবনা নয়। এখানেই একটা বড় ঝামেলা টের পেলাম।

রাতে বিছানায় শুয়ে বই পড়ার বেলায় কম দামের সমাধান হলো রিডিং লাইট.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মার্জিন ঋণ নিতে বিনিয়োগ লাগবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ নিতে হলে বিনিয়োগ থাকতে হবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া থাকতে হবে নিয়মিত আয়ের উৎস। আর বিনিয়োগের ৬ মাসের আগে ঋণ পাবে না কোনো বিনিয়োগকারী। একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড এবং কোম্পানির হিসাবেও মার্জিন ঋণ দেওয়া হবে না। চূড়ান্ত মার্জিন ঋণ নীতিমালায় এসব সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্জিন রুলস- ১৯৯৯ যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত সুপারিশ প্রসঙ্গে এসব তথ্য তুলে ধরেন পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের সদস্যরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন এবং পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান।

টাস্কফোর্সের সদস্যরা বলেন, পুঁজিবাজার অংশীজনদের সাথে আলোচনা করেই সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে টাস্কফোর্স। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর ৩ মাসের আগে মার্জিন ঋণ না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে, মার্জিন নিয়ে শেয়ারবাজারে কারসাজি বন্ধ হবে। মার্জিন ঋণ নিয়ে সুশাসন না থাকায় বিপুল অংকের নেগেটিভ ইক্যুইটি সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে বিনিয়োগকারীর পাশপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পুঁজিবাজার। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং মার্জিন খারাপ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করা হয়েছে। যে কারণে অনেক বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা টাস্কফোর্সের মূল্য উদ্দেশ্য।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, অনেক স্টেকহোল্ডার দাবি করছেন তাদের সাথে বসা হয়নি। অথচ আমরা দেখলাম তাদের সাথে আমরা ৩ বারও বসে ফেলেছি। তবে কেন এরকম মিস কমিউনিকেশন। আমরা অংশীজনদের বাহিরেও যারা বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ তাদের সাথেও আমরা বসেছি। এরপরেও যদি মনে হয় আমরা কিছু বাদ দিয়েছি বা গ্যাপ ছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে জানালে তা আমরা যুক্ত করে দিব। তবে অংশীজনদের থেকে বেশি আমরা সাধারণ মানুষদের থেকে অনেক কিছু পেয়েছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, প্রতিদিন পত্র-পত্রিকায় লেখা হচ্ছে নেগেটিভ ইক্যুইটি নিয়ে। যার কারণ বাজার অচল অবস্থায় চলে গেছে। সে অবস্থাটাকে মাথায় রেখে আমরা চিন্তা করেছি, এর অন্যতম কারণ হলো মার্জিন রুলস। কারণ মার্জিন রুলসটা যদি প্ল্যান করে দেওয়া হতো, গভর্নেন্সটা যদি সঠিক থাকতো, তাহলে এ ধরনের অবস্থা তৈরি নাও হতে পারতো। তাই মার্জিন রুলসকে আমরা টপ প্রায়োরিটি আইটেম ধরেছি। পৃথিবীতে মার্জিন রুলসকে শর্টটার্ম ওয়ে হিসেবে নেওয়া হয়। কোথাও কোথাও ১:৩/৪ রেশিওতে মার্জিন ঋণ দেওয়া হচ্ছে৷ এগুলা কিভাবে হয়েছে? এরপর বাজারে নেগেটিভ ইক্যুইটি ক্রিয়েট হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এই জিনিসগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি বাজারে না হয়। মার্জিন নিয়ে আর গ্যামব্লিং করা যাবেনা। মার্জিন নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। এতো পরিমাণ নেগেটিভ ইক্যুইটি না থাকলে বাজারের আজ এই পরিস্থিতি হতো না।

হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন বলেন, আমাদের কাজে সহযোগিতা করেছে ফোকাস গ্রুপ। মূল কাজ করেছে টাস্কফোর্স। আমরা কাজ করতে যেয়ে পাবলিকের কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছি। স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকেও পেয়েছি, তবে পাবলিক থেকে পরামর্শ বেশি এসেছে। এটা খুব ভালো বিষয়। কারণ যত বেশি পরামর্শ আসবে, আমরা তত বেশি রিফাইন করার সুযোগ পাব।

সংবাদ সম্মেলনে একটি উপস্থাপনায় পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আজকে আমার খুবই ভালো লাগছে যে, এই প্রথম বাংলাদেশে আইনি ফরমেশন করতে যাচ্ছি, যেখানে ব্রেইন স্টর্মিং ড্রাফটিং হয়েছে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে। এ মার্কেটে যারা কাজ করেন, তাদের আইডিয়াগুলো নিয়েই ড্রাফট করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বিএসইসির ওয়ার্কিং টিমের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। এছাড়া মার্কেটের বড় বড় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব নিয়ে মার্জিন রুলস- ১৯৯৯ যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরি করেছি।

এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত আদেশে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়। গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মার্জিন ঋণ নিতে বিনিয়োগ লাগবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা