ওরিয়ন চেয়ারম্যান ও পরিবারের ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 10th, March 2025 GMT
দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম, তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৩১টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার ৬৫৮ টাকা রয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের অপর দুটি হিসাবে থাকা ৬ হাজার ৫৭৫ ডলারও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এ দিন এসব সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক রাশেদুল ইসলাম।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিদেশি দুটি ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার একই আদালত এ আদেশ দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ইফতার আয়োজন নিয়েও বিরোধ নেতাদের
গত জুলাইয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর কমিটির ৪২ জনের ঐক্য বেশিদিন টেকেনি। গত কয়েক মাস ধরে কমিটির সদস্যরা দুই ভাগে বিভক্ত। ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়েও দু’পক্ষের ঐকমত্য হয়নি। গতকাল সোমবার ইফতারবিষয়ক সভায় যাননি আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরোধী পক্ষ। তারা পৃথকভাবে ইফতার অনুষ্ঠান করবেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া কমিটির বাইরে থাকা মহানগরের সাবেক নেতারা পৃথকভাবে কয়েকটি ইফতার অনুষ্ঠান করবেন।
মহানগর কমিটিতে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারের বিরোধী পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন। কয়েক দিন আগে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব ঘোষণা দেন, নগরের বিভিন্ন স্থানে ৫টি ইফতার অনুষ্ঠান করা হবে।
এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে নাসরিন ও তাঁর অনুসারীরা জানান, তাদের মতামত না নিয়ে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বরিশালের সাংগঠনিক টিম প্রধান আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মহানগর সম্মেলন বাস্তবায়নের সমন্বয়কারী হাসান মামুনের কাছে নালিশ দিয়েছেন নাসরিন ও তাঁর অনুসারীরা। এ পরিস্থিতিতে সোমবার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে সভা ডাকেন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। সভা সূত্র জানিয়েছে, ৯ জন যুগ্ম আহ্বায়কের মধ্যে মাত্র ২ জন ও ১২ জন সদস্য সভায় অংশ নেন। সভায় ৫টি স্থানে ইফতার অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। অপরদিকে বিরোধীদের দাবি সভায় কোরাম হয়নি, তাই ওই সভার কোনো সিদ্ধান্ত বৈধ নয়।
যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটু বলেন, রোববার রাতে সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার তাঁকে সোমবারের সভায় যেতে বলেছিলেন। তখন তিনি জিয়াকে বলেছেন, ঘোষণা দেওয়া ৫টি স্থানে ইফতারের সিদ্ধান্ত আগে বাতিল করতে হবে। সেটা না করায় তারা সভায় যাননি। সামনে মহানগরের সম্মেলন। ওয়ার্ড কমিটিগুলো কুক্ষিগত করার জন্য আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কৌশলে তাদের দূরে রেখে দু’জনে দল চালাচ্ছেন।
আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক হালিম মৃধা একই রকম অভিযোগ করে বলেন, মহানগর বিএনপি এখন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের মালিকানাধীন দলে পরিণত হয়েছে। বিরোধী মতের কাউকে তারা সম্মান দেন না। এজন্য সোমবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সভায় তারা যাননি। এই দুই যুগ্ম আহ্বায়ক জানান, সভায় কোরাম সংকট হওয়ায় সদস্যদের বাসায় গিয়ে স্বাক্ষর আনা হচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের ইফতারে তারা থাকবেন না। নাসরিনের অভিযোগ, ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘সভায় কারা এলো না, তাতে কিছু যায় আসে না।’
পদবঞ্চিত নেতাদের আরও দুটি পক্ষ মহানগর কমিটির বিরুদ্ধে সক্রিয়। একটি পক্ষ দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অপরটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিগত কমিটির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল ইসলাম। সরোয়ারপন্থি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আকবর জানান, তারা একটি ইফতার অনুষ্ঠান করবেন। তবে তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। মীর জাহিদ বলেন, মহানগর কমিটির অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তাই তারাও পৃথক ইফতার অনুষ্ঠান করবেন।