দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম, তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৩১টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার ৬৫৮ টাকা রয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের অপর দুটি হিসাবে থাকা ৬ হাজার ৫৭৫ ডলারও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। 

দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এ দিন এসব সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক রাশেদুল ইসলাম।

এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বিদেশি দুটি ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার একই আদালত এ আদেশ দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

‘গোল চুরি’ করে ক্ষমা চাইলেন রাফিনিয়া 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। বড় জয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলেছে কাতালানরা। দলের একহালিতে স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভিস্কি জোড়া গোল করেছেন। রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল করেছেন একটি করে গোল। 

দলের হয়ে রাফিনিয়া ম্যাচের ২৫ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন। তবে গোলটি হতে পারত কাতালান ডিফেন্ডার পাও কুবার্সির। তিনি বার্সার নেওয়া ফ্রি কিক থেকে গোলের মুখে বল পেয়ে পা বাড়িয়ে শট নেন। তা গোল হয়ে যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে বল জালে ঢুকিয়ে দেন রাফিনিয়া। 

সতীর্থ কুবার্সির ওই গোল ‘চুরি’ করায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন চলতি মৌসুমে বার্সার হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনিয়া। গোল হবে কিনা দ্বিধা ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি, ‘গোলটা নিয়ে আমি দ্বিধায় ছিলাম। অফ সাইড হয়ে যাওয়ার ভয়ে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। আমি কুবার্সির কাছে ক্ষমা চেয়েছি। সে বলেছে- আমি কিছু মনে করিনি। এটাকে গোলে সহায়তাই মনে করেছি।’ 

চলতি মৌসুমে রাফিনিয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ গোল করেছেন। যা মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক। গোল ও গোলে সহায়তা মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৯। এক মৌসুমে ইউরোপের লড়াইয়ে মেসির সমান গোল ও গোলে অবদান রেখেছেন তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়ার কারণে এমনটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান এই বাঁ-পায়ের ফুটবলার, ‘শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলা উপভোগ করি। আমরা দলের একে অপরকে খুব ভালো বুঝি। আশা করছি, এভাবে এগিয়ে যেতে পারবো।’ 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলে ইন্টার মিলান নয়তো বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হতে হবে বার্সার। পূর্বে বায়ার্নে ভীতে দেখা গেছে কাতালানদের। যদিও ফ্লিক এখন শেষ চার নিয়ে ভাবতে রাজি নন, ‘আমরা এখনো জিতিনি। আপনি ফুটবলে কী ঘটবে তা বলতে পারবেন না। পাগলাটে সব ঘটনা ঘটে এখানে। আমরা যেভাবে আজ খেলেছি, এভাবে পরের ম্যাচেও খেলতে হবে।’ বার্সা ও ডর্টমুন্ড দ্বিতীয় লেগে ১৬ এপ্রিল রাতে মুখোমুখি হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ